তো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে যেটা কমান্ড দেওয়া হবে সাথে সাথে (ইন্সটান্ট)
কয়েক সেকেন্ড এর ভিতর আপনাকে তথ্য দিয়ে খুশি করে দিবে। এখানে এ আই এর ব্যবহার সহ
সংশ্লিষ্ট আরো কিছু বর্ণনা থাকছে ইনশাআল্লাহ্। নিচে পড়া শুরু করুন!
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি এ সম্পর্কে আলোকপাত করছি। সুপ্রিয় পাঠক, বিংশ শতাব্দীর ২৪ সালে এসে যে
ব্যাপারটি পানির মতো জ্বলজ্বল করে প্রতিভাত হয়েছে সেটি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দুইটি ইংরেজি বাংলিশ শব্দ যার
বাংলা অর্থ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল মানে কৃত্রিম বা যেটি
মানুষ বানিয়েছে, আর ইন্টেলিজেন্স মানে বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স বর্তমানে যুগান্তকারী কালজয়ী এক প্রোগ্রামিং সিস্টেমের
নাম।
এর পরিচিতি বা সংজ্ঞা হচ্ছে একটা রোবট কে মানুষের মতো করে চিন্তা ভাবনা করার
এবং বুঝার ক্ষমতা প্রদান করন, যেটি সাহায্যে এক নিমিষেই চোখের পলকে শুধু
কমান্ড দেওয়া দেরি কিন্তু ডাটা হাজির করতে দেরি করে না কি এমন একটি
প্রযুক্তির নামই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন টপিকের ওপর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরি হয়েছে।
যেমন ডাটা সংগ্রহের জন্য কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার পূর্ণাঙ্গরুপে জেনে নিন
কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফটো বা ছবি ক্রিয়েট করার জন্য রয়েছে।
কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আগমন ঘটেছে ভিডিও তৈরি করার জন্য। এই
সমস্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ শুধু যেরকম কমান্ড দেওয়া হবে সেভাবে
তারা কাজ করে দিবে আপনাকে। আবার কয়েকটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর
মাধ্যমে একটা কমপ্লিট ফুল ভিডিও তৈরি করা যায়। আবার একটা আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে এসইও ভিত্তিক ব্লক বা আর্টিকেলও লেখা যায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের সামনে আসার কারণে অনেক কাজ অতি
দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে বা হচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আশায় মানুষের
চাকরি পর্যন্ত হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক কোম্পানি বা ব্র্যান্ড অনেক এমপ্লয়ি বা
কর্মচারীকে তাদের চাকরি বা জব থেকে বরখাস্ত করছে। কারণ মানুষের চেয়েও অধিক
সুন্দর ও তথ্যবহুল করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফিসিয়াল কাজ করে
দিতেছে।
এরপরেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালানোর জন্যও তো একজন লোক লাগে কারণ
কমান্ড তো দেওয়া লাগবে। কিন্তু মানুষ যেহেতু আল্লাহ সৃষ্টি তার ব্রেইন এবং
নার্ভ বা স্নায়ু যেগুলো সম্পূর্ণই এক অপরূপ অতুলনীয় করে তৈরি করা হয়েছে।
তাই হাজারো চেষ্টা করলেও মানুষের সাথে কারো তুলনা চলবে না। কিন্তু
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের সৃষ্টি করা এক অত্যাধুনিক বিস্ময়ের
নাম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে এখানে আলোচনা আলোকপাত করছি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার মানুষ যে যেভাবে করবে সে সেভাবে উপকার
পাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা পেলে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে যে কেউ অনেক কিছুই
করতে পারবে। কেউ ইচ্ছে করলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ
টাকা ইনকাম করতে পারবে।
কিন্তু তার সঠিক ব্যবহারটা জানতে হবে এবং কিভাবে কি করলে কাজগুলো সঠিকভাবে
করা যাবে এগুলো জেনেই সামনে আগাতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে
গুগলে অনেক আর্টিকেল ইনডেক্স হয়ে আছে সেগুলো থেকে জ্ঞান নেওয়া যেতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ইউটিউবে বিভিন্ন
জনের বিভিন্ন তথ্যবহুল ভিডিও রয়েছে এগুলো থেকেও জেনে কাজ করা যেতে
পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার দিন দিন অনলাইন বা ইন্টারনেটের সাথে
সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের মাঝে অধিক বহুল আকারে প্রচলিত হচ্ছে। এটি যেমন একজন
ছাত্র ব্যবহার করছে একজন শিক্ষক ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি একজন প্রোগ্রামার ব্যবহার করে অনেক সহজ উপায়ে
প্রোগ্রামিং করছে। যেমন একজন প্রোগ্রামার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে কমান্ড
দিয়ে বিভিন্ন কোড দুই-তিন মিনিটের মধ্যে সংগ্রহ করছে।
শুধু তাই নয় এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে
একজন সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট নির্মাতা একটা কমপ্লিট কোড প্লানিং সংগ্রহ করতে
পারবে এবং করছেও তাই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার মানুষ কর্মস্থলে
অফিসে বসে পড়তেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে বিভিন্ন ফটো এডিটিং
করছে। অনেক রকম অডিও সংগ্রহ করতেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে।
যারা অ্যাপ ডেভলপ করে তারাও এখান থেকে উপকৃত হচ্ছে বিভিন্ন কোডিং প্লান
কালেক্ট করে।
ফ্রিল্যান্সাররা এবং যারা আউটসোর্সিং করে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে
অনেক সময় ক্লাইন্টদের অনেক কাজ দুই এক ক্লিকের মধ্যেই কমপ্লিট করে বায়ারদের
সাবমিট করছে। আবার অনেক বায়ার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আগমনে সে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক ছোটখাটো কাজ ফ্রিল্যান্সারদের কে না
দিয়ে নিজেরাই করতেছে। এমন ধরনের হাজারো ব্যবহার দেখানো যাবে যেগুলো
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি সম্পন্ন
করছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে বিষয়টি আলোকপাত করছি। আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের দিক দিগন্তে।
বিশ্বের আনাচে কানাচে কে নতুন রূপে মোড় দিয়েছে এই আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষকে যেমন কোন কাজ দ্রুত উপহার
দিতেছে তেমন অনেক ডেটা বা তথ্য কয়েক সেকেন্ডের ভিতরেই ব্যবহারকারীদের গিফট
করছে।
তাহলে কি আমাদের জানার ইচ্ছে হয় না এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেই
লোকটার হাত ধরে এসেছে যে এটাকে জন্ম দিয়েছে বা যিনি এটার জনক বা জন্মদাতা
তার নামটা জানার? অবশ্যই আমরা আপনাকে এখানে জানাবো আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স এর জনক সম্পর্কে। তিনি আমেরিকার একজন বিশেষ ব্যক্তিত্ব। তিনি
একজন কম্পিউটার সিস্টেম সম্পর্কে গভীর গবেষণা করে কিভাবে মানুষের অনলাইন
সম্পৃক্ত দৈনন্দিন কাজকে কয়েক ক্লিকেই সম্পাদন করতে পারে এ
ব্যাপারে।
তিনি একটা সময় খুব সফলতার সাথে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা মানুষের
মতো ভাবার চিন্তা করার এবং বুঝার ক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন।
তার জন্ম ১৯৮৭ সালের চার সেপ্টেম্বরে আর মৃত্যু হয়েছে ২০১১ সালের ২৪ শে
অক্টোবরে। তিনি সত্যিকার একজন এমন ব্যক্তিত্ব যিনি যুগ উপযোগী কম্পিউটার
বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে গেছেন। আর তার নাম হচ্ছে জন ম্যাকার্থির (John
McCarthy)।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের খারাপ দিক
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক বিষয়টি আলোকপাত করছি। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা বা কৃত্তিম উপায়ে বুদ্ধিসম্পন্ন রোবটের যেমন ভালো দিক রয়েছে এর
কিছু খারাপ দিক রয়েছে। খারাপ দিকগুলো মানুষের যেমন অস্বচ্ছ লাভ করছে তদ্রূপ
কিছু খারাপ করতেছে অনেক মানুষের। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ
দিকগুলো খুব বেশি না থাকলেও এমন কিছু খারাপ দিক রয়েছে যেগুলো আমরা এখানে
পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করছি।
মানুষ চাকরি হারাতে পারে।
-
মানুষের চিন্তা শক্তি কমে যেতে পারে, কারণ আর্টিফিশিয়াললি তাকে সবকিছু
লিখে দিচ্ছে।
-
মানুষের গোপনীয়তা নষ্ট হতে পারে, কারণ এ আই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডেটা বা
তথ্য সংগ্রহ করে।
-
মানুষ বেকার এবং অর্থনৈতিক সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে, কারণ এ আই তে সব
কিছু করে দিতেছে।
-
মানুষের ঝুঁকি বৃদ্ধি হতে পারে, কারণ এ আই এর দ্বারা হ্যাকিং শিকার হতে
পারে।
-
ডেটা লংঘন হতে পারে। কারণ যেকোনো জায়গা থেকে ডেটা কালেক্ট করে।
সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ডেটা উধাও হয়ে যায়।
-
মানুষের কল্যাণের চেয়ে লাভ টায় বেশি দেখে, কারণ এ আই ডেটা দিয়ে মানুষকে
হেল্প করতে চাই ইত্যাদি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিক
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিকগুলো আলোকপাত করছি। আমরা উপরে এআই এর
খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এখানে ভালো দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করার
চেষ্টা করছি। তো এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে যেমন খারাপ
দিক রয়েছে কিছু, আবার ভালো দিক ও অনেক রয়েছে যেগুলো এখানে ক্রমান্বয়ে
লিস্ট করছি। মানুষ প্রকৃতপক্ষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পেয়ে যেন মহা
খুশি,
কারণ তাকে কমান্ড দিয়ে খুব সহজেই যাবতীয় কাজ করিয়ে নেওয়া যাচ্ছে যেগুলো
সাধারণত একজন কর্মচারী বা মানুষকে বেতন দিয়ে করা হতো। চলুন জেনে নেওয়া যাক
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভালো দিকগুলো। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর
মাধ্যমে খুব সহজেই ডেটা কালেক্ট করা যায়।
-
খুব দ্রুতই ভয়েস ওভার করতে পারে।
-
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এটাতে কাজ করতে পারে।
-
ডিজিটাল ম্যান হিসেবে কাজ করতে পারে।
-
ছবি তৈরি করে দিতে পারেন।
-
অডিও রেকর্ড করে দিতে পারে।
-
ভিডিও তৈরি করে দিতে পারে।
-
আর্টিকেল লিখে দিতে পারে।
- এসইও করে দিতে পারে।
-
ডাক্তারদের কাজ করে দিতে পারে।
-
বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কের তথ্য দিতে পারে।
-
একটা ছবি দিলে ছবি সম্পর্কে বলে দিতে পারে।
-
একটা প্রোগ্রামিং দিলে সেটার কোড সম্পর্কে বলে দিতে পারে।
-
অংকের সমাধান দিতে পারে।
-
যে কোন বিষয় ই খুব সহজে সমাধান দিতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি কি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি কি বিষয়টি আলোচনা করছি। বিভিন্ন
সফটওয়্যার বিভিন্ন প্রোগ্রামিং দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আবার কিছু সফটওয়্যার
অংকের মত সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম কোডিং করে তৈরি করা হয়েছে। যেমন কিছু সফটওয়্যার
আছে যেগুলো তৈরি করা হয়েছে জাভা, জাভা স্ক্রিপ্ট অথবা পিএইচপি দিয়ে। কিন্তু
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মত টেকনোলজি বা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে
বিশেষ কিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে আর সেগুলো হচ্ছে যথাক্রমে,
যেমন সি অথবা সি++, পাইথন এবং জাভা দিয়ে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য যে প্রযুক্তি বা প্রোগ্রামিং টেকনোলজির
নাম সেটি হচ্ছে মেশিন লার্নিং টেকনোলজি। যেটাকে সংক্ষেপে এমন এল টেকনোলজি বলা
হয়। এ মেশিন লার্নিং টেকনোলজি দিয়ে আমেরিকান কম্পিউটার সফটওয়্যার বিজ্ঞানী
জন ম্যাকার্থি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যাকে সংক্ষেপে এ আই বলা হয় এটি
তৈরি করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করছি। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তাকে ইংরেজিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই বলা হয়। বিভিন্ন
ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো আমরা এখানে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা একটি রোবট সিস্টেম। এটিকে যেমন করে শেখানো হয়েছে সেভাবেই উত্তর
দিয়ে থাকে। মানুষের মত করে চিন্তা করতে পারে ভাবতে পারে বুঝতে পারে এবং
রিপ্লাই করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আলট্রা মডার্ন বা অত্যাধুনিক যুগের
অতীব বিস্ময়কর এক প্রযুক্তির নাম। তো চলুন বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে
নিই।
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটিক প্রযুক্তির নাম।
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মতো ভাবনা শক্তির নাম
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুততর তথ্য উপস্থাপনের নাম।
-
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কিছু দেখে বুঝতে পারার নাম।
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা দেখবে সেটা ইনস্ট্যান্ট উত্তর প্রদানের নাম।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা সম্পর্কে লিখছি। আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স এর বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে উপকারিতা এবং অপকারিতা
রয়েছে যেগুলো ইতিমধ্যে কার আলোচনার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে।
এখানে এমন কিছু সুবিধা লিখা হবে যেগুলো অকল্পনীয়। মানুষ কল্পনা করতে পারবে
না এমন কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। চলুন জেনে
নেই।
আরো পড়ুনঃ
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 বিস্তারিত জানুন
-
সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে।
- অ্যাপস তৈরি করতে পারে।
-
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তৈরি করতে পারে।
-
কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
- ফটো, অডিও এবং ভিডিও এডিটিং করতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেভাবে কাজ করে এ বিষয়টি এখানে আলোকপাত করছি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সবচেয়ে যেই প্রযুক্তিটি বর্তমানে বিস্ময়
সৃষ্টি করেছে সেটি হচ্ছে চ্যাট জিপিটি(ChatGPT)। এটিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার
করা যায়। যেমন এখানে বিভিন্ন তথ্য কালেক্ট করা যায়। ছবি দিয়ে ছবি সম্পর্কে
তথ্য জানা যায়। একটা ভিডিও আপলোড করে ভিডিওটির সারমর্ম কয়েক সেকেন্ডের
মধ্যেই নিয়ে নেওয়া যায়।
একটা লম্বা রচনামূলক বর্ণনা দিয়ে সারসংক্ষেপ স্বল্প সময়ের ভিতরে গ্রহণ করা
যায়। চ্যাট জিপিটির যখন আগমন ঘটলো এখন গুগলের মাথা খারাপ হয়ে গেল google ও
কয়েকটি এআই টেকনোলজি নিয়ে আসলো যেমন একটি হচ্ছে জেমিনি আরো একটি হচ্ছে গুগল
এ আই নামেই পরিচিত। এগুলো মেশিন লার্নিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই এআই
এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেকোনো সময় যে কোন ডাটা বিভিন্ন জায়গা থেকে
কালেক্ট করতে পারবে।
একেবারে আপডেট বা আধুনিক ডাটা বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করে তার
ব্যবহারকারীদের সামনে এনে দিতে পারবে। এবং তার মধ্যে ডাটার ভান্ডার বা
তথ্যভাণ্ডার সাজানো হয়েছে। এবং যেকোন আপডেট নিউজে দিতে পারে। এর কোন
নির্দিষ্ট সময় নেই যেকোনো সময় আপনি সার্চ করলেই আপনাকে এক গাড়ি ডাটা সামনে
এনে দিবে। রাতে দিনে সেকেন্ডে ডেটা গিফট করে থাকে মানুষকে। আরেকটি কথা এই এআই
কে চেইন সিস্টেমে তৈরী করা হয়েছে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিষয় সহকারে উক্ত ব্লগ বা
আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি। সুপ্রিয় পাঠক, আমরা আশা করছি আপনি যদি উল্লেখিত
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে যথেষ্ট বুঝতে পারবেন। আরো এরকম
নিত্য নতুন আর্টিকেল বা ব্লগ পেতে আমাদের সাথে থাকুন আর আমাদের কাজকে রিভিউ
দেন বা কমেন্ট করুন ইনশাআল্লাহ। তাহলে আপনাদের সুমন্তব্যের মাধ্যমে আমরা আরো
উৎসাহিত বা অনুপ্রাণিত হয়ে তথ্যবহুল এবং উপকারী আর্টিকেল দিয়ে আপনাদেরকে
উপকৃত করতে পারব ইনশাআল্লাহ্!
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url