বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত বিস্তারিত জানুন
দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয়?বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে লেখা লেখব।
প্রিয় পাঠক, আপনি বাংলাদেশে শিক্ষিত কোন জেলায় বেশি এই বিষয়টি জানতে এখানে এই
শিরোনামে ক্লিক করেছেন তাই না? বাংলাদেশের সব জেলার মানুষই শিক্ষিত তবে, কম আর
বেশি।
সাথে সাথে সব জেলার মানুষই সুন্দর কিন্তু কিছু জেলার মানুষের ব্যপারে ধারণা করা
হয় যে অমুক জেলার মানুষ সবচেয়ে শিক্ষিত এবং সুন্দর। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করছি। চলুন দেরী না করে এখনই আর্টিকেলটি শুরু করি!
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত?
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত এক্ষেত্রে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা
বলছেন। কেউ বলছেন রাজশাহীর মানুষ বেশি শিক্ষিত, কেউ বলছেন
কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গার মানুষ বেশি স্বাক্ষতার হার রাখে ৯৯%, কেউ বলছেন
ঢাকা জেলা শিক্ষার দিক থেকে এগিয়ে। আর একটা সমীক্ষা অনুসারে বা ২০১১ সালের
আদমশুমারী অনুযায়ী বরিশাল জেলার স্বাক্ষতার হার এর পরিমাণ প্রায় ৫৭%।
এক্ষেত্রে, ঢাকা জেলা প্রায় ৭১% এগিয়ে।
তবে যে যাই বলুক, বর্তমান ২০২৪ সালে শিক্ষার দিক থেকে প্রায় সব জেলায়
এগিয়ে তবে কম-বেশ রয়েছে। সমীক্ষাতে কী বলছে বিষয়টা আপনাকে নজরে রাখতে হবে তাহলে
স্পষ্ট হতে পারবেন। আরো জানতে পারবেন আপডেটেড আদমশুমারী লক্ষ রাখলে। তাই প্রিয়
পাঠক, আপনি যদি এই শিক্ষার হার বিষয়টা সুচারু রুপে অবগত হতে চান পরিসংখ্যানের
দিকে সুদৃষ্টি রাখতে হবে।
আসলে, শিক্ষাহীন জাতির কোন মূল্য নেই। বলা হয়ে থাকে শিক্ষিত শত্রু ভালো কিন্তু
জ্ঞানহীন কিংবা মুর্খ বন্ধু ভালো নয়। শিক্ষাই জাতিকে অনেক শক্তিশালী করে এবং
বহুদূর পাড়ি দিয়ে নিয়ে যায়। তাই শিক্ষার আলো জ্বালাতে হবে পরিবারের ছোট
বাচ্চাটা থেকেই। কোন ক্রমেই না শিখিয়ে বা স্কুলে না পাঠিয়ে কামলা খাটাবেন এটা
করা যাবে না।
হাজার কষ্ট হলেও তিন বছর বা ৫ বছর থেকেই শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। আর
কোনক্রমে ৫ বছর বা ৭ বছর বা এইরকম কাছাকাছি সময় থেকে পাঠশালায় না পাঠাতে
পারলে ৮-৯ বৎসর বয়স থেকে অবশ্যই পাঠাতে হবে বিদ্যালয়ে যেকোনো মূল্যে। তবে
সতর্ক থাকতে হবে জরুরী ভিত্তিতে তিন চার বছর বয়স থেকেই বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে
হবে, যাতে করে নয় দশ বছর বয়সে সে পঞ্চম শ্রেণী কৃতকার্য তার সাথে পাশ করতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী বিস্তারিত জানুন
তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা ভালই আলোকিত হবে এবং বিদ্যায় উদ্ভাসিত হবে,
কোন অশিক্ষিত মূর্খ চাষাভুষা থাকবে না। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতিকালে
এরকমটাই পদক্ষেপ নিয়েছেন। সরকারকে এক্ষেত্রে বাচ্চাদেরকে বিদ্যালয়ে
পাঠানোর মাধ্যমে সহযোগিতা করতে হবে, তাহলে দেশেরও নাম হবে আবার সরকার
প্রধানের নামও হবে।
তবে বাংলাদেশ সরকার বর্তমান বয়স্কদেরকে শিক্ষার জন্য একটা প্লান বা পরিকল্পনা
হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন এবং সামনে আরো এমন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে
বাস্তবায়ন করবেন। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতদরিদ্র তাই
বাচ্চাদেরকে এই গরীব মানুষগুলো ছোটতে দুই এক ক্লাস পড়ালেও একটু বড়
হয়ে আর এই ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে পারেনা।
বাংলাদেশের মানুষ তুলনামুলকভাবে প্রায় অশিক্ষিত।বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি
জেলা বর্তমান সময়ে গত কয়েক বছরের বিবিএস বা বাংলাদেশ ব্যুরোর
পরিসংখ্যান এর তথ্য অনুযায়ী পিরোজপুর জেলা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার দিক
থেকে উন্নত, যেখানে পিরোজপুরের পুরো জনসংখ্যার ১০০ জনে ৮৯ জন মানুষ শিক্ষিত।
এরপরে, বরগুনা জেলা প্রায় ১০০ জনে ৮৭.৬ জন শিক্ষিত।
তারপরে শিক্ষিত হচ্ছে বরিশাল জেলা যেখানে প্রায় ১০০ জন লোকের মাঝে ৮৭.৪ জন।
এরপরে ঝালকাঠি জেলা ১০০ জনে ৮৬.১ জন লোক। এরপর শিক্ষিত জেলা হচ্ছে বাগের হাট
যেখানকার মানুষগুলো প্রায় ১০০তে ৮৪.৩ জন। আর এর ভিতরে বাংলাদেশের প্রায়ই
সব জেলায় শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
এখানে নিম্নে একটা ছকে সুন্দর করে দেওয়ার চেষ্টা করছি, যেটা দেখলে অনেকটা ফ্রেশ
ধারণা পাবেন এই জেলাগুলোর শিক্ষার পরিসংখ্যনের ব্যাপারে, তো দেখুন ছকটি!
জেলার নাম | পরিসংখ্যানের হিসাব |
---|---|
পিরোজপুর | ১০০ জনে প্রায় ৮৯ জন মানুষ শিক্ষিত |
বরগুনা | ১০০ জনে ৮৭.৬ জন শিক্ষিত |
বরিশাল | ১০০ জন লোকের মাঝে ৮৭.৪ জন শিক্ষিত |
ঝালকাঠি | ১০০ জনে ৮৬.১ জন লোক শিক্ষিত |
বাগের হাট | ১০০ তে প্রায় ৮৫ জন ইত্যাদি |
আর প্রত্যেকটা মানুষ যদি সজাগ সোচ্চার হয়, তাহলে শিক্ষার কোন বয়স
নিয়ে কথা নয় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিক্ষা চালিয়ে যেতে হবে, এক্ষেত্রে
জ্ঞান অর্জনে পিছুপা হওয়া যাবে না, জীবনের কোন না কোন অংশে যে কোনো জিনিস
শিখতে থাকতে হবে তাহলে আমরা একটা শিক্ষিত ও আলোকিত জাতিতে পরিণত হতে পারব
ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত কোন জেলায় ২০২৪?
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত কোন জেলায় ২০২৪ ব্যাপারটি নিয়ে ইতিমধ্যেই
আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষিত হয়ে উঠছে যেটি
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বগামী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই বিষয়টি কার্যত
বাস্তবায়ন হওয়ার পথে। আপনি যদি এই হেডিং এর আগের শিরোনাম বা টাইটেলটি
পড়ে থাকেন তাহলে আমি আশা করছি বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত ২০২৪
সালে এটি বুঝতে পেরেছেন, আমরা তা অলরেডি বর্ণনা করেছি।
তারপরও, আবারও এখানে কিঞ্চিত বলার চেষ্টা করছি। মূলত শিক্ষিত
জাতি পারে আগামীর ভবিষ্যৎকে গড়তে।নেপোলিয়ন বলেছিল যে তাকে একজন
অক্ষরজ্ঞান ওয়ালি জননী দিলে সে একটা শিক্ষিত জাতি আপনার সম্মুখে পেশ করবে
বলেছে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে যে শিক্ষা ছাড়া জাতির কোন গতি নেই। এজন্য
বাংলাদেশের জেলাগুলোর মানুষ পর্যায়ক্রমে যারা তাদের শিক্ষার হার কে
বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে
পিরোজপুর>বরগুনা>বরিশাল>ঝালকাঠি>বাগেরহাট এভাবে স্বাক্ষরতা বাড়ছে
কিংবা শিক্ষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত কে?
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত কে এ ব্যাপারটি গুগল বা ইউটিউব খুঁজলে দেখা
যাবে আপনি কোনো সঠিক তথ্যই পাবেন না। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত
লোক হিসেবে আখ্যায়িত হয় ওই ব্যক্তি যে ব্যক্তির ডিগ্রি সবচেয়ে
বেশি।এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার
ডজন খানেক ডিগ্রী রয়েছে যা তিনি বিদেশ থেকে অর্জন
করেছেন, যদিও নোবেল টা এখনো পাওয়া হয়নি।
বাংলাদেশের বর্তমানে এই আধুনিক ও অত্যাধুনিক যুগে যারা এ প্লাস বা জিপিএ ফাইভ
অর্জন করে তাদেরকে সর্বোচ্চ শিক্ষাজীবী বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে ডিগ্রীর
শিক্ষাই সবকিছু শিক্ষা নয়, নৈতিক শিক্ষা টাই হচ্ছে মূল। আর নৈতিক শিক্ষা
বাংলাদেশের মানুষদের খুব অভাব। খুঁজলে দেখা যাবে হাতেগোনা কয়েকজন হয়তো
পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ হচ্ছে এমন একটা দেশ যেখানে সুদ-ঘুষের
ছড়াছড়ি, নীতিও নাই নৈতিকতাও নাই।
বাংলাদেশে বেশি শিক্ষিত হয়েও কোন লাভ নেই। কারণ হাজার যুবক শিক্ষা অর্জন
করে ডিগ্রী লাভ করে হাজারটা ডিগ্রী ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে, শুধুই ডিগ্রির
ঝুলি, এই ডিগ্রি গুলি বা সার্টিফিকেটগুলি হাতে নিয়ে পথে ঘাটে শহরে
বন্দরে রাত দিন ২৪ ঘন্টা ঘুরলেও চাকরির কোন সন্ধান পাওয়া যায় না।এমনকি
যারা সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং শিক্ষার দিক থেকে খুব উন্নত ও শ্রেষ্ঠ
তাদের বাংলাদেশে থাকতে ভালো লাগে না বিদেশে চলে যায়।
এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য, বিভিন্ন কলকারখানায় চাকরি
করে। আবার যারা দেশের জ্ঞানীগুনি বা ভালো ডাক্তার বা দক্ষ
ইঞ্জিনিয়ার আবার উচ্চ স্তরের বিজ্ঞানী যাদেরকে বাংলাদেশে মানসম্মত বা
উপযুক্ত বেতন দিয়ে তাদের মান রাখা হয় না। কাজেই একসময় তারা বিদেশ চলে
যেতে বাধ্য হয় এবং সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে তাদের
জীবিকা নির্বাহ করে। এমনকি নির্দিষ্ট দেশগুলির নাগরিক পর্যন্ত হয়ে যায়, দেশে
আসার চিন্তাও করে না।
বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষ যাকে বলা হয় এবং এটি তার ডিগ্রির উপর
ভিত্তি করেই তার এই নামটি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। আর তার নাম
হচ্ছে নিকোলাওস জেনিওস। আমাদের ভারত উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত
ডিগ্রির দিক থেকে যাকে বলা হয় তার নাম হচ্ছে শ্রীকান্ত জিচকার।
যিনি মারাঠি ভাষার লোক, আর তাকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ডিগ্রিধারী হিসেবেই
বলা হয়। আর তার ডিগ্রির দিকে তাকালে চোখ কপালে উঠে যাবে এতগুলো ডিগ্রী। যেমন
এলএলবি, এমবিবিএস, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ডিগ্রি, আবার জার্নালিজম বা
সাংবাদিকতা ইত্যাদি। আরো বিভিন্ন ডিগ্রি রয়েছে যেগুলো গুগল সার্চ করে
দেখলে আপনি জানতে পারবেন।
আর আমাদের বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের সম্মানিত মালিক ড. ইউনুস তাকে
অনেকেই বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত মানুষ হিসাবে আখ্যা
দেয়। আর যাই হোক মানুষের জ্ঞান কতটুকু রয়েছে, শিক্ষা কতটুকু রয়েছে এটা
মূলত ওজন বা মাপ করা যায় না। হাজারো বাংলাদেশের বাটপার চাঁদাবাজ ঘুষখোর রয়েছে
যাদেরকে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য নৈতিক শিক্ষা ভিতরে ধারণ করতে হবে, তাহলে হয়তো
এক সময় সে হয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত লোক।
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি ধনী?
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি ধনী বিষয়টি এখন আপনার সামনে পেশ করছি।
একেক জন একেকটি জেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ধনী জেলা হিসাবে পরিগণিত
করে। তবে আপনাকে জানতে হবে এবং সব সময় যেগুলো কারেন্ট নিউজ সেগুলোর সাথে
আপটুডেট থাকতে হবে, তাহলে আপনি জানতে পারবেন এবং সর্বদা এই ধারণার সাথেই থাকতে
পারবেন যে বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি ধনী।
আর ২০১৬ ব্যুরোর বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষে ধনী জেলা
হিসেবে যেটি লিস্টে রয়েছে সেটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, এরপর দ্বিতীয়তে রয়েছে
মুন্সিগঞ্জ ইত্যাদি। ২০২২ এর পরিসংখ্যান অনুসারে সবচেয়ে বেশি ধনী যে জেলাটি
সেটি হচ্ছে ঢাকা জেলা। কারণ ঢাকা জেলার মানুষ বিশেষ করে পুরান
ঢাকার খানদানি বংশের লোকজন। পুরান ঢাকার এক একজন মানুষ
এর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে , তাদের খাবারদাবার সেই লেভেলের উচ্চ
বংশীয় অভিজাত খাবার।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জেলা কোনটি?
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জেলা কোনটি এ ব্যাপারটি ইতিমধ্যেই
উপরে পেশ করেছি। এরপরও আবারও বলছি যে শিক্ষা বিষয়টি হচ্ছে মনের খোরাক। এই
শিক্ষা যার ভিতরে নেই তার ভেতরটা হচ্ছে অন্ধকার। আর এ অন্ধকারময় জীবন
অনেক সময় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাই শিক্ষার আলো সর্বপ্রথমে নিজের দেহের
ভিতরে জ্বালিয়ে নিজের ভেতরকার অন্ধকার কে দূর করতে হবে সম্মানিত পাঠক।
বাংলাদেশের বেশি শিক্ষিত সবচেয়ে যে জেলাটি সেটি আপনাকে আমি ছকে সুন্দর করে
উপরে পেশ করার চেষ্টা করি। এক সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জেলা ছিল
বরিশাল বর্তমানে বাংলাদেশের বেশি শিক্ষিত জেলা হচ্ছে পিরোজপুর। কেউ বলছেন
রাজশাহী কেউ বলছেন দিনাজপুর আবার কেউ বলেন কুষ্টিয়া বা চুয়াডাঙ্গা
ইত্যাদি।
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি সুন্দর?
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি সুন্দর? ব্যাপারটি কিভাবে আপনি বিচার
করবেন। সত্যিকার অর্থে সুন্দর এর অর্থ কী? মানুষ সুন্দর দেখলে
ভালবাসতে চায়, সুন্দরের পূজারী, সুন্দরকে পেতে চায় এবং আগলে রাখতে চায়।
সুন্দরের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে, এমনকি বেশ কিছু মানুষ রয়েছে
যারা সুন্দরী মেয়ে দেখলে ফ্যালফ্যাল করে বা হা করে থাকে। আসলে
শরীরের রঙের দ্বারাই শুধু সৌন্দর্য বিবেচিত হয় না, মনটাও তার সুন্দর হওয়া
লাগবে।
যদি বলা হয় আপনাকে যে, আপনার কাছে কোন জেলার মানুষ সবচেয়ে সুন্দর বা
সুন্দরী তখন নিশ্চয়ই আপনি উত্তরে বলবেন যে আমার জেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি
সুন্দর বা সুন্দরী। কারণ মানুষ নিজের জিনিস কে বেশি পছন্দ করে এবং যাকে
পছন্দ করে তাকেই ভালো লাগে।
আরেকটি বিষয় হলো আপনি যে জায়গায় থাকবেন সেই জায়গার মানুষ দেখতে দেখতে
আপনাকে সুন্দর লাগতে লাগে। অথবা বিশেষ একজন নির্দিষ্ট মানুষকে সব সময় আপনি যখন
দেখবেন বা আপনার চোখের সামনে থাকবে তখন তাকেই আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে
এবং সুন্দর বা সুন্দরী মনে হবে।
আর বিষয়টা হচ্ছে এখানে যে জেলার মানুষ বেশি সুন্দর বা সুন্দরী এটি এখানে মুখ্য
বিষয়। তো কেউ বলছেন চট্টগ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি সুন্দর বা মেয়েরা
বেশি সুন্দরী। আবার কেউ বলছেন যে সিলেটের মানুষ বেশি সুন্দর বা মেয়েরা হচ্চে
সুন্দরী, কারণ সিলেটের হাওয়া খুব ঠান্ডা ও সুন্দর এবং নাতিশীতোষ্ণ বা শীতল
হাওয়া।
আর এই কারণেই সিলেটের মানুষদের ত্বক বা চামড়া গুলো ফ্রেশ এবং উজ্জ্বল হয়।
আবার অনেকেই অনেক জেলার মানুষকে সুন্দর বলে থাকে। যেটাই হোক আমার কাছে
আপনিই সবচেয়ে বেশি সুন্দর বা সুন্দরী। যেহেতু আপনার মন পরিষ্কার সেহেতু
আপনি নিশ্চয়ই সুন্দর বা সুন্দরী!
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি বিদেশে থাকে?
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি বিদেশে থাকে ব্যাপারটি জানতে আপনি এ জায়গাটা
পড়তে থাকুন।বাংলাদেশ এর যে জেলার মানুষ প্রবাস বা বিদেশি জীবন যাপন করে সেটি
এখানে বলছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ বিদেশে থাকে। বর্তমান সময়ে
কাতারে বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ অবস্থান করছে আর এ তথ্যটি একজন বাংলাদেশের
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডঃ সিরাজুল ইসলাম বলেছেন।
আর তার ব্যাখা অনুযায়ী যে কথাটি উঠে এসেছে সেটি হচ্ছে যে সবচেয়ে বেশি
চট্টগ্রামের মানুষ বিদেশে থাকে, তারপরে কুমিল্লা জেলার মানুষ, তারপরে সিলেট
জেলার মানুষ, তারপরে হচ্ছে উত্তরবঙ্গীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর মানুষ
বেশি বিদেশে থাকে। এরপরে আরও বিদেশে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার
মানুষ। এরপরে রয়েছে ফেনী জেলা, নোয়াখালী জেলা এবং ফরিদপুর জেলার
মানুষও বিদেশে থাকে বেশি। এছাড়াও আরো বিভিন্ন জেলার মানুষ কম বেশি
বিদেশে থাকে।
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত ২০২৪?
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত ২০২৪? বিষয়টি ইতোমধ্যেই আপনার
সামনে আলোকপাত করেছি আপনি যদি এই আর্টিকেলটির উপরের শিরোনামগুলি ভালোভাবে পড়ে
থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তারপরও বলছি প্রকৃত শিক্ষা ব্যাপারটি
হচ্ছে নৈতিক শিক্ষার ভিতরেই অন্তর্নিহিত। এজন্য আমাদের ভিতরে বেশি বেশি
নীতিমালা আর শিক্ষার আলো ছড়াতে হবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত মানুষ হচ্ছে পিরোজপুরে অবস্থিত যেখানে প্রায়
৯০% মানুষ শিক্ষিত। তারপরে বরগুনা জেলা, তারপরে ঝালকাঠি, তারপরে বরিশাল,
তারপরে বাগেরহাট। আপনি ও আপনার ঘর থেকে আপনার বাচ্চাদের মাধ্যমে শিক্ষার
আলো ছড়িয়ে দিয়ে সর্ব প্রথমে আপনার বাড়ি, তারপরে আপনার মহল্লা, তারপরে আপনার
গ্রাম, তারপরে আপনার ইউনিয়ন, তারপরে আপনার উপজেলা, তারপরে আপনার
জেলা পর্যন্ত শিক্ষার আলোকে পর্যায়ক্রমে দিক দিগন্তে ছড়িয়ে দিতে
পারেন এবং আপনি সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জেলার মানুষের পরিণত হতে পারেন।
তাই দেরি না করে আজকে থেকেই শিক্ষা থেকে পিছুটান না
হয়ে আপনি আপনার সন্তানকে সময়মতো স্কুলে পাঠান এবং গড়ে তুলুন শিক্ষার
ভিত। শুধু তাই নয়, আপনি আপনার বাবা মাকে, যদি তারা অক্ষর জ্ঞানহীন হয়
তাহলে নিশ্চয়ই শিখিয়ে স্বাক্ষরতার পরিচয় দিতে পারেন, ফলে তারা
বিভিন্ন জায়গায় হাতের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সই না করে, লিখে যেন তারা স্বাক্ষর
করতে পারে, এই চেষ্টা তদবির ভিতরে থাকা লাগবে।
বাংলাদেশের ৬৬তম জেলার নাম কি?
বাংলাদেশের ৬৬তম জেলার নাম কি? জানতে আপনি এই শিরোনামটি করতে
থাকুন। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জেলা সংখ্যা কয়টি? এবং জেলা কি আসলে ৬৬
টি নাকি ৬৫টি নাকি ৬৪ টি? এ ব্যাপারটি আপনাকে আগে নিশ্চিত হতে হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় তথ্য এর যে বাতায়ন এটা অনুসারে বাংলাদেশের
মোট আটটি বিভাগ এবং ৬৪ টি জেলা।
আরো পড়ুনঃ 2024 সালের ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সহজ কাজ
তবে আপনি যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন যে বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম
কী? তাহলে দেখবেন যে বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলবে, তবে নিশ্চিতভাবে জেনে
রাখুন যে বাংলাদেশের জেলা সংখ্যা হচ্ছে ৬৬, সেহেতু ৬৬ তম জেলা কি হবে, এটা
হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। যেহেতু লিখছেন যে বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম
হচ্ছে পঞ্চগড় জেলা। আর ৬৫ তম জেলার নাম হচ্ছে ভৈরব জেলা। আর ৬৪/৬৫ কতটুকু
সঠিক এটা বলা অযৌক্তিক।
লেখকের শেষ মন্তব্য
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত এতদ্বসংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের
কোন জেলার মানুষ বেশি ধনী এবং আরো লিখেছি যে বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি
সুন্দর ইত্যাদি বিষয়। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে
থাকেন তাহলে আমাদের বিশ্বাস যে আপনি উক্ত আর্টিকেল পড়ে বাংলাদেশের জেলা
সংক্রান্ত বেশি শিক্ষিত, বেশি ধনী, বেশি সুন্দর বিষয়গুলো বুঝার চেষ্টা
করেছেন। আরও এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন
ইনশাআল্লাহ!
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url