দূষণ কী - পরিবেশ দূষণের প্রভাব সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানুন

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাদূষণ কী এবং দূষণ পরিবেশে কি প্রভাব ফেলে বিষয়টি জানতে এখানে উপস্থিত হয়েছেন তাই না? দূষণ পরিবেশ এ প্রচুর প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে বায়ূ দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদি অনেক দূষণ রয়েছে। 

দূষণ-কী

তো প্রিয় পাঠক, দূষণ থেকে বাঁচতে বা দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেই উপায়গুলো প্রতিটি মানুষ সচেতনার সাথে হেন্ডেল করলে সফলভাবে দূষণের মোকাবেলা করা সম্ভব। চলুন জেনে নিই দূষণ বিষয়টি নিম্নরুপে ব্যাখ্যা করি।

পেজ সূচীপত্রঃ দূষণ কী ব্যাপারটি পরিবেশ দূষণের প্রভাব সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানুন

দূষণ কী? 

দূষণ কী এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা করি চলুন। দূষণ শব্দের ইংরেজি শব্দ হচ্ছে পলিউশন (pollution)। এটি মূলত ল্যাটিন শব্দ কন্টামিনেট থেকে এসেছে, যার অর্থ দূষণ। সমার্থক শব্দ হিসেবে করাপশন ব্যবহৃত হয়। দূষণ শব্দের অর্থ হলো বিরূপ প্রভাব ফেলা বা ক্ষতি করা কিংবা নষ্ট হওয়া বা নষ্ট করা অথবা ব্যবহার অনুপযুক্ত করে ফেলা। দূষণ শব্দের সংজ্ঞা হচ্ছে এমন দূষিত বা ক্ষতিকর পদার্থ যার মাধ্যমে অন্য বা ভিন্ন কোন জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা বা ক্ষতিগ্রস্ত করা। 

ক্ষতিকর পদার্থের অপর নাম হচ্ছে বর্জ্য পদার্থ বা এলিমেন্ট। তাহলে বিষয়টি দাঁড়ালো এ রকম যে, যে পদার্থটি দূষণ সৃষ্টি করে তাকে দূষণকারী বলে, আর যদি দূষণযুক্ত হয় সেটিকে দূষিত পদার্থ বলে, আর এ প্রক্রিয়াটা হচ্ছে দূষণ প্রক্রিয়া। দূষণ প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিশেষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ছেলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রথমে সুন্দর স্বচ্ছ ছিল বিশ্বের নানাবিধ কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে দুষক বা দূষণকারী পদার্থের মাধ্যমে ন্যাচারাল এনভাইরনমেন্ট বা প্রাকৃতিক পরিবেশটা দূষিত হচ্ছে। 

আরো পড়ুনঃ  অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ - মানুষের অতিরিক্ত ঘুম আসে কেন?

শহরের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থের জন্য পরিবেশ দূষিত হয়। যেমন কলকারখানায় উৎপাদন বা প্রোডাকশনে, আধুনিক ধান সিদ্ধ করা মেশিন প্রক্রিয়ায়, বিভিন্ন মেডিসিন বা ঔষধ ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসিং এ, ইটের ভাটার ধোঁয়ায় এবং নানান শহরে ময়লা আবর্জনা যত্রতত্রে ফেলায় পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশের মধ্যে বিশেষ করে বায়ূ বা বাতাস, পানি বা জল, ভূমি বা মাটি ইত্যাদি দূষিত হয়। বাতাস দূষণের কারণে স্বচ্ছ ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করা যায় না। মাটি দূষণের কারণে মাটির উর্বর শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। পানি দূষণের কারণে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হয়।

পরিবেশ দূষণের প্রভাব

পরিবেশ দূষণের প্রভাব মারাত্মকভাবে বাংলাদেশে আকার ধারণ করছে। শুধু বাংলাদেশী নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বা রাষ্ট্রের আনাচ-কানাচে পরিবেশের দূষণ বা ক্ষতির কারণে মানুষ থেকে ছোট বাচ্চা, নারী এবং বৃদ্ধ বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালের সিইএ বা দ্যা বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট এনালাইসিস এর প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশে ২ লক্ষ ৭২ হাজারেরও বেশি নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ এবং শিশুর আকস্মিক মৃত্যু হচ্ছে। 

আমরা আজকে ঠিক মতো অক্সিজেন পায় না তার অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতেও পারবো না। অক্সিজেনের মাধ্যমে মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক থাকবে। অক্সিজেন সব প্রাণীর জন্যই প্রয়োজন। অক্সিজেন দেহে সঠিক মাত্রায় থাকলে দেহ সুস্থ থাকবে। আর অক্সিজেন গুলো আমরা পেয়ে থাকি গাছ থেকে। তাই বলে চলে গাছ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অবলম্বন। আর গাছগুলোকে একটা লম্বা সময় ধরে দেখা যাচ্ছে কেটে নিধন বা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। 

আবার মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী খাবারের মাধ্যমে বেঁচে থাকে। আর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই খাবার গুলোকে হতে হয় নির্ভেজাল এবং খাঁটি বা সতেজ। কিন্তু আজ সতেজ এবং নির্ভেজাল খাবার পাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ এই খাবার যে মাটি থেকে উৎপাদন হচ্ছে সেই মাটি হচ্ছে দূষিত বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থের কারণে। এবং মাটির উর্বর ক্ষমতা বা উৎপাদন শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। 

যার কারণে মাটিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে আধুনিকভাবে উৎপাদিত ফার্টিলাইজার বা সার। যার কারনে এই মাটি থেকে উৎপাদিত ফসল বা খাবার এর গুণমান নষ্ট হচ্ছে এবং ভেজাল যুক্ত হচ্ছে। আর এই সমস্ত খাবার খেয়ে আমরা জীবন ধারণ করায় আমাদের জীবনগুলো দুর্বিসহ হয়ে পড়ছে। এভাবে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করছে। পৃথিবীর পরিবেশে আজ অনেক কিছুই উৎপাদন হচ্ছে যেখানে দূষিত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডল কে দূষিত করছে। 

মানুষ আজ শত শত কার্বন তৈরি করছে আর সেই কার্বন ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করছে। কার্বন তৈরির কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে যে দেশগুলির যে এলাকাগুলোতে বরফ রয়েছে সে বরফগুলো গলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। একসময় সেই সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাবে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

পানি বিভিন্নভাবে দূষিত হচ্ছে যার কারণে মিষ্টি পানির লোনা পানিতে রুপান্তরিত হচ্ছে। আর মিষ্টি পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে সঠিক মাত্রায় ফসল ফলে না এবং উৎপাদন হয় না। ফলে ফসলের ঘাটতির কারণে বিশ্ব জনবলের মাঝে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্নভাবে পরিবেশটাকে বিশ্বের নানা দূষণ দূষিত করছে।

দূষণ কয় ধরনের?

দূষণ অনেক ধরনের হয় যার মধ্যে প্রধানগুলো যেগুলো বিভিন্ন পদার্থের মাধ্যমে হয়ে থাকে যেমন কঠিন পদার্থ, বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থ তরল পদার্থের মাধ্যমে। কঠিন পদার্থ যেমন মাটি বা মৃত্তিকা বা ভূমি দূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, গাছপালা দূষণ এবং বিভিন্ন শক্ত দ্রব্য দূষণ। গ্যাসীয় বা বায়বীয় দূষণ হচ্ছে অক্সিজেন দূষণ, বাতাস দূষণ, বিভিন্ন গ্যাস দূষণ যেমন মিথেন, ইথেন, পেট্রোল, কেরোসিন, ডিজেল এবং তেল ইত্যাদি। 

আর তরল পদার্থের দূষণ যেমন পানি বা জল দূষণ, মিনারেল দূষণ, মধু দূষণ, দুধ দূষণ ইত্যাদি। আজ বিশ্বের যত দূষণ দেখা যাচ্ছে সবগুলো মানুষের হাতির কামায় মানুষের মাধ্যমেই সংঘটিত হচ্ছে। যেমন ভূমি দূষণ এটা বন জঙ্গল বা বিভিন্ন জায়গার গাছপালা বা বৃক্ষ নিধনের মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে। আর পানি দূষণ এটা নদীর পানিতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ ফেলা এবং সাগরের পানিতে সেই বর্জ্য পদার্থগুলো বেশি বেশি সাগরে পৌঁছে যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পানি দূষণ হচ্ছে। 

আবার বায়বীয় বা গ্যাসীয় দূষণ হচ্ছে বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন দূষিত ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর দূষিত হচ্ছে এবং গাছপালায়ও এই দোয়াগুলো প্রভাব সৃষ্টি করায় বিশুদ্ধ অক্সিজেন থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। আবার বিভিন্ন কলকারখানা এবং ইটের ভাটা ইত্যাদির ক্ষতিকারক ধোঁয়া যেটা পরিবেশটাকে ব্যাহত করছে। তাপ দূষণ, আলো দূষণ এবং তেজস্ক্রিয় দূষণ এর প্রভাব ও পরিবেশ দূষিত হওয়ার এক অনন্য উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

আর শব্দ দূষণের কারণে আমাদের নিত্য দিনের চলাচলের জীবন থমকে দাড়াচ্ছে। যেমন শহরের গাড়ি ঘোড়ার শব্দ বা হুইসেল বা বাঁশি, আর ইঞ্জিন চালিত বিভিন্ন কিছুর শব্দ আমাদের শ্রবণ শক্তিকে নষ্ট করছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাব এভাবেই সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে।

দূষণ প্রতিরোধ কি?

দূষণ প্রতিরোধ কি বিষয়টি আলোকপাত করছি। দূষণ প্রতিরোধ মানে দূষণ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ। এই দূষণ থেকে কেমনে বাঁচা যায়, দূষণকে কেমনে দূর করা যায় বা বিদায় করা যায় এর প্রক্রিয়া। দূষণ থেকে সম্পূর্ণরূপে যদিও বাঁচা সম্ভব না হয় এরপরেও যথাসম্ভব কিছুটা হলেও মানুষ বাঁচতে পারে। যদি মানুষ একটু সজাগ ও সতর্ক হয় তবেই এটা সম্ভব। মানুষ সজাগ সতর্ক হবে যেভাবে সেটা হচ্ছে যেভাবে গাছপালা কেটে বন জঙ্গল সাফ করা হচ্ছে।

এবং অপ্রয়োজনেও বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা কাটা হচ্ছে তো যদি প্রয়োজন না থাকে তাহলে গাছপালা বা বন জঙ্গল নিধন না করে পরিবেশের দূষণ ঠেকানো যায়। দূষণ থেকে বাঁচার জন্য কি উপায়ে রয়েছে এই বিষয়গুলো মানুষকে জানানো। দূষণ যে মারাত্মক ক্ষতিকর জীবনের জন্য, জীবনধারণের জন্য এগুলো সতর্ক করতে হবে। মানব জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, ভেজালমুক্ত পানি, বিশুদ্ধ বায়ু বা বাতাস বাব অক্সিজেন এবং উর্বর মাটি ইত্যাদি দরকার। 

আর এগুলো বিশুদ্ধ রাখতে পরিবেশকে সুন্দর স্বচ্ছ ও ভেজালমুক্ত রাখাও অত্যাবশ্যকীয়। কারণ যে পানি গ্রহণ করবেন তার ভিতরে ভেজাল থাকলে শরীরে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ গ্রাস করবে। পানি আমাদের সার্বক্ষণিক দরকার। দেহে পানি দরকার, গাছপালায় পানি দরকার, জমিনে বা ফসলে পানি দরকার এবং গোসল করতেও পানি দরকার। পানি ছাড়া জীবন অচল যেহেতু পানির অপর নাম জীবন বলা হয়ে থাকে। 

আর বাতাস আমাদের শরীর জুড়ানোর জন্য, অক্সিজেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য, শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখার জন্য অতীব জরুরী। অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচতেই পারে না। অক্সিজেন গাছপালা থেকে আসে। এক্ষেত্রে গাছপালা যদি নিধন করা হয় বা কেটে ফেলা হয় তাহলে অক্সিজেন পাওয়া খুবই দায় হয়ে যাবে। অক্সিজেন না পেলে মানুষ এক সেকেন্ড সামনে পা বাড়াতে পারবে না। 

দূষণ-প্রতিরোধ-কি

মাটি মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ, মাটি থেকে আমাদের সব রকমের ফসল, খাবার পানীয় ইত্যাদি আমরা পেয়ে থাকি। আর মাটিই যদি দূষিত হয়ে যায় তাহলে আমরা আমাদের নিত্যদিনের জীবন ধারণের যে আবশ্যকীয় উপাদানগুলো সেগুলো থেকে বঞ্চিত হব। যেমন খাদ্য, বস্ত্র, স্থান ইত্যাদি পাবো না। ফলে জীবনধারণ আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই এই মাটি, পানি বাতাস বা অক্সিজেন কে বিশুদ্ধ রাখতে হবে।

দূষণ প্রতিরোধের 10 উপায়

দূষণ প্রতিরোধের ১০ উপায় এখানে আলোকপাত করছি। দূষণ প্রতিরোধ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দশটি উপায় এখানে থাকছে। সুপ্রিয় পাঠক, দুজন মানুষের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত, বাসা বাড়ি, চলার পথ, রাস্তাঘাট এবং কর্মস্থল ইত্যাদি এসব স্থান বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। দূষণ হচ্ছে পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। আর পরিবেশ সাধারণত মাটি, পানি, বাতাস, আলো এবং তাপ ইত্যাদি সমন্বয়ে গঠিত। আর পরিবেশকে ঠিক রাখতে ১০ টি উপায় নিচে লিখা হলো। 

১. গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি তাই আমাদের গাছগুলোকে বাঁচাতে হবে। গাছগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২. গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, লালন পালন করতে হবে এবং দেখাশোনা বা তদারকি করতে হবে। গাছগুলো সাজানো গোছানো রাখতে গিয়ে ময়না আবর্জনা দূর করতে হবে।

৩. বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করতে হবে। এক্ষেত্রে বন জঙ্গল কেটে উজাড় করা যাবে না। তবে প্রয়োজনীয় গাছ কাটলে তার স্থানে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। গাছ লাগার বিষয়টি যেমন সরকার বলতেছে অনুরূপ ধর্মীয় শাস্ত্রগুলোতে সমান ভাবে রয়েছে।

৪. যে মাটিতে আমরা ফসল উৎপাদন করি, ফলফলাদি আহরণ করি, বিভিন্ন খাবার বা খাদ্য পাই এ মাটি কে হেফাজত করত। এক্ষেত্রে মাটিতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ ফেলে রাখলে বর্জ্য পদার্থগুলো দূর করতে হবে।

৫. ভূমিতে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সার ব্যবহার করা যাবে না। কারণ জমি দূষিত হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে ফসল ভালো হয়। এক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে।

৬. মাটিকে প্রাকৃতিক উপায়ে চাষবাস করে আবাদ করতে হবে। মাটিতে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পলিথিন ইত্যাদি ফেলা হয়। কারণে মাটি দূষিত হয় এগুলো খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং পারোতো পক্ষে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনের এগুলোর উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। বিকল্প উপায় গ্রহণ করতে হবে।

৭. যে পানি আমরা গ্রহণ করি এ পানি যেন আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ফিল্টার জাতীয় মেশিন বা যন্ত্র বা প্রযুক্তি রয়েছে সেগুলোর ব্যবহার করতে হবে।

৮. শহরের বিভিন্ন নর্দমা বা নালায় বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয় ফলে এই বর্জ্য গুলো নালার সাথে সম্পৃক্ত নদীতে চলে যায়। যেন নদীতে এই বর্জ্য পদার্থ যুক্ত পানি না মিশে যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য নর্দমা বা নালাগুলো পরিষ্কার করতে হবে আর বর্জ্য পদার্থ গুলো মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে।

৯. শহরের বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ফ্যাক্টরি এবং শোধনাগারে যে ধোঁয়া তৈরি হয় সেগুলো বায়ুমন্ডলে প্রভাব সৃষ্টি করে। এগুলো থেকে যেন ধোঁয়ার কারবার কম হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এগুলোর ব্যবহার ও কমাতে হবে। এবং যথাসম্ভব বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

১০.  মাইকের শব্দ, পটকার শব্দ, বিভিন্ন কলকারখানা শব্দ, রেলগাড়ি, স্টিমার, বিমান ইত্যাদির শব্দ আমাদের প্রাণগুলোকে ভারি করে তুলে। শ্রমশক্তি হ্রাস করে। তাই এগুলোর শব্দকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বিষয়গুলো সচেতনতার সাথে মেইনটেইন করতে হবে। এক্ষেত্র পটকা ফুটানো অপ্রয়োজনীয় দরকার নেই। আর যেগুলো না করলেই নয় এগুলো কম করার চেষ্টা করতে হবে এবং যথাসম্ভব সতর্কতার সাথে কম ব্যবহার করতে হবে, অযথা যেন কলকারখানা উড়োজাহাজ রেলগাড়ি ইত্যাদি শব্দ না হয় সেদিকে আপন আপন দায়িত্বশীলদের সতর্ক হতে হবে।

শব্দ দূষণ প্রতিরোধের 10 উপায়

শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০ উপায় বিষয়টি আলোকপাত করছি। শব্দ দূষণ শ্রবণ শক্তি কমায় এমনকি অনেক সময় কানের পর্দা পর্যন্ত ফাটিয়ে দেয়। বাস, ট্রাক, ট্রেন, কলকারখানা এবং বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনের মেশিন প্রভৃতির শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবন চলার পথকে রোধ করে এবং সুস্থভাবে জীবন যাপনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে মানুষের শব্দ সহ্যের ক্ষমতার একক ৬০ থেকে ৬৫ ডেসিবেল। আর এটা যদি ৭০ বা ৮০ অথবা ৮৫ ডেসিবেল পার হয়ে যায়,

তাহলে তখন মানুষের শ্রবণ শক্তিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে অর্থাৎ শ্রবণ শক্তি হ্রাস করে। বাংলাদেশের আইন রয়েছে যদি শব্দ দূষণ আইনের কেউ আওতায় পড়ে তাহলে তাকে প্রাথমিক পর্যায়ে কমপক্ষে ৫০০০ টাকা কিংবা একমাস জেল। হয় দুই শাস্তি একসাথে বা একটা একটা করে অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড। এর পরে আবারো যদি শব্দ দূষণের কেসে জড়িত হয় তাহলে তাকে ৬ মাস জেল খাটতে হবে এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা। এক্ষেত্রেও যেকোনো একটা বা দুটোই একসাথে। 

শব্দ দূষণের প্রতিরোধের উপায় গুলো এখানে বলছি। ১. বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে তাহলে গাছের আড়াল হলে শব্দ দূষণ একটু কম হবে। ২. ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে হবে, যেটি শব্দ দূষণের প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। ৩. জানালা বা দরজা বন্ধ রাখতে হবে যেগুলো শব্দ দূষণের আঘাত থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কাজ করবে। ৪.  শব্দ বাধা দেয় এমন হেডফোন ব্যবহার করতে হবে যেটি শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি কমাতে হেল্প করবে সে ক্ষেত্রে শব্দ দূষণ এর আঘাত কম হবে। 

৫. সাউন্ড প্রুফ ব্যবহার করতে হবে যেটি শব্দ এর দূষণ গুলো ফিল্টার করে এবং শব্দ দূষণের আঘাত থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। ৬. উচ্চস্বরে গান বাজনা ঠেকাতে হবে যেটি শব্দ দূষণের প্রভাব থেকে বাঁচার একটি উপায়। ৭. অযথা রেডিও টিভি ইত্যাদির ভলিউম বাড়াবো না এটি শব্দ দূষণ থেকে বাঁচার আরো একটি উপায়। ৮. বিয়ে বাড়ি বা কোন উদযাপনে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকা এবং রাখা এটি শব্দ দূষণ থেকে বাঁচার আরও একটি উপায়। 

৯. বিভিন্ন কলকারখানা মেইল ফ্যাক্টরি ইত্যাদির মেশিনের শব্দের মাত্রা কম করে ব্যবহার করতে হবে এটিও শব্দ দূষণ থেকে বাঁচার আরো একটি উপায়। ১০. বাস, ট্রাক, রেল, ট্রাক্টর এবং টিলার ইত্যাদি যানবাহনের হুইসেল বা বাঁশির আওয়াজ এর অযথা ব্যবহার কমাতে হবে এটিও শব্দ দূষণ থেকে মুক্তির আরো একটি উপায়।

বায়ু দূষণ প্রতিরোধের ১০ উপায়

বায়ু দূষণ প্রতিরোধের ১০ উপায় আলোকপাত করছি। বায়ু দূষণ হচ্ছে বায়ুতে বিভিন্ন বিষয়ের ধোয়া মিশ্রিত হয়ে বায়ু দূষিত হয় আর এটি হচ্ছে বায়ু দূষণ। বায়ু দূষণের কারণে মানুষের বিভিন্ন রোগ যেমন ফুসফুসের সমস্যা, হৃদরোগ, হাঁপানি এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হয়। বায়ু দূষণের ফলে প্রতিবছর হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে দূষিত বায়ু গ্রহণ করার কারণে। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বায়ু দূষিত শহর হচ্ছে ভারতের দিল্লি এর পরের অবস্থান রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা শহর।

 বায়ু দূষণ থেকে বিভিন্নভাবে রক্ষা পাওয়া যায় উপায় গুলো আলোকপাত করছি। বায়ু দূষণ প্রতিরোধের দশটি উপায় বলছি। ১. ধূমপানের কারণে পরিবেশে বায়ু দূষণ হয়। তাই ধুমপান থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থাকুন বায়ু দূষণ থেকে মুক্তি পাবেন। ২. যে ঋতু খুব গরম এবং শুষ্ক সেসময় গাছগুলোর পাতা ঝরে যায় এবং সেগুলো সংগ্রহ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জালানো বা পোড়ানোর কারণে বায়ু দূষিত হয়। বায়ুকে দূষণমুক্ত করতে বিষয়টি সচেতনতার সাথে গ্রহণ করুন। 

৩. যানবাহনের পেট্রোল ও ডিজেল খুবই ক্ষতিকারক গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড নির্গত করে যেটির ফলে বায়ু দূষিত হয়। তাই যথাসম্ভব পেট্রোল ও ডিজেল কম ব্যবহার করুন। ৪. অনেক শিল্পকারখানা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন এবং কার্বন-মনোক্সাইড ও কালো ধোঁয়া বের হয় যেটি বায়ু দূষিত হওয়ার আরো একটি কারণ। এটিকে যত পারেন কম ব্যবহার করেন তাহলে পরিবেশ সুন্দর রাখতে পারবেন। 

৫. জীবজন্তু মরে যাওয়ার কারণে সেটি মাটির উপরে থাকলে বাতাসের দুর্গন্ধ ছড়ায় এক্ষেত্রে হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। এটি থেকে বাঁচতে মৃত দেহগুলো যথারীতি মাটির তলে পুঁতে দেন। ৬. কয়লার তাপ বদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস উৎপাদন সহ সেখানকার ছাইগুলো বাতাসের সাথে মিশে বায়ু দূষণ সৃষ্টি করে। এটা থেকে বাঁচতে যথারীতি কয়লার ব্যবহার কম করুন। 

৭. কলকারখানা, রাস্তা তৈরির কাজ, ট্রেন বা প্রভৃতি যানবাহনের কালো ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে। তাই এগুলো যথা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। ৮. রাস্তায় বিভিন্ন জিনিস পুরানো, বিভিন্ন জায়গায় অনেক ধরনের নোংরা জিনিস জালানো ইত্যাদির কারণে কালো ধোঁয়া তৈরি হয় এবং এটি বায়ু দূষিত করে। এটি থেকে বাঁচতে বিকল্প পথ অবলম্বন করুন। 

৯. আমাদের গ্রামের বাড়িঘরে বা বিভিন্ন বড় বড় মিল গুলোতে ধান সিদ্ধ করার সময় এক ধরনের কালো ধোঁয়া তৈরি হয় যেটি বায়ু দূষণ করে। এটি থেকে বাঁচতে আধুনিক কোন উপায় অবলম্বন করুন। ১০. অনেক সময় বিভিন্ন বন জঙ্গল জ্বালানো পোড়ানো হয় এক্ষেত্রেও কালো ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে‌। এটি থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প পথ খুঁজুন। এক্ষেত্রে এগুলো না পুড়িয়ে মাটিতে চাপা দিয়ে দিতে পারেন।

পানি দূষণ প্রতিরোধের 10 উপায়

পানি দূষণ প্রতিরোধের 10 উপায় বর্ণনা করছি। পানি জীব ও জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান। পানির ব্যবহার এই জন্য খুব বিশ্বচেতনতার সাথে করতে এবং পানি বিষয়ক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে বিশ্ব পানি দিবস ও পালন করা হয়। পানির বিভিন্ন উৎস রয়েছে যেমন নদনদী খাল বিল সমুদ্র ইত্যাদিতে পানি রয়েছে। বৃষ্টির পানি রয়েছে যেগুলো বৃষ্টির সময় হয়। আবার ভূগর্ভস্থ পানি রয়েছে যেগুলো পাতাল থেকে বিভিন্নভাবে উপরে উঠানো হয়। 

আর পানি প্রায় সব কাজেই ব্যবহার হয়, খাওয়ার ক্ষেত্রে, ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবং আরো বিষয়ের পানি ব্যবহার হয়। এ পানি আজ অনেক ভাবে দূষিত হচ্ছে যেমন কলকারখানা বর্জ্য পদার্থ মিশ্রণের মাধ্যমে, ছাপাখানার রং মিশ্রণের ফলে, তেল ও মবিল ইত্যাদি মিশ্রনের কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। পানি দূষণ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় এখন আলোকপাত করছি যেগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুনঃ Carrot: গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী বিস্তারিত জানুন

১. পানি যে মানুষের ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এই বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। ২. পানি সম্পর্কে বিভিন্ন সেমিনার, নাটক প্রয়োজনে সভা করে মানুষকে জানাতে হবে যে এটি খুব মূল্যবান। ৩. পানিতে বিভিন্ন দূষিত বর্জ্য খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ৪. নদীর তীরে শিল্প কলকারখানা তৈরি বন্ধ করতে হবে যেটা থেকে অনেক বর্জ্য নদীতে মিশে পানি দূষিত করে। 

৫. নদীর তীরে আরো যে সমস্ত পানি দূষণ হয় এমন কাজগুলো যেমন নৌকা স্টিমার ভাঙ্গা ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে যার বর্জ্য উপাদান গুলো পানিতে মিশে দূষণ সৃষ্টি করে। ৬. কৃষি জমিতে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক ইত্যাদি মিশ্রিত পানি যাতে নদ-নদী, খাল বিল, সমুদ্রে না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. বিভিন্নভাবে আইন করতে হবে যেন কোনক্রমেই যেকোনো পানি থাকার জায়গাতে কোন বর্জ্য পদার্থ না ফেলা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

৮. শহরের নালা বা ড্রেন দিয়ে বিভিন্ন দূষিত তরল বর্জ্য নদীর সাথে মিশে গিয়ে পানি দূষণ করে। যেন বিষয়টির বিকল্প পন্থ অবলম্বন করে পানি দূষণ করতে না পারে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ৯. বৃষ্টির পানি যখন আকাশ থেকে পড়বে তখন সেগুলি যেন জমা রাখা যায় এজন্য বিভিন্ন খাল খনন করতে হবে যেগুলো বিশুদ্ধ পানির উৎস হিসাবে কাজ করবে। ১০. বিভিন্ন বজ্র পদার্থ দ্বারা দূষিত প্রাণী আধুনিক মেশিন দ্বারা বিশুদ্ধ করতে হবে। এটিও পানিকে দূষণমুক্ত করতে কালজয়ী একটি উপায়। 

পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের উপায়

পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের উপায় বিষয়টি আলোকপাত করছি। আমরা ইতিমধ্যেই পরিবেশের দূষণমুক্ত করতে নানান উপায় আলোচনা করেছি যেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। আরো একবার এখানে সংক্ষিপ্তভাবে ব্যক্ত করছি পরিবেশ দূষিত হলে দূষণ প্রতিরোধের উপায় গুলো কি হতে পারে। পরিবেশ বিভিন্ন বিষয়ের সমাহার যেমন মাটি, পানি, বাতাস, আলো, শব্দ ও তাপ ইত্যাদি। আর এগুলোর প্রত্যেকটি দূষিত হয় বিভিন্ন উপায়ে। 

এই দূষিত ভূমি, দূষিত বায়ু, দূষিত জল এবং দূষিত শব্দ দূষণমুক্ত করার জন্য বেশ কিছু সাধারণ উপায় অবলম্বন করা যায়। যেমন বর্জ্য পদার্থ যথাসম্ভব যেখানে সেখানে না ফেলা। ইচ্ছামত কীটনাশক ব্যবহার না করা। কলকারখানার ধোঁয়া যেন না হয় বিষয়টি লক্ষ্য রাখা। বিভিন্ন মেশিন যেমন ট্যানারি, ছাপাখানা, প্রিন্ট মেশিন ইত্যাদির মাধ্যমে যে দূষণ গুলো বের হয় সেগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া। 

পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের উপায়

শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে যত্রে তত্রে পলিথিন প্লাস্টিক ইত্যাদির না ফেলা। অপ্রয়োজনে বন জঙ্গলের বাড়ির আশেপাশের গাছ কেটে না ফেলা। বেশি বেশি গাছ লাগানো। সমুদ্র কিংবা নদীর পাশে শিল্প কলকারখানা ইত্যাদি তৈরি না করা। সুপ্রিয় পাঠক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করলে আশা করা যায় অনেকাংশেই পরিবেশের দূষণ থেকে পরিবেশকে বাঁচানো বা রক্ষা করা সম্ভব। হলে আমাদের আশপাশ, জীবনধারণ এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ইত্যাদি সম্ভব হবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

দূষণ কী এবং দূষণ পরিবেশে কি প্রভাব ফেলে বিষয়টি আরো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহকারে আলোকপাত করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি উক্ত ব্লগটি যত সম্ভব যথারীতি নিয়মে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি দূষণ এবং দূষণ থেকে বাঁচতে যে উপায়গুলো সেগুলো স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন। আরো এরকম নিত্য নতুন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ। আর আপনাকে আল্লাহ ভালো রাখুন!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url