আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

১০টি বর্ষাকালীন সবজির নামআমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এখানে এসেছেন তাই না? প্রিয় পাঠক, আম হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় বিক্ষাত ফলের নাম। যেটি খাইতে যেমন মজা ও সুস্বাদু তেমনি অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধি। 

আমের-পুষ্টিগুণ-ও-উপকারিতা

আর এই আমের বিভিন্ন জাত রয়েছে এবং একেক আমের একেক উপকারিতা। তো চলুন জেনে নিই আমের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা বিষয়টি। তাহলে আর দেরি না করে মনোযোগ দিন।

পেজ সূচীপত্রঃ আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সহ বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে স্পষ্ট করে লিখার চেষ্টা করছি। প্রিয় পাঠক, আমের বিভিন্ন পুষ্টি এবং অনেক উপকারিতা রয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কিন্তু আমার কাছে আম হওয়াটাই বেশি ভালো ছিল। কারণ, এই আম আজকাল এত বেশি সুখ্যাত এবং প্রখ্যাত যে আম দেখলেই যেমন সুন্দর লাগে তেমন খাইতেও অনেক ভালো লাগে। 

আম হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় এক ধরনের ফল যেটি কাঁচাতে সবুজ থাকে এবং পাকলে এটি হলুদ হয়ে যায় এবং খুব আকর্ষণীয় হয়। এখন আমের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করছি। প্রথমে বলবো আমে রয়েছে ভিটামিনের প্রায়ই অনেকগুলোই, এগুলো আমাদের শরীর বর্ধনে এবং শক্তিমত্তায় সহযোগিতা করে। 

যেমন ভিটামিন A রয়েছে এই আমে যেটা চক্ষু সুস্থ রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহযোগিতা করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যেটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ই রয়েছে, এটি শরীরের ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য খুবই হেল্পফুল বা সহায়ক। আবার এই আমে রয়েছে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ, যেটি দ্বারা পরিপাকতন্ত্রে বা হজম ক্রিয়ায় সহযোগিতা করে। 

আরো পড়ুনঃ ১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা যেগুলো খুবই কার্যকরী

আবার আমে রয়েছে এনজাইম যেটি শরীরের অন্ত্রের আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া সচল রাখতে ভূমিকা পালন করে। আবার এই আমে অনেক পটাশিয়াম থাকে যেটি ঠান্ডা দূর করতে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। আরো এই আমে রয়েছে আয়রন যেটি শরীরের অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। 

আমে আরো যে জিনিসটা রয়েছে সেটা হচ্ছে প্রচুর ক্যালরি বা খাদ্য প্রাণ, কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং আমিষ রয়েছে যেগুলো শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়। আমের দ্বারা যে উপকারিতা গুলো হয় সেগুলো হচ্ছে হৃদরোগ জনিত সমস্যা দূর করতে, মরণঘাতী ব্যাধি ক্যান্সার রোধে এবং লিভার বা যকৃতের সমস্যা দূর করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

পাকা আমের উপকারিতা

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এই শিরোনামের সাথে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে পাকা আমের উপকারিতা বিষয়টি। তো এই জায়গায় পাকা আমে কি উপকারিতা রয়েছে এ বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করে লেখার চেষ্টা করছি। প্রিয় পাঠক, পাকা আমে অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। 

তাই পাকা আমের উপকারিতা জানতে এই জায়গাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। পাকা আমে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সার রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আবার এতে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ এবং ভিটামিন সি থাকার কারণে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থেকে সুরক্ষা দেয়। 

আবার এই আমে ২৫ রকমের ক্যারোটেনয়েডস এবং আরো শক্তিশালী ভিটামিন সি সহ অন্যান্য বৈচিত্র্যময় ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাকা আমের মাধ্যমে শরীরে অনেক দামি অঙ্গ চোখের আস্তে অবদান রাখে, বিশেষ করে চোখের শুষ্কতা থেকে সুরক্ষা দেয়, যেহেতু এতে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন এ। 

শরীরের ত্বক বা চামড়ার জন্য অত্যন্ত উপকারী ও কার্যকরী হচ্ছে একটি সুমিষ্ট  পাকা আম ফল। যার মধ্যে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমেই মূলত ত্বক সুন্দর থাকে। আবার এতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যেটি চুলের জন্য খুবই গুন সমৃদ্ধ। 

কাঁচা আম খেলে কি হয়?

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এই শিরোনামটির সাথে আরো একটি বিষয় সংশ্লিষ্ট সেটি হচ্ছে কাঁচা আম খেলে কি হয় এ বিষয়টি। কাঁচা আম খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং কাঁচা আমের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও রয়েছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার পুষ্টিগুণ ব্যাপার গুলো। 

কাঁচা আমকে অনেকেই অনেকভাবে খেয়ে থাকে যেমন কেউ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে খায়। আবার কেউ লবণ দিয়ে খুব স্বাদ করে খায়। আবার কেউ কাঁচা আমের শরবত বানিয়ে খায়। আবার মা বোনেরা তরকারিতে কাঁচা আম দিয়ে তরকারির স্বাদকে ভিন্নমাত্রায় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেটি ব্যবহার করে।

এটি তরকারিতে দিয়ে তার মধ্যে একটা টক জাতীয় সুস্বাদু ভাব চলে আসে, আর তখন তা খেতে অনেক ভালো ও মজাদার লাগে। আবার কাঁচা আম কেউ চাটনির সাথে মিশ করে দিয়ে খায়। তো কাঁচা আম শুধু খাওয়াতেই স্বাদ তা নয় এটি অনেক স্বাস্থ্যকরও বটে। যেহেতু কাঁচা আমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি রয়েছে তা মাড়ির দাঁতের রক্ত পড়া বন্ধ করে এবং স্কার্ভি জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। 

কাঁচা-আম-খেলে-কি-হয়

এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে যেহেতু এতে ফাইবার রয়েছে, আর এই ফাইবার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম ক্রিয়ায় সূক্ষ্ম ভূমিকা পালন করে। কাঁচা আম খেলে শরীরের অলসতা, ক্লান্তি বোধ এবং ঝিমুনি বা তন্দ্রা দূর হয়। আবার কাঁচা আম খাওয়ায় এসিডিটি বা অম্লতা দূর হয় এবং বমি বমি ভাব চলে যায়। 

আম খাওয়ার উপকারিতা

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এই শিরোনামটির সাথে আম খাওয়ার উপকারিতা ব্যাপারটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্মানিত পাঠক, আমরা ইতিমধ্যেই জানানোর চেষ্টা করেছি আমের যে উপকারিতাগুলো রয়েছে সেগুলো। মূলত একই ব্যাপার খুব বেশি পার্থক্য নেই। আমরা উপরে লিখেছি আমের উপকারিতা আর এখানে লিখছি আম খাওয়ার উপকারিতা। 

তার মানে কি এই নয় যে আমের উপকারিতা মানেই আম খাওয়ার উপকারিতা। আম খেলে কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আবারো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে সংক্ষেপে। আম খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। রক্তস্বল্পতা দূর হয়। চোখের সমস্যা দূর হয়। বমি বমি ভাব থাকে না। 

আম খেলে ত্বকের খসখসে ভাব চলে যায়। চুলকে সতেজ ও সুন্দর রাখে। আম খাওয়ার কারণে শরীরে প্রচুর শক্তি চলে আসে। আম খেলে লিভারের সমস্যা দূর হয়। আম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং হজম সহজ হয় ইত্যাদি। 

আমের উপকারিতা

আমের উপকারিতা লিখছি। প্রিয় ও সম্মানিত দর্শক শ্রোতা এবং পাঠকমন্ডলী, আমের উপকারিতা বা আম খাওয়ার উপকারিতা বিষয়গুলো ইতিমধ্যেই আলোকপাত হয়েছে। এরপরেও আরো কিছু এখানে বর্ণনা করছি। এই আমে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে ইত্যাদি। আর আমরা জানি ভিটামিন মানেই শক্তিবর্ধক। 

যেহেতু এই আমের মধ্যে বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে সেহেতু এটা খেলে অবশ্যই শরীরের মধ্যে অনেক শক্তি বর্ধন হবে। আবার এই আমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি যার অর্থ হচ্ছে খাদ্য প্রাণ বা শক্তি, অর্থাৎ এ আম ফল খেলে শরীরের প্রচুর শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং বডি সচল হবে। আমে আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন বা লৌহ, ফাইবার পেকটিন ইত্যাদি। 

যেগুলোর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন হয়। রক্তের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে, ত্বকের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে, অন্ত্রের বা নাড়ি ভুঁড়ির ভেতরের অবস্থা ঠিক রাখতে সাহায্য করে, মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে, চোখের সমস্যা দূর করে, দাঁত এবং হাড় হাড্ডি শক্ত রাখে এবং আরো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য ও সহযোগিতা করে।

আম খাওয়ার নিয়ম

আম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লিখছি। আম বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, যেমন আমচুর করে খায়, আবার আমের দ্বারা কেউ আমসত্ত বানায়, কেউ এটিকে বিভিন্নভাবে আচার করে খায়, কেউ তরকারিতে দিয়ে খায়, কেউ শরবত বানিয়ে খায়, কেউ আবার আমের রুটি বানিয়ে খায়, কেউ আমের চটপটি বানিয়ে খাওয়া সহ আমাটা ইত্যাদি বানায়। তবে আমকে যেভাবে খান না কেন নিয়ম মেনে খেতে হবে। 

খুব বেশি খেয়ে নিলে অনেকেরই এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। এ আম ফলগুলোকে বাজার থেকে নিয়ে খেলে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে, যাতে করে তার ভিতরে যদি ফরমালিন থাকে সেগুলো দূর হয়ে যায় এবং অন্যান্য সমস্যাও দূর হয়ে যায়। ফরমালিন দূর করার জন্য কমপক্ষে ৪৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখা ভালো। তবে এক থেকে দুই ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখা আরো বেশি ভালো। 

আরেকটি বিষয় আম ও দই একসাথে না খাওয়াটাই বেটার, এক্ষেত্রে গ্যাসের বেশি সমস্যা হয়। আর আম খাওয়ার পরে পানি খাবেন না, যেহেতু আমের মধ্যেই প্রচুর পানি রয়েছে এবং সাধারণত ফল খাওয়ার পরে পানি খেতে হয় না। তবে একটু আধটু খেলে সমস্যা নেই।

আম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে এই জায়গায় বিবরণ আনার চেষ্টা করছি। আম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে, যেমন আম পাতার দ্বারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটা বা দুইটা কচি আমের পাতা নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত পরিষ্কার হয় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। 

আম পাতার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয় যেটি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার এর মাধ্যমে জানতে পারা যায়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন আম পাতার মধ্যে এন্টি এনজাইটি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যেগুলো পর্যায়ক্রমে এনজাইটি বা হতাশা, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা এবং উদ্বেগ এবং শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে বা শরীরের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ দূর করে। আবার এই আম পাতার মাধ্যমে অনেকেই চা বানিয়ে খায়। 

আম পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং চোখের সমস্যা দূর করে। আম পাতার অপকারিতা এখন লিখছি। আম পাতার অপকারিতা তেমন কিছু দেখা যায় না। তবে প্রত্যেকটি গাছের পাতার মধ্যে এক ধরনের পোকা থাকে যা সে খায়, আর এই পোকা থেকে সাবধান হয়ে পোকা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

তাহলে আম পাতা সুরক্ষিত থাকবে। আর  পাতা সুরক্ষিত থাকলে গাছ ও সুরক্ষিত থাকবে। আম পাতায় কারো কারো এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে। আবার আম পাতায় প্রচুর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে যেটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক যদি সে কোন উপায়ে খায় তাহলে। আম পাতায় অনেক পরিমাণ ফাইবার থাকায় বেশি পরিমাণ ব্যবহার করলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আম কখন খাওয়া ভালো?

আম কখন খাওয়া ভালো ব্যাপারটি আলোকপাত করছি। আম বিভিন্ন সময়ে খাওয়া যায় সকালে, দুপুরে ও রাত্রে যেকোনো সময়। তবে বিশেষ সময় টা হচ্ছে যে কোন ভারী খাবার খাওয়ার পরে বিশেষ করে দুপুরে খাবার পর বা রাতে খাবার পর খাওয়া ভালো। 

আরো পড়ুনঃ শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে যেটি না জানলে নয়

অথবা সকালে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যায়। যেমন পান্তা ভাতের সাথে আম খেলে অনেক মজা ও সুস্বাদু লাগে, কলা দিয়ে পান্তা ভাত খেলে যেমনটি লাগে। আবার যারা ডায়েট করে তাদের জন্য ডেইলি একটা বা দুইটা করে আম খাওয়া ভালো। 

তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের আম খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করাটা উচিত। যেহেতু আমের মধ্যে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা রয়েছে, এটা ডায়াবেটিস বৃদ্ধির জন্য দায়ী হয়ে থাকে। তবে গবেষকরা বলছেন যে রাতে খাবারের পর আম খেলে হজমের সমস্যা হয়। আর সকালে খাওয়ার পর আম খেলে হজমে সহায়ক হয়। তাই বিষয়গুলো বিবেচনা করে আম খেতে হবে।

অতিরিক্ত কাঁচা আম খেলে কি হয়?

অতিরিক্ত কাঁচা আম খেলে কি হয় বিষয়টি বর্ণনা করছি। সুপ্রিয় পাঠকমন্ডলী, যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত খেলেই সমস্যা, শুধু আম বলে কথা নয়, আর কাঁচা আম বলেও কথা নয়, পাকা আম বলেও কথা নয়, যেকোনো ফল বা যেকোনো খাবার নিয়ম মাফিক খাওয়া ভালো। 

কাঁচা আম খাওয়ার পরে সাথে সাথেই ঠান্ডা পানি খেলে গলা জ্বলা এবং পেট জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। বালেগ বা পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি বা মানুষদের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁচা আম খাওয়া অনেক উপকারিতা ও গুনাগুণ সমৃদ্ধ। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই মাত্রাতিরিক্ত কাঁচা আম খেলে যেহেতু এর মধ্যে ফাইবার রয়েছে প্রচুর,

অতিরিক্ত-কাঁচা-আম-খেলে-কি-হয়

তাই ডায়রিয়া ও হজম জনিত সমস্যা হয়। এবং অনেকের মারাত্মক পেট ব্যথা পর্যন্ত হয়। তাই অতিরিক্ত কাঁচা আম খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। ম্যাংগো মাউথ বলে একটা রোগ রয়েছে যেটি অতিরিক্ত মাত্রায় আম খাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। 

ম্যাংগো মাউথ হচ্ছে মুখে ফুলা ভাব, চুলকানি, ফোসা পড়ে যাওয়া ইত্যাদি হওয়া, আবার জিহ্বা এবং ঠোট ও জ্বালাতন করতে পারে। আবার আম যদি দুধের সঙ্গে খাওয়া যায় তাহলে বদহজম, পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হয়। তাই বেশি পরিমাণে আম খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করুন। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো উল্লেখিত আর্টিকেল বা ব্লগটিতে সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আম এর উপকারিতা ও অপকারিতা, পাকা আম ও কাঁচা আম ইত্যাদি সম্পৃক্ত বিষয়গুলো জেনেছেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আরো এরকম নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে সাথে থাকুন এবং সাপোর্ট করুন। তাহলে আপনাদের অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজেকে উৎসাহিত করে আরও সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল উপহার দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url