শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে যেটি না জানলে নয়
গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলোশরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে ব্যাপারটি নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করব। শরীর দুর্বল হলে আসলে মাথা মস্তিষ্ক এবং মানসিক অবস্থা ঠিক থাকে না। তাই দুর্বল হলে কি ধরনের ভিটামিন বা সাপ্লিমেন্ট বা পুষ্টি খেতে হবে বিষয়গুলো না জানলেই নয়।
সুপ্রিয় সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করেন তাহলে দুর্বল শরীরে কোন ভিটামিন টা খাবেন এবং এই ভিটামিন খাওয়ার দ্বারা আপনার শরীরে শক্তি আসবে ইনশাআল্লাহ।
পেজ সূচীপত্রঃ শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে যেটি না জানলে নয় জেনে নিন বিস্তারিতশরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে?
শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ বা ইর্ষাকাতর। শরীর দুর্বল বিষয়টি বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে। শরীরে দুর্বলতা দেখা দিলে মন ভাল থাকে না শরীরে শক্তি পাওয়া যায় না খুব ভালোভাবে হাঁটা চলা যায় না। তাই এই দুর্বলতা কাটানোর জন্য কি ভিটামিন খেতে হবে এই জায়গায় ভিটামিন খাওয়া নিয়ে কথা বলব। তো চলুন ভিটামিন গুলো বুঝে বুঝে পড়ে নেই।
শরীর দুর্বল হলেই ডাক্তারেরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন লিখে দেয় এবং রোগীরাও নির্দ্বিধাই সেই ভিটামিন গুলো খেয়ে থাকে। এমনকি রোগীরা পর্যন্ত ডাক্তারদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ক্যালসিয়াম লিখে দিতে বলে যেগুলো তারা খেয়ে শক্তি অনুভব করবে এবং শরীরের দুর্বলতা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি বলবো আপনাকে সম্মানিত পাঠক সেটি হচ্ছে যে একটু-আধটু দুর্বলতা শরীরে দেখা দিলেই বা দুর্বলতা অনুভব করলে নির্বিচারে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণে এ ঔষধের নানা ধরনের সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক বিষয়ের জন্য খেতে অন্য সমস্যা ঘটে যেতে পারে। এখন আপনার দুর্বলতা কি কারনে হচ্ছে আপনি তো সেটা জানছেন না, তাই একজন চিকিৎসক বা ভাল ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ।
তাহলে সে ডাক্তার আপনার শরীরে বিভিন্ন টেস্ট বা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জেনে নিতে পারে যে আপনারা আসলে কি ওষুধ লাগবে বা কি খেতে হবে, আসলে ভিটামিন জাতীয় ওষুধ লাগবে না ক্যালসিয়াম লাগবে না অন্য কোন ওষুধ লাগবে সেটা সে ডাক্তারি বলে দিতে পারবে। আর যদি আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয় তাহলে সেটিও তিনি রেফার করবেন যে আপনি একজন পুষ্টিবিদের সান্নিধ্যে যান এবং তার সাথে কথা বলে পরামর্শ নেন।
তাহলে সে পুষ্টিবিদ আপনার কি ধরনের ওষুধ খাওয়া লাগবে কি পুষ্টি খেতে হবে, প্রকৃতপক্ষে ঔষধ খাওয়া লাগবে কিনা, বা কোন ধরনের খাবার খেলে আপনার শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে বিষয়গুলো তিনি সবিস্তারে বুঝিয়ে দিবেন। অতএব বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার যে, আমরা শরীরের যখন বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ঢুকবে।
এবং দীর্ঘ সময় ধরে আপনি ওষুধ খাবেন তখনই শরীরে ওষুধের মাত্রাতিরক্তির জন্য আপনার আপনার শরীরে মেডিসিনের বিভিন্ন সাইড ইফেক্ট দেখা দিবে যেমন বমি বমি ভাব, রুচির অভাব, মাথাব্যথা, মাথা ঘুরানো, ক্ষুধার সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য আবার পাতলা পায়খানা খুব পর্যন্ত হতে পারে। আবার অনেক সময় আপনার শরীরের সবচেয়ে দামি অঙ্গ লিভার বা যকৃত কিংবা কিডনি বা বৃক্কের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং এটার চিকিৎসা কী?
অনেক সময় বেশি বেশি প্রস্রাব হবে, আবার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বেশি বেশি তৃষ্ণা পেতে পারে, চোখে ঝাপসা দেখা শুরু হয়ে যেতে পারে, হাঁটু ব্যথা কোমর ব্যথা বা মাজে ব্যথা, আবার চুলকানি চুল পড়া ,ঠোঁটের সমস্যা ইত্যাদি ক্ষতিগুলো আপনার শরীরে ঘটে যেতে পারে আপনার অজান্তেই। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যাধিক প্রয়োজন ও দরকারী।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন দেখা যায় যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে ইত্যাদি। তবে এ ভিটামিন গুলো কোনটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় সেগুলো জানলে আপনি ভিটামিনের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন। আর ভিটামিন এর সঠিক ব্যবহার করতে পারলে একটুতেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আর দরকার পড়বে না।
সাথে সাথে ভিটামিন গুলো সম্পর্কে জানলে আপনার ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করা, পরিবারের কোন সদস্যের ভিটামিন জনিত সমস্যা হলে সেটির আপনি সমাধান করলেন, এতে পরিবারের সদস্যদের কাছে আপনার একটা গুরুত্ব বাড়বে। নিম্নে শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে এগুলোর পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
ভিটামিন এঃ শরীরে ভিটামিন এ অভাব থাকলে আপনি চোখে কম দেখবেন, আপনার অন্ধত্ব রোগ হতে পারে যাকে আবার রাতকানা রোগ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ভিটামিন এর রসায়নের গ্রন্থে নাম হচ্ছে রেটিনাল। ভিটামিন এ আপনার শরীরের খুব সহজেই দ্রবণীয় হয় এবং শরীরের সাথে মিশে যায়। আর এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আবশ্যকীয় একটা পুষ্টি হিসেবে কাজ করবে।
ভিটামিন বিঃ ভিটামিন বি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, এটি ভিটামিন বি ১ থেকে ১২ পর্যন্ত হতে পারে। ভিটামিন বি১২ কে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়। ভিটামিন বি১ কে থায়ামিন বলা হয়। ভিটামিন বি৯ কে ফলিক এসি বলা হয়। আর ভিটামিন বি৩ কে নিয়াসিন বলা হয়। আর এই ভিটামিন গুলো দেহের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে যেমন বি১২ রক্তস্বল্পতা এবং নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যার সমাধানে কাজ করে। আবার ভিটামিন বি৯ ট গর্ব অবস্থায় বাচ্চার অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে ব্যবহার হয়।
ভিটামিন সিঃ আপনার যদি সর্দি-কাশি হয় তাহলে আপনাকে ভিটামিন সি খেতে হয় বেশি বেশি। কারণ এই ভিটামিন সি এর অভাবে আপনার ফুসফুস ও গলনালি জনিত সমস্যা হয়। আর এই ভিটামিন সি গুলো পেয়ারা, পাকা পেঁপে, লেবু, কমলা লেবু ইত্যাদি খাদ্যে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। আবারো অনেক সময় শরীরে ভিটামিন সি বেশি হয়ে গেলে ডায়রিয়া পাতলা পায়খানা এগুলো হতে পারে। তাই সব বিষয়েই খাওয়ার না খাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সুষম বন্টন বা মাত্রা বজায় রাখা উচিত।
ভিটামিন ডিঃ আপনার শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব হবে তখন আপনার শরীরের হাড় হাড্ডিগুলো দুর্বল হয়ে যাবে। হাড়ের ক্ষয় হলে আপনার হাটুর সমস্যা, কোমর বা মাজার সমস্যা এবং আপনার হাতে-পায়ে যে আঙ্গুলগুলোর হাড় রয়েছে এগুলো তো সমস্যা হতে পারে। দুধ জাতীয় খাবারের ভিটামিন ডি থাকে বেশি তাই আপনাকে খাওয়া উচিত যে খাবারগুলোতে দুধ রয়েছে। সাথে সাথে গরুর দুধ খেতে পারেন। ভিটামিন ডি এর অভাবে আবার ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের সমস্যা পর্যন্ত ঘটে যেতে পারে তাই সাবধান থাকা খুবই জরুরী।
ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ আপনার শরীরে যে বর্জ্য পদার্থগুলো বা টক্সিন এর জন্য দেহের ত্বকের বাচ্চা আমরা বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হতে পারে, চর্ম রোগ হতে পারে। এবং হাড় ও দাঁত এর সমস্যা হতে পারে। যার শরীরে বেশি ভিটামিন ই থাকবে সেই অক্সিজেন নিতে বা গ্রহণ করতে বেশি সহযোগিতা করবে তার ও অক্সিজেনের বেশি সমস্যার সম্ভাবনা থাকবে না। ভিটামিন ই পাওয়ার জন্য আপনি বাদাম খেতে পারেন, পালং শাক, বিভিন্ন ধরনের শাক খেতে পারেন।
ভিটামিন কেঃ যার শরীরে একটুতেই বেশি বেশি রক্ত জমাট বেঁধে যায় বুঝতে হবে তার শরীরে অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে যত ধরনের সবজি রয়েছে, এবং বিভিন্ন ধরনের শাক রয়েছে সেগুলো খেলে এর ঘাটতিটা অনেক অংশে পূরণ হয়। আর এই ভিটামিন কে সালোকসংশ্লেষণে খুবই সহায়ক। ভিটামিন কে এর অপর নাম ফাইলোকুইনন। আবার ভিটামিন কে এর অভাবে হাড় ও দুর্বল হয় এবং শরীরের যে টিস্যু গুলো রয়েছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ভিটামিন কে এর চাহিদা পূরণ করে এমন ধরনের খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক।
এছাড়াও, ভিটামিনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট রয়েছে। আর সাপ্লিমেন্ট গুলোতে খুব বেশি সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটাও ঔষধ এর মতো নয় অনেকটাই। চিঠি হচ্ছে এক ধরনের পুষ্টি বা ভিটামিন। তাই ক্ষতিকর ভিটামিন ওয়ালা ঔষধ গ্রহণ না করে যে খাবারগুলোতে বেশি বেশি ভিটামিন রয়েছে যেমন শাক-সবজি ফলমূল ইত্যাদি খাবার আপনাকে আমাকে খেতে হবে। শরীর দুর্বল হলে একটি সতর্কতার সাথে বিচার বিশ্লেষণ করে খাবার গ্রহণ করলে এবং একটু দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরা শুয়া ঘুমানো প্রভৃতি লাইফস্টাইল চেঞ্জ করলে অনেকটাই শরীর দুর্বলতা কাটানো সম্ভব।
অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কি শরীর অসুস্থ হয় দুর্বল হয়?
অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কি শরীর অসুস্থ হয় দুর্বল হয় বিষয়টি বলার চেষ্টা করছি। এনটি মানে বিরোধী আর বায়োটিক মানে জীবাণুর অর্থাৎ যে ওষুধ জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে জীবাণুকে ধ্বংস করে। কিন্তু শরীরের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে ভালো জীবাণু থাকে আবার খারাপ জীবাণু থাকে। আর ভালো জীবাণুগুলো প্রায়ই ৮০ থেকে ৯০ ভাগ থাকে। আর খারাপ গুলো ১০ ভাগ।
এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে খারাপ জীবাণুগুলো ধ্বংস করতে গিয়ে ভালো জীবাণুগুলো অনেক ধ্বংস হয়ে যায় মরে যায়। আর এজন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় কমে যায়। তাই শরীর অসুস্থ হলে যখন সে অসুস্থ তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, একই অসুখ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তখন ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে থাকে।
যেটা খারাপ জীবাণু ধ্বংস করার পাশাপাশি যুদ্ধ করে ভালো জীবাণুগুলোকে একটু ধ্বংস করে দেয়। তাই এন্টিবায়োটিক খেলে শরীর দুর্বল হয় এবং এর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগে। যার কারণে বেশি বেশি ভালো মন্দ ফল শাকসবজি ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয় কেন?
স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয় কেন বিষয়টি লেখার চেষ্টা করছি। এত সহজ ব্যাপার হলো যে আপনি নিত্য দিন যে খাবারগুলো গ্রহণ করেন সেগুলোর মাধ্যমে আপনার শরীরে শক্তি তৈরি হয়। আর এই সত্যি গুলো আপনার দেহের ভিতরে রক্ত উৎপাদন করতে সহায়তা করে। আর আমরা জানি যে চল্লিশ ফোঁটা রক্তের মাধ্যমে এক ফোটা হয়।
যখন একজন মানুষের স্বপ্নদোষ হয় তখন এর দ্বারা অনেক বীর্য বের হয়ে যায় নষ্ট হয় ক্ষয় হয়। যার কারণে শরীর দুর্বল হয় তাই স্বপ্নদোষ হলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাবার খাওয়া উচিত। তাহলে শরীরটা খুব দ্রুতই শক্তি পাবে এবং দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে।
সহবাস করার পর কি খেতে হয়?
সহবাস করার পর কি খেতে হয় ব্যাপারটি এখন লেখার পালা। একজন যুবক বা মধ্যবয়স্ক লোক বা যে কোন মানুষ যখন সহবাস করে তখন এর মাধ্যমেও একটা সময় শরীর থেকে খুব দামি পদার্থ যার মাধ্যমে আপনি আমি দুনিয়াতে এসেছি মানব সভ্যতা এসেছে অর্থাৎ বীর্য নির্গত হয়। আর এই বীর্য বা শুক্রাণু বা ডিম বানানোর বের হলে শরীরে একটু দুর্বলতা দেখা যায়।
একটা কথা জেনে রাখা ভালো ছেলেদের বীর্যকে বলা হয় শুক্রানু আর মেয়েদের বীর্যকে বলা হয় ডিম্বাণু। তবে আমি ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বীর্যের পরিমাণ খুব কম। মহিলাদের বীর্য বের হলো কিনা এটা খুব একটা বেশি সহজে বুঝা যায় না। তবে ছেলেমেয়ে উভয়েরই সহবাসের ক্ষেত্রে বীর্য বের হয়। স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে যেমন বীর্য বের হলে শরীর দুর্বল হয় সহবাস করার পর শুক্রানো বা ডিম্বাণু বের হলেও শরীর একটু দুর্বল লাগে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বা শক্তিশালী পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন আপনি দুধ খেতে পারেন খেজুর খেতে পারেন কলা খেতে পারেন আবার মাছ মাংস শাক-সবজি এবং বেশি বেশি বাদাম খেতে পারেন তাহলে এই দুর্বলতা গুলো চলে যায় এবং শরীর অনেক হৃষ্টপুষ্ট হয়।
শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়?
শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয় ব্যাপারটি লিখছি। শরীর দুর্বল হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। শারীরিক সমস্যা হয় মানুষের সমস্যা হয়, হাটতে সমস্যা হয় চলতে সমস্যা হয়, সাংসারিক কাজ করতে সমস্যা, পরিশ্রম করা যায় না, মন লাগিয়ে কোন কাজ করা যায় না, মাথাব্যথা মাথা ঘোরা, বুক ব্যথা মাজা ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, ঘাড় ব্যথা ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ব্যথা তৈরি।
তাই শরীর দুর্বল হলে অতি দ্রুত একজন এক্সপার্ট চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।
হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি?
হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি ব্যাপারটি এখন স্পষ্ট রূপে বর্ণনা করছি। সর্ব প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে যে কি কারনে আপনার শরীর দুর্বল হচ্ছে। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রন জিঙ্ক ইত্যাদির অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়। আবার দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ থাকলে শরীর দুর্বল হয়। আবার এই আধুনিক যুগে ল্যাপটপ কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে কাজ করলে শরীর দুর্বল দুর্বল লাগে। আবার অনেক সময় এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণ করলে শরীর দুর্বল হয়।
তো সুপ্রিয় পাঠক, আপনার সর্বপ্রথমে যাচাই করে তারপরে কি খেতে হবে কি ওষুধ খেতে হবে কিংবা কোন ধরনের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে পরে শরীরের দুর্বলতা কাটবে বিষয়গুলো ভেবে চিন্তে তারপর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আপনার শরীর যদি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এর অভাব থাকে।
যেমন ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের হাড় হাড় ডিম অনেক দুর্বল দুর্বল লাগে তা এক্ষেত্রে দিনের এক সময় আধা ঘন্টা রোদে থাকলে এটা পূরণ দেয়। কারণ ভিটামিন ডি এর মুখ্য মাধ্যম হচ্ছে রৌদ্র। আবার ভিটামিন সি ভিটামিন ই ভিটামিন বি ভিটামিন কে ইত্যাদির অভাবে শরীর দুর্বল হয়। তাই সেই মতো ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।
শরীর দুর্বল লাগে কেন?
শরীর দুর্বল লাগে কেন ব্যাপারটি লিখছি। শরীর অনেক সময় দুর্বল লাগে কেন যে দুর্বল দুর্বল লাগে বোঝা যায় না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেহের ভিতর দৈনন্দিন যে ছয় ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হয়, আর যেই খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ আর যে খাবারকে সুষম খাবারও বলা হয়। তো এই সুষম খাবারের যদি ঘাটতি দেখা দেয় শরীরে তাহলে শরীর দুর্বল লাগে। সুষম খাবারগুলি হচ্ছে আর শর্করা আমি ভিটামিন পানি খনিজ লবণ ও মিনারেল বা স্নেহ।
আরো পড়ুনঃ ১০টি কোরআন হাদিসের বাণী স্পষ্টরুপে জানুন
আপনার শরীরে এই খাবারগুলো যেকোনো একটা খাবারের যদি ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে শরীর দুর্বল লাগবে। আবার আপনি যদি মাছ-মাংস, দুধ-কলা, খেজুর-বাদাম, ফলমূল, শাকসবজি এগুলো মোটেই না খান তাহলে আপনার শরীরে অনেক সময়ই দুর্বলতা কাজ করবে। তাই খাদ্য তালিকায় প্রায় সময় এই খাবারগুলো রাখা উচিত, তাহলে শরীরের দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যাবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সহকারে আরো বিভিন্ন বিষয় লেখার চেষ্টা করেছি। সম্মানিত পাঠক আপনি যদি আর্টিকেলটি একটু ভালো করে দৃষ্টিপাত পড়েন তাহলে অবশ্যই এর দ্বারা আপনি উপকৃত হয়েছেন এটাই আমি বিশ্বাস করব। আর আপনি যদি এরকম আরো নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ। তাহলে আমি আমরা আপনার সামনে আবার সুন্দর একটা ব্লগ বা আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়ে যাব। আজকে এখানেই শেষ করছি!
Saty with us by pressing your nice come...