স্বপ্নে নিজেকে অপমানিত হতে দেখলে কি হয়
সিজদার ক্ষমতা কতটুকু - সিজদার ফজিলতস্বপ্নে নিজেকে অপমানিত হতে দেখলে কি হয় বিষয়টি জানার জন্যই এখানে ক্লিক করেছেন তাই না? আমি আমাকে আপনি অপমান হওয়া দেখার বিষয়টি সাধারণত মানসিক অসুস্থি এবং উদ্বেগের কারণে ঘটে থাকে।
বিষয়টি জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং অপরাধবোধ থেকে হওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট।স্বপ্নের অপমান হওয়া বিষয়টি আত্মসম্মান নিয়ে সন্দেহ বা নিজের শরীরে দূর্বলতা এবং এটি ব্যক্তি কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা এবং মেন্টাল সিচুয়েশনের উপরও নির্ভর করতে পারে। নিম্নে ইসলামিক তথ্যসহ উল্লেখ করছি।
পোস্টের সূচীপত্রঃস্বপ্নে নিজেকে অপমানিত হতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে অপমানিত হতে দেখলে কি হয় বিষয়টি এখানে আলোকপাত করছি। স্বপ্ন অবচেতন মনের দরজা উন্মুক্ত করে যেটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের চিন্তা-চেতনা, ভাবনা, অভিজ্ঞতা এবং মানসিক সিচুয়েশনের বাস্তবায়ন ও প্রতিফলন থেকে ঘটে। স্বপ্নে যে ব্যক্তি নিজেকে অপমানিত হতে দেখে তার ব্যক্তিগত এবং নিজস্ব কোন বিষয়ে হয়তো অনিশ্চয়তা রয়েছে, আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে, এবং কোন ব্যাপারে অপরাধবোধ এর ব্যাপারও তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
স্বপ্নের অপমান এটি এমন একটি মেন্টাল বা মানসিক অবস্থা প্রতিক্রিয়া থেকে হয়
যেখানে স্বপ্নে অপমানিত ব্যক্তির রিয়েল লাইফ বা বাস্তব জীবনে প্রায়
সময়ে কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে দুর্বল বা অসহায় ফিল করে বা ভাবে। জীবনের
অধিকাংশ সময় আমরা আমাদের জীবনের কোন সমস্যা নিয়ে সময় কাটায় বা সমস্যার সাথে
জর্জরিত থাকে যেগুলির কারণে মেন্টালি বা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। আর এইসব
ক্ষেত্রেই আমার স্বপ্নের ভিতরে আমি নিজেকে অপমান হওয়া দেখি যা দেখাটাই
স্বাভাবিক।
স্বপ্নে অপমানিত হওয়া বিষয়টি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে নিজের অনুভূতি গুলির এক
ধরনের প্রকাশও বটে। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি নিজের অপমান হওয়া স্বপ্নে বারবার
দেখতে থাকেন তাহলে এটি বিশ্বাস করতে হবে যে নিশ্চয়ই আপনি আপনার আত্মমর্যাদা
নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। পাশাপাশি এই স্বপ্নগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত
সম্পর্কের টানাপুড়েন এবং চাকরি বা পেশাগত ক্ষেত্রে জীবনের বিশেষ কোনো
ইস্যু বা ইভেন্ট বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটতে পারে।
স্বপ্নে নিজেকে অপমানিত হতে দেখলে কি হয় বিষয়টি এমন সব ক্ষেত্রে হতে
পারে, ধরুন! আপনি আপনার জীবনে চলতি পথে এমন কিছু বিষয়ের সম্মুখীন
হয়েছেন যে বিষয়টিতে আপনি অসম্মানিত বোধ করেছেন অথবা উপেক্ষিত হয়েছেন যার কারণে
স্বপ্নে আপনি অপমানিত হচ্ছেন এটা দেখছেন।অথবা দীর্ঘদিন যাবৎ আপনি কোন বিষয়
নিয়ে অপরাধবোধ করছেন যেটি আপনি আপনার মনের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছেন এ বিষয়টি
আপনার মনকে জেগে থাকা অবস্থায় কুড়ে কুড়ে খায় এবং স্বপ্নে আপনি নিজের অপমান
দেখতে পান এটাও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ৮ টি জান্নাতের নাম অর্থসহ - জান্নাত নামের তালিকা
অনেক সময়ই বা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, এই ধরনের স্বপ্নগুলো আপনার মনের ভিতরের
যে দুর্বলতা জনিত সমস্যা, এবং আত্মিবশ্বাসের ঘাটতি এবং নিজেকে বিভিন্ন পরিস্থিতির
সাথে খাপ খাইয়ের নেওয়ার ব্যাপারটি আপনার আরো প্রস্ততির জন্য বৈচিত্রময়
প্রয়োজনীয়তার ঈঙ্গিত দেয়। এই স্বপ্নগুলোর ক্ষেত্রে, স্বপ্ন গুলিকে
ইম্পর্টেন্স বা গুরুত্ব প্রদান করে স্বপ্নের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্যা জনিত
বিষয়গুলির সলভ (সমাধান) করতে হবে তাহলে এটি আপনার মনকে অনেকটাই শান্তি দিতে
সহায়ক হবে।
শরীয়তে বা ইসলাম ধর্ম অনুসারে, স্বপ্ন সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।
১। আল্লাহর পক্ষ থেকে ২।শয়তানের পক্ষ থেকে ৩। প্রাত্যহিক জীবনের
চিন্তা-ভাবনার উদ্বেগের কারণে। তো স্বপ্নে নিজেকে অপমানিত দেখার বিষয়টি
আপনার প্রাত্যহিক বা দৈনন্দিন জীবনের চিন্তা চেতনা থেকে উদয় হয় এবং আপনার
মানসিক অবস্থাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় যার কারণে শয়তান সুযোগ নিয়ে আপনার
স্বপ্নে আপনাকে অপমানিত দেখায়।
এসব স্বপ্নের ক্ষেত্রে, মনের ভিতরে এক ধরনের দুর্বলতা ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়
যেটা শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হিসাবে করে থাকে। আর এই জন্য বেশি বেশি
আল্লাহর সাহায্য কামনা করা উচিত যখনই এসব স্বপ্নের সম্মুখীন হব। পাশাপাশি
ইসলামিক আরো করণীয় হচ্ছে খারাপ স্বপ্ন দেখলে, ১ নম্বরে. আল্লাহর
কাছে দোয়া করতে হবে। ২ নম্বরে. আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম পড়ে। এবং
৩ নম্বরে. শয়তান কুমন্ত্রণা দেয় বা কুমন্ত্রণা দিতে সুযোগ পাবে এমন
সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। তাছাড়া, খারাপ স্বপ্নগুলো কাউকে বলা থেকে
বেঁচে থাকতে হবে।
স্বপ্নে নিজেকে মার খেতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে মার খেতে দেখলে কি হয় বিষয়টি এখানে আলোচনা করছি। স্বপ্নে নিজের মার খাওয়ার ব্যাপারটি যে জন্য হয় তা হচ্ছে ব্যক্তিগত সংকট থাকতে পারে, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য হতে পারে আবার মেন্টাল প্রেসার বা মানসিক চাপের কারণেও স্বপ্নটি দেখা যেতে পারে। বাস্তব জীবনে হয়তো এমন কেউ আপনার জীবনে প্রভাব সৃষ্টি করছে যার কারণে আপনি নিজেকে দুর্বল এবং অসহায় বোধ করছেন।
নিজেকে স্বপ্নে মার খাওয়া দেখার ব্যাপারটি এমন কারণেও হতে পারে যে আপনি হয়তো
আপনার জীবনে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছেন যার জন্য নিজেকে সেফ বা রক্ষা
করতে পারছেন না এবং প্রতিরক্ষাহীন অবস্থায় সম্মুখীন হচ্ছেন। এটাকে
ইস্যু করে আপনার মানসিক অবস্থা স্থির থাকে না অস্থির হয়ে যাচ্ছে এবং আপনার ভিতরে
আস্থাহীনতার একটা সিচুয়েশন বা জায়গা তৈরি হচ্ছে। আর এই সব কারণে আপনি
স্বপ্নের ভিতরে মার খাওয়ার বিষয়টি দেখতে পাচ্ছেন।
স্বপ্নে নিজেকে বিপদে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে বিপদে দেখলে কি হয় বিষয়টি বর্ণনা করার চেষ্টা করছি। প্রিয় পাঠক, স্বপ্নে বিপদ দেখা মানে বাস্তব জীবনে নিশ্চয় আপনি কোন চাপের সম্মুখীন হয়েছেন বা সমস্যার মধ্যে আছেন আর যার প্রতিফলনস্বরূপ স্বপ্নে আপনি বিপদের মুখোমুখি হচ্ছেন বা নিজেকে বিপদে পড়তে দেখছেন। বাস্তব জীবনের যে চাপে আছেন এই চারটি হতে পারে আপনার সম্পর্ক জনিত চাপ বা কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের চাপ অথবা বেশি বেশি শুধু শুধু ভাবার চাপ অতীত ভবিষ্যত নিয়ে।
বাস্তব জীবনে আপনার অবচেতন মনে তুই এমন কিছু কাজ দিয়ে রেখেছেন যার জন্য
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন এবং এটি আপনাকে বারংবার অস্বস্থিতে ফেলছে। আর এই
কাজ এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি আপনার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার হেতু তৈরি করছে আর যার
ফলে বিষয়গুলো স্বপ্নে বিপদে দাঁড় করানোর সম্মুখীন করছে। স্বপ্নে নিজেকে
বিপদে দেখলে বাস্তব জীবনে ও সেটি উদ্যোগ-উৎকণ্ঠা, নিজের অসহায়ত্ব এবং
অনিশ্চয়তার চিন্তার খোরাক তৈরী করছে।
স্বপ্নে ঝগড়া করতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে ঝগড়া করতে দেখলে কি হয় ব্যাপারটি আলোকপাত করছি। অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাতের প্রতিফলন স্বরূপ স্বপ্নে নিজের ঝগড়া দেখার বিষয়টি ঘটার একটি কারণ। আমার এও হতে পারে যে আপনি হয়তো আপনার রিয়েল লাইফে কোন ব্যক্তির সঙ্গে মতদ্বন্দ্ব বা মতবিরোধে জড়িয়ে আছেন কিংবা আপনার ভিতরের কোন ডিসিশন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। আবার স্বপ্নে ঝগড়া করার বিষয়টি বাস্তব জীবনে অতিরিক্ত বেশি আপনার ভিতরে রাগ কাজ করা এবং মানসিক অস্থিরতা থেকে আসে।
তাই স্বপ্ন ঝগড়া থেকে বাঁচতে হলে বাস্তব জীবনের মেন্টাল প্রেসার, আর রাগ
তো থাকবে মানুষের জীবনে তবে সেটা কম দেখাতে হবে এবং পারস্পরিক
অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারলেই স্বপ্নে ঝগড়া করার বিষয়টি
থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর সব সময়ই যেকোনো সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের
করতে হবে এবং বাস্তবে সেটা সমাধান করতে পারলেই এটি আপনাকে শান্তি এবং স্থিরতার
দিকে এগিয়ে দিবে।
স্বপ্নে জিনা করতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে জিনা করতে দেখলে কি হয় বিষয়টি এখানে আলোচনা করছি। স্বপ্নে জিনা করার বিষয়টি সাধারণত বাস্তব জীবনের বিভিন্ন গোপন ইচ্ছা, কামনা বাসনা, পাপবোধ এবং অপরাধবোধের জায়গা থেকে হয়ে থাকে। স্বপ্নে অনেক সময় এমন কারো সাথে জিনা বা ব্যভিচার করার বিষয়টি দেখা যায় যেটি ঘুম ভাঙলে নিজেকে অনেক লজ্জিত এবং শরম-শেইম ভাব সৃষ্টি হয়। আর এই রিনা বা ব্যভিচার নিজের ভেতরের কিছু অনুভূতি থেকে হয়ে থাকে যেই অনুভূতি দিনের বেলায় হয়ে থাকে।
সচেতন অবস্থায় আমরা এই স্বপ্নের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে খুব খারাপ লাগে এবং
নিজেকে অপরাধী বলে মনে হয়। তাই এক্ষেত্রে, দিনের বেলায় নিজের চক্ষুকে
সদা সর্বদাই হেফাজত করতে হবে এবং বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ পেজ গ্রুপ এবং
আইডি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে যেগুলো দেখলে অন্তরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের
কল্পনা জল্পনা হয় এবং যার ফলশ্রুতিতে রাতে আমরা স্বপ্ন দেখি। আর পাশাপাশি
ইচ্ছাকৃতভাবে এসবের প্রতি নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করতে পারলে এ সব স্বপ্ন থেকে
বিরত থাকা যাবে।
স্বপ্নে নিজেকে কাঁদতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে কাঁদতে দেখলে কি হয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। প্রিয় পাঠক, স্বপ্নে কাঁদছেন বা স্বপ্নে আপনার কান্না আসলে বা কান্না তুলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এটি আপনার ভিতরে লুকিয়ে থাকা বা ছদ্ম বা সুপ্ত আবেগী অনুভূতির বিস্ফোরণ মাত্র। দৈনন্দিন জীবনে চলতে ফিরতে ঘুরতে অনেক সময় অনেক আবেগের সম্মুখীন হয় যে আবেগগুলো আমরা বাস্তবিক জীবনে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করি কিন্তু সেটা আমার আপনার স্বপ্নের ভিতরে বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আরো পড়ুনঃ ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস জানুন
স্বপ্নে কাঁদছেন তার মানে এটাও বুঝে নিতে হবে যে বাস্তবিক জীবনে আপনি কোন
প্রেসার, চাপা ক্ষোভ, দুঃখ-বেদনা, জ্বালা-যন্ত্রণা কিংবা বিশেষ কোনো
ঘটনা বা অভিজ্ঞতার আলোকে হচ্ছে। আবার এটি বিভিন্ন পাপবোধ বা অপরাধবোধ এর জায়গা
থেকে হচ্ছে যেগুলো থেকে প্রত্যহ আপনি আত্মশুদ্ধির চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছেন। তাই এসব স্বপ্ন থেকে বাঁচতে নিয়মিত নিজের মনন ও মানসিকতাকে স্থির রাখার
চর্চা করুন যা মেডিটেশন এবং সালাত বা নামাজের মাধ্যমে হওয়া সম্ভব।
স্বপ্নে নিজেকে দৌড়াতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে দৌড়াতে দেখলে কি হয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। স্বপ্নে আপনি দৌড়াচ্ছেন তার অর্থ হল রিয়েল লাইফ বা বাস্তবি জীবনে কোন ইস্যু বা সমস্যা এবং পরিস্থিতি থেকে পলায়ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। স্বপ্নের দৌড়াচ্ছেন মানে আপনার ভিতরে রয়েছে কোন ভয়, চাপা ভীতি, মানসিক অস্থিরতা এবং আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জিং কোন ইস্যু আপনাকে বা আপনার অবচেতন মনকে নিয়ে সদা সর্বদা খেলা করছে।
এ বিষয়টি এমন একটি বিষয় যেটা থেকে আপনি বাঁচার চেষ্টা করলেও আপনাকে বাঁচতে
দিচ্ছে না কিংবা বিষয়টি থেকে আপনি পালাবার চেষ্টা করলেও বিষয়টি আপনাকে পালাতে
দিচ্ছি না। বারবার সমস্যাটি এসে আপনার সামনে হাজির হচ্ছে এবং আপনি তা থেকে
দৌড়ানোর চেষ্টা করছেন সচেতন অবস্থায় তো বটেই স্বপ্নের ভিতরে আরো বেশি করে আপনি
দৌড়াচ্ছেন। তাই দৌড়ানোর স্বপ্ন থেকে বাঁচতে চাইলে আপনাকে এ বিষয়টি
অতিদ্রুত সমাধান করতে হবে যা থেকে আপনি পালাবার চেষ্টা করছেন।
স্বপ্নে নিজেকে অসুস্থ দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে অসুস্থ দেখলে কি হয় বিষয়টি নিয়ে বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। স্বপ্নে নিজেকে অসুস্থ দেখার বিষয়টি সচেতন অবস্থায় হয়তো আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ আছেন আর অথবা হয়তো আপনি মানসিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন যার ফলস্বরূপ আপনি স্বপ্নের ভেতরেও নিজেকে অসুস্থ দেখছেন। আবার এটি মানসিকভাবে চাপ, বিভিন্ন চিন্তার উদ্বেগ থেকে হয়।
এবং ফিজিক্যালি আপনি অত্যন্ত ক্লান্ত-শ্রান্তভাবে সময় কাটাচ্ছেন যার কারণে স্বপ্নের ভিতরে আপনি আপনার অসুস্থ অবস্থা দেখছেন। দিনের বেলায় বিভিন্ন সমস্যা আমরা গ্রহণ না করলেও রাতে ঘুমের সময় আমাদেরকে সে সমস্যাটা ধরিয়ে দিয়ে আপনাকে অসুস্থতা অনুভব করায় আপনার অবচেতন মন। এই স্বপ্ন দেখলে শরীর ও মনের অচিরেই যত্ন নেওয়া সময়ের দাবী মাত্র।
স্বপ্নে নিজেকে খেতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নে নিজেকে খেতে দেখলে কি হয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। স্বপ্নে আপনি খাচ্ছেন তার মানে আপনার জীবনে প্রচুর খাবার চাহিদা, খাবারের অভাব সচেতন অবস্থায় আপনি ভীষণভাবে অনুভব করছেন এবং বিভিন্ন জিনিসের বা আইটেমের খাবারের সদা সর্বদা আপনি ভিডিও দেখছেন ইত্যাদির প্রতিফলনস্বরূপ প্রতিনিয়ত আপনি খাবারের স্বপ্ন দেখছেন।
আপনার জীবনে খাবারের বিশেষ কোনো কিছু্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে অথবা আপনি খাবারটি
চাচ্ছেন কিন্তু পাচ্ছেন না বা পান নাই যার কারণে সেই খাবার খাওয়ার জন্য
মানসিকভাবে আপনি অত্যাধিক ভাবছেন বা চিন্তা করছেন যার ফল স্বরূপ আপনি খাবারের
স্বপ্ন গুলো দেখছেন। তাই যে খাবার গুলো আপনি স্বপ্ন দেখেন বাস্তব জীবনে
সাধ্যমত খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে আর হয়তো এই রকম স্বপ্ন দেখবেন না।
আমার শেষ কথা
স্বপ্নে নিজেকে অপমানিত হতে দেখলে কি হয় এই শিরোনামে উক্ত ব্লগ বা আর্টিকেলটিতে স্বপ্ন সংক্রান্ত আরো বিষয় সহকারে লিখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি উক্ত ব্লগ বা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আমাদের বিশ্বাস স্বপ্নে নিজের অপমান হওয়া দেখার স্বপ্নের সাথে আরো বিভিন্ন স্বপ্ন দেখলে কি হয় বিষয়গুলো সম্পর্কে ইঙ্গিত পেয়েছেন বা উপলব্ধি করেছেন। আরো এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আব্দুন নূর আইটি ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।
আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ
স্বপ্নে নিজেকে দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা
স্বপ্নে নিজেকে দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা নিয়ে লিখছি। স্বপ্নে নিজেকে দেখছেন তার ইসলামী ব্যাখ্যা হলো আপনি নিজেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন-চিন্তিত অথবা জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা সমস্যা নিয়ে ভাবছেন। আর এটি নিজের সচেতন মন থেকে অবচেতন মনে এবং অবশেষে স্বপ্নে নিজেকে বিভিন্ন রুপে দেখায় কনভার্ট করে ফেলেছেন। আর এই স্বপ্ন ইসলামিক ব্যাখ্যানুসারে তিনটি রুপের একটি হয়। আল্লাহর কাছ থেকে বা সত্য স্বপ্ন। শয়তানের পক্ষ হতে বা ভীতিকর স্বপ্ন। দৈনন্দিন জীবনের চিন্তা থেকে আসা মানে মানসিক স্বপ্ন।
স্বপ্নে নিজেকে বিপদে দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা
স্বপ্নে নিজেকে বিপদে দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা নিয়ে এখানে লিখছি। স্বপ্নে নিজেকে বিপদে দেখছেন তার মানে সচেতন অবস্থায় কোনো বিষয় নিয়ে আপনি ভয়ে আছেন এবং সেটি অবচেতন মন ধরে ফেলেছে এবং স্বপ্নে সেটিকে দেখাতে সচেষ্ট হয়েছে। এর ইসলামিক ব্যাখ্যা হলো স্বপ্নে বিপদ দেখা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। আরো একটি বিষয় তা হলো স্বপ্নের ব্যাখ্যা কোনো আলেম এবং কল্যাণকারী ব্যতীত কাউকে বলা নিষেধ ইসলামে। খারাপ স্বপ্ন দেখলে সাথে সাথে ঘুম ভাঙলে বাম দিকে তিনবার থুথু দিতে হবে। অকারণে শয়তান অনেক সময় মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হিসাবে স্বপ্নে মানুষকে বিপদে ফেলে।
স্বপ্নের নিজেকে মারতে দেখলে কি হয়
স্বপ্নের নিজেকে মারতে দেখলে কি হয় বিষয় এখানে আলোচনা করছি। স্বপ্নে আপনি আপনার নিজেকে মারছেন তার মানে আপনি এমন পরিস্থিতি ও নিজের মনের অজান্তেই এমন ভয়াবহ সময়ের ভিতর দিয়ে সময় পার করছেন যেটি আপনার সমস্যা আপনার নিজের কারণেই ঘটতেছে এবং তার জন্য দায়ী এবং নিজেকে মারার কারণ হিসাবে সাব্যস্ত। এগুলো থেকে বাঁচতে হলে প্রত্যহ ইসলামিক ব্যাপারগুলো ফলো করতে হবে। যেমন দুয়া করা, কুরআন পড়া, দুরুদ পড়া, ইস্তিগফার ও তাওবা করা এবং সালাত পড়া ইত্যাদি করতে হবে।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url