কোরআন থেকে ছেলেদের নাম স দিয়ে অর্থ সহকারে জানুন

ইসলামে শিক্ষার গুরুত্বকোরআন থেকে ছেলেদের নাম স দিয়ে অর্থ সহ জানতে এখানে এখানে এসেছেন তাই না? আসলে শিশুদের সুন্দর সুন্দর ইসলামিক নাম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে নাম রাখা হয় সে নামের যে অর্থ তা নাম যার রাখা হয় তাকে প্রভাব সৃষ্টি করে।  
কোরআন-থেকে-ছেলেদের-নাম-স-দিয়ে
নবীজীর হাদিস আছে যে বাচ্চা হবে ৭দিনের বেলায় তার সুন্দর নাম রাখতে নির্দেশ এসেছে। তো চলুন নিম্নে বিষয়টি আলোকপাত করছি। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়লে আশা করছি ছেলেদের নাম ও পাশাপাশি অন্যান্য নাম থাকেছে।

পেজ সূচীপত্রঃ কোরআন থেকে ছেলেদের নাম স দিয়ে অর্থ সহকারে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানুন

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম স দিয়ে

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম স দিয়ে বিষয়টি আলোকপাত করছি। প্রিয় পাঠক, আমাদের সমাজে দেখা যায় ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে যার কারণে কেউ যারা ইসলামী জ্ঞানে জ্ঞানান্বিত তাঁদের কাছে নাম রাখার জন্য বলে বা ভালো একটা নাম জিজ্ঞাসা করে। কেউ আবার নিজেই কোরআন থেকে কোরআনের শব্দ হলেই সেটি নিজের ছেলে মেয়ের নাম করণ করে বা নাম হিসেবে রেখে দেয়। 

আরো পড়ুনঃ ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব - শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য 

কিন্তু যথার্থ ধারণা নেই যে ইসলামী সংস্কৃতি এবং মুসলিমদের ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ হচ্ছে নাম রাখার সাথে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই নিজের শিশুদের বা ছেলে মেয়েদের নাম সচেতনতার সাথে রাখতেন। কারণ এ নামের অনেক বড় একটা প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য বাচ্চার সাথে রয়ে যায় এবং ভবিষ্যতে সেদিকেই নিয়ে যায়। হাদিসে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে তোমরা এমন নামে নাম রাখো যে নামটি অধিক সুন্দর, বরকতময় এবং প্রভাবনীয় নাম। 

যে নামের অর্থের সাথে মিল রেখে তার প্রতি একটা প্রভাব প্রতিপত্তি সৃষ্টি হয়ে বড় হয়ে উঠবে। ভুমিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখার ব্যাপারে হাদিসে যেটি এসেছে সেটি হচ্ছে যে হয় হওয়ার সাথে সাথে নাম রাখবে বা জন্মের তিনদিন পরে অথবা জন্মের ৭ দিন মেয়ের বেলায় আকিকা দিয়ে নাম রাখবে এবং বাচ্চার চুল কেটে দিবে এবং চুল সমপরিমাণ সোনা বা রুপা বা তার দাম সাদাকা করে দিবে। 

প্রিয় পাঠক আপনার ছেলের কি নাম রাখবেন এ ব্যাপারে এখানে লিখব। এমন কিছু নাম লিখব যে নামগুলো কোরআনে বর্ণিত এবং সেখান থেকে সরাসরি নেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এই জায়গায় কোরআন থেকে মুসলিম ছেলেদের নাম স দিয়ে অর্থসহ লিখছি। তো চলুন কোরআন থেকে ছেলেদের নাম স জেনে নেই। 

  • সাজিদ অর্থ সেজদা কারী বা মাথা নতকারী। 
  • সাবির অর্থ ধৈর্যশীল। 
  • সানাউল্লাহ অর্থ আল্লাহর প্রশংসা। 
  • সিদ্দিক অর্থ অধিক সত্যবাদী। 
  • সাদিক অর্থ সত্যবাদী। 
  • সাইফ অর্থ তরবারি। 
  • সালিম অর্থ নিরাপদ। 
  • সাখি অর্থ দানশীল। 
  • সানি মানে দ্বিতীয়। 
  • সাকিব মানে উজ্জ্বল বা তীক্ষ্ণ মেধা সম্পন্ন। 
  • সাবিত মানে দৃঢ় বা অটল, অবিচল। 
  • সাফি মানে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। 
  • সামির মানে ফলবান। 
  • সালেহ মানে নেককার বা একজন নবীর নাম। 
  • সায়েম মানে রোজাদার। 
  • সামিন মানে মূল্যবান। 
  • সাবুর মানে অধিক ধৈর্যশীল। 
  • সুলতান মানে বাদশা।

মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম

মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম নিম্নে লিখতেছি। সম্মানিত পাঠক, একটি নাম পরিচয়ের বাহক সেটি যেকোন বস্তুর হোক বা ব্যক্তির হোক। তাই তার নামটি যেন সুন্দর ও অর্থবহ হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে বস্তুর মালিক এবং ছেলেমেয়েদের বাবা-মেয়েদের বা জ্ঞানী বা বুদ্ধিমান আত্মীয়-স্বজনদের। কারণ এই নামটি তাকে সারা জীবন বহন করে নিয়ে বেড়াতে হবে সেহেতু যে জিনিস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বহন করতে হবে এটা অর্থবোধক সুন্দর হওয়া দরকার নাই? তো নিচে মুসলিম ছেলেদের কিছু অর্থবহ সুন্দর নাম উল্লেখ করছি। 
  • আশরাফ মানে অধিক ভদ্র বা সভ্য বা বা অভিজাত বংশের। 
  • বান্না মানে নির্মাতা বা নির্মাণকারী। 
  • ছানি মানে দ্বিতীয়। 
  • জামিল মানে সুন্দর।
  • হাসান অর্থ সুন্দর। 
  • খালিদ মানে চিরস্থায়ী বা সর্বদা বিদ্যমান। 
  • দাউদ মানে সম্মানিত একজন নবীর নাম।
  • যাকির অর্থ (আল্লাহকে) স্মরণ কারী।
  • রাইয়্যান অর্থ জান্নাতের একটি দরজা নাম।
  • যাকয়্যান অর্থ মেধাবী। 
  • সিরাজ অর্থ বাতি।
  • শামসুল হক অর্থ সত্যের সূর্য। 
  • সাদমান অর্থ অনুতপ্ত।
  • যিয়াউল ইসলাম অর্থ ইসলামিক জ্যোতি। 
  • তাইয়্যিব অর্থ ভালো বা পবিত্র। 
  • যহীর অর্থ বিজয়ী।
  • আশিক মানে বন্ধু বা প্রিয়। 
  • গালিব মানে বিজয়ী। 
  • ফারীদ মানে অনুপম বা অতুলনীয়। 
  • কাসিম মানে বন্টন কারী। 
  • কামালুদ্দিন অর্থ দীনের পূর্ণতা বা দিনে পূর্ণ একদিন মানুষ। 
  • লাবিব মানে মেধাবী বা বিচক্ষণ ব্যক্তি বা বুদ্ধিমান বা জ্ঞানী।
  • মুফিদ অর্থ উপকারী। 
  • নাফিস অর্থ উত্তম। 
  • অফি (শুরুতে আব্দুল যোগে) মানে পূর্ণকারী।
  • হাজির মানে হিজরত কারী বা (খারাপ কাজ) বর্জনকারী।
  • ইয়ামিন অর্থ সৌভাগ্য বা ডানদিক।
প্রিয় পাঠক, যে নামগুলো এখানে লিখলাম সেগুলো হচ্ছে আরবি হরফ ২৯ টি এর আলিফ বা তা ছা এর ক্রম অনুসারে। নামগুলো দেখুন এবং মিলিয়ে নিন আর সুন্দর সুন্দর নাম গুলো শিশুদের জন্য রেখে দেন।  আমি আশা করছি এই নামগুলো শুনতে সুন্দর ও আধুনিক এবং অর্থও খুব অসাধারণ। যে অর্থ আপনার সন্তানকে প্রভাবিত করবে এবং বৈশিষ্ট্য মন্ডিত হবে ভালো তে।

আল্লাহর পছন্দের ছেলেদের নাম

আল্লাহর পছন্দের আর ছেলেদের নাম সম্পর্কে লিখছি। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা তার রাসূলের মাধ্যমে হাদীস শরীফের মধ্যে জানিয়েছেন যে কোন নাম গুলো ছেলেদের জন্য রাখলে সেগুলো অতি উত্তম হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় এবং প্রিয়। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'আলার কাছে যে নাম দুটো প্রিয় সে নাম দুটো ক্ষেত্রে স্পষ্ট হাদিস রয়েছে। 
আল্লাহর-পছন্দের-ছেলেদের-নাম
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম মুসলিমের সহীহ মুসলিম হাদিসের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, তোমরা বাচ্চাদের যে নাম গুলো রাখবে তার ভিতরে সবচেয়ে আল্লাহর কাছে প্রিয় এবং পছন্দনীয় নাম হচ্ছে এই দুইটি। প্রথমটি হচ্ছে আব্দুল্লাহ আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আব্দুর রহমান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন মানুষের খারাপ নাম শুনলে সেটা পাল্টিয়ে রাখতেন। আবার যে নামের অর্থ খারাপ এটা যেন তার ভবিষ্যতে খারাপ বইয়ে না আসে তিনি সে ক্ষেত্রেও নাম পরিবর্তন করে রাখতেন।

আল্লাহর কাছে প্রিয় যে নামগুলো

আল্লাহর কাছে প্রিয় যে নামগুলো সেগুলো আমরা এখানে উল্লেখ করেছি এখানে আরো কিছু প্রিয় নাম উল্লেখ করছেন। দুনিয়াতে শ্রেষ্ঠ যে নামগুলো সেগুলো হচ্ছে প্রথমত নবীদের নাম। নবীদের কথা আল কোরআনুল কারীমের মধ্যে এসেছে এভাবে যে, অনেক নবী রয়েছেন আল কোরানে যাদের নাম উল্লেখ নেই, আবার অনেক নবী রয়েছেন যাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। নবীদের নাম রাখা হলে নবীদের কৃষ্টি কালচার এবং বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারবে আপনার বাচ্চারা। আর কোরআনে কারীমের নবীদের মধ্যে যে নাম গুলো উল্লেখ রয়েছে সেগুলো ২৫ টি। আর এই ২৫ টি নাম যথাক্রমে উল্লেখ করছি। 

  1. আদম আলাইহিস সালাম।
  2. ইদ্রিস আলাইহিস সালাম। 
  3. নূহ আলাইহিস সালাম।
  4. হুদ আলাইহিস সালাম। 
  5. সালিহ আলাইহিস সালাম।
  6. ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম। 
  7. ইসমাইল আলাইহিস সালাম। 
  8. ঈসহাক আলাইহিস সালাম।
  9. ইয়াকুব আলাইহিস সালাম।
  10. লুত আলাইহিস সালাম। 
  11. ইউসুফ আলাইহিস সালাম। 
  12. জাকারিয়া আলাইহিস সালাম। 
  13. ইয়াহিয়া আলাইহিস সালাম। 
  14. যুল কিফল আলাইহিস সালাম।
  15. ইলিয়াস আলাইহিস সালাম।
  16. আল ইয়াসা' আলাইহিস সালাম।
  17. ইউনুস আলাইহিস সালাম।
  18. শুয়াইব আলাইহিস সালাম। 
  19. আইয়ুব আলাইহিস সালাম।
  20. দাউদ আলাইহিস সালাম। 
  21. সুলাইমান আলাইহিস সালাম।
  22. মুসা আলাইহিস সালাম। 
  23. হারুন আলাইহিস সালাম।
  24. ঈসা আলাইহিস সালাম। 
  25. মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
এরপরে সাহাবাদের নামগুলো সবচেয়ে বেশি সুন্দর ও উত্তম। কারণ সাহাবাদের নাম বাচ্চাদের রাখলে সাহাবাদের মত ঈমান ও আমল হওয়ার চেষ্টা ব্রত থাকবে। আর সাহাবার নামের বিশেষ অর্থটা তার জীবনের সাথে প্রভাবনীয় হবে। কারণ সাহাবাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে সাহাবারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। সাহাবাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রথম চারজন শ্রেষ্ঠ সাহাবা তাদের নাম হচ্ছে যথাক্রমে ১. আবু বকর, ২. উমর, ৩. উসমান ৪. এবং আলী (রা)। 
 
আর এই চার জন দুনিয়াতে থাকতেই জান্নাতের শুভ সংবাদপ্রাপ্ত। আরো ৬ জন জান্নাতের শুভ সংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী রয়েছে, এসব মিলে মোট ১০ জন জান্নাতের শুভ সংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী। বাকি 6 জনের নাম পর্যায়ক্রমে ৫. আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, ৬. তালহা ইবনে জুবায়ের, ৭. সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, ৮. সাঈদ ইবনে যায়েদ, ৯. যুবায়ের ইবনুল আওয়াম, ১০. এবং আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ্। 
 
এছাড়াও আরো যে সাহাবাগুলোর নাম রয়েছে সেগুলো আপনার শিশুদের জন্য রাখতে পারেন। সাহাবা আল্লাহর রাসূলের সঙ্গীদের পরে তাদের ঈদের নাম। এরপরে তাবে তাবে ঈদের নাম। এরপরে ইমামদের নাম। এরপর হাদিস লেখক, তাফসীর লেখক, আরবি সাহিত্য লেখক এবং বর্তমান জামানার যারা নেককার সালেহ ব্যক্তি তাদের নাম দ্বারা নিজেদের বাচ্চাদের নাম রাখলে অনেক বরকত পূর্ণ হবে।

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম ম দিয়ে

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম ম দিয়ে এখন আপনার সামনে উপস্থাপন করছি। বাংলায় ম বা আরবিতে মিম যেটা আরবি বর্ণমালার একটি অক্ষরের নাম। এ অক্ষর দিয়ে আল কুরআনুল কারীমে বিভিন্ন নাম রয়েছে যে নাম গুলো ছেলে মেয়ে উভয়েরই রাখা যায় একটু পার্থক্য করে। এখানে ছেলেদের কিছু নাম লিখতেছি যেগুলো ম বা মিম দিয়ে। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেই কুরআনে কারীমের ম দিয়ে ছেলেদের নাম। 
  1. মানসূর অর্থ হচ্ছে বিজিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত। 
  2. মুশফিক অর্থ হচ্ছে ভীতু বা আল্লাহ ভীরু। 
  3. মুবসির অর্থ হচ্ছে পথপ্রদর্শক বা অন্তর দৃষ্টি সম্পন্ন। 
  4. মুবাশ্বির অর্থ হচ্ছে শুভ সংবাদদাতা।
  5. মুনযির অর্থ হচ্ছে সতর্ককারী। 
  6. মাঞ্জুর অর্থ হচ্ছে লক্ষ্যনীয় বা গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। 
  7. মুতীউর রহমান হচ্ছে দয়াময় আল্লাহর আনুগত্যশীল। 
  8. মুজ্জাম্মিল অর্থ হচ্ছে চাদর আবৃতকারী। 
  9. মুসলিহ অর্থ হচ্ছে সংস্কারকারী। 
  10. মাহমুদ অর্থ হচ্ছে প্রশংসিত ব্যক্তি। 

আ দিয়ে কোরআন থেকে ছেলেদের নাম

আ দিয়ে কোরআন থেকে ছেলেদের নাম এখন লিখছি। আ হচ্ছে বাংলা একটি অক্ষর আর আরবিতে হচ্ছে হামজা বা হরকতযুক্ত আলিফ। আর এই আর বা হামজা বা হরকতযুক্ত আলিফ দ্বারা এই জায়গায় আল কুরআনুল কারীম থেকে ছেলেদের কতিপয় নাম লিখ। আ দিয়ে যে নাম গুলো এখানে লিখব সেগুলো খুব আকর্ষণীয় ও অর্থ সুন্দর হবে বলে আশা করছি। চলুন ঝটপট জেনে নেই আ দিয়ে কোরআনে কারীম থেকে ছেলেদের নাম হল নিম্নালোকে। 
  • আব্দুর রহিম অর্থ হচ্ছে করুণাময় আল্লাহর বান্দা। 
  • আব্দুল জলিল হচ্ছে মহিমান্বিত আল্লাহর বান্দা। 
  • আব্দুল কুদ্দুস অর্থ হচ্ছে পুতপবিত্র আল্লাহর বান্দা। 
  • আব্দুর রউফ অর্থ হচ্ছে স্নেহপরায়ণ আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল খালিক অর্থ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল মালেক অর্থ হচ্ছে অধিপতি আল্লাহর বান্দা। 
  • আব্দুল মুজিব অর্থ হচ্ছে সাড়া দানকারী আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল হাই অর্থ হচ্ছে চিরঞ্জিব আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল কাইয়ুম অর্থ হচ্ছে চিরস্থায়ী আল্লাহর বান্দা। 
  • আব্দুল মুহয়ী জীবন দানকারী আল্লাহর বান্দা। 
  • আব্দুল মুমীত অর্হথ চ্ছে মৃত্যুদানকারী আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল মু'মিন অর্থ হচ্ছে নিরাপত্তা দানকারী আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল মুতাকাব্বির অর্থ হচ্ছে প্রতাপশালী আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল কারিম অর্থ হচ্ছে দানশীল আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল ওহহাব অর্থ হচ্ছে দাতা আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুস সাত্তার অর্থ হচ্ছে গোপনকারী আল্লাহর বান্দা।
  • আব্দুল বারী অর্থ হচ্ছে স্রষ্টা আল্লাহর বান্দা।
এই নামগুলো আল্লাহর নাম বিধায় আব্দ বা দাস শব্দ দ্বারা লিখা হয়েছে। কারণ আল্লাহর যে নামগুলো সেগুলো শুরুতে একটা দাস অর্থ বুঝাই এমন আরবি শব্দ আব্দ বা আব্দুন বা আব্দুল বা আব্দুর ইত্যাদি শব্দগুলো যোগ করতে হয়। তাহলে অর্থ বুঝায় দয়াময় আল্লাহর বান্দা বা রিজিকদাতা আল্লাহর বান্দা এভাবে। 
 
আল্লাহর নামের পূর্বে আব্দুন শব্দ যোগ না করলে কাবিরা গুনাহ বা বড় পাপ হয়ে যায়। কেউ আব্দুল বাদ দিয়ে শুধু আল্লাহর নাম বললে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে বলে তাহলে সামনে যেন আর না হয় এটা চেষ্টা করতে হবে, আর ইচ্ছাকৃত বললে বড় পাপ হবে, আর অবজ্ঞা করে নাম বিকৃতি করে বললে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে তাই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম র দিয়ে

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম র দিয়ে এখন এখানে লিখার চেষ্টা করছি। র হচ্ছে বাংলা অক্ষর এবং আরবি অক্ষর ও র বলা হয়। র দিয়ে ছেলেদের অনেক আকর্ষণীয় ও সুন্দর নাম রয়েছে। আর র দিয়ে ছেলেদের নাম গুলো অর্থ সুন্দর হয়েছে যেগুলো আপনি জানলে আপনার সদ্য ভূমিষ্ঠ বাচ্চাটির নাম রাখতে পারবেন। চলুন আর কালক্ষেপন না করে র দিয়ে ছেলেদের নামগুলো জেনে নেই। নিম্নে র দিয়ে কোরআনে কারীমের ছেলেদের নাম গুলো লিখছি। 
কোরআন-থেকে-ছেলেদের-নাম-র-দিয়ে
  1. রিযওয়ান মানে সন্তুষ্ট 
  2. রাগিব মানে আগ্রহী। 
  3. রফিক মানে বন্ধু। 
  4. রিয়ায মানে বাগিচা সমূহ। 
  5. রাকিব মানে তদারককারী। 
  6. রাইস মানে নেতা। 
  7. রাজি মানে খুশি বা সন্তোষ। 
  8. রায়হান মানে এক ধরনের সুগন্ধ ওয়ালা ফল।
  9. রাউফ মানে স্নেহপরায়ণ। 
  10. রশিদ মানে সঠিক পথ প্রাপ্ত বা পথ প্রদর্শনকারী।

সবচেয়ে সুন্দর নাম ছেলেদের

সবচেয়ে সুন্দর নাম ছেলেদের এই জায়গায় লিখছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের নাম লেখার চেষ্টা করছি যে নাম গুলো অনেক সুন্দর শুনায় এবং অর্থ ভালো, পাশাপাশি নামগুলো ইসলাম সম্মত। আর যে নামগুলো এখানে লিখব সেগুলো আরবি নাম, কোরআন থেকে, হাদিস এবং বিভিন্ন আরবি ভাষার উৎস থেকে নামগুলো লিখব। সুপ্রিয় পাঠক, একটি সুন্দর নাম আপনার শিশুর জন্য রাখা যেটি সারা জীবন আপনার শিশুটিকে সুন্দর রাখবে ও শুনতে ভালো লাগবে এবং তার ভালো অর্থটা তাকে প্রভাব সৃষ্টি করবেন। নিচে সবচেয়ে সুন্দর ছেলেদের নাম লিখছি।
  • আহসান মানে অতি সুন্দর। 
  • আবরার মানে অধিক পুণ্যবান ব্যক্তি। 
  • আসলাম মানে অধিক নিরাপদ। 
  • আফজল মানে অধিক সম্মানী। 
  • বখতিয়ার মানে সৌভাগ্যবান। 
  • তাজুল ইসলাম মানে ইসলামের মুকুট 
  • সানাউল ইসলাম মানে ইসলামের প্রশংসা। 
  • জসিম মানে শক্তিশালী বা দেহওয়ালা। 
  • হামীম মানে অন্তরঙ্গ বন্ধু। 
  • দৌলত মানে সম্পদ। 
  • জাকি মানে মেধাবী। 
  • রাসেল মানে প্রেরক।
  • যামিম মানে বন্ধু। 
  • শাফিক মানে বন্ধু বা দয়ালু। 
  • মোকাররম মানে সম্মানিত। 
  • মোশাররফ মানে ভদ্র বা অভিজাত বা সম্মানিত। 
  • আকরাম মানে অধিক সম্মানিত। 
  • রবিউল ইসলাম মানে ইসলামের বসন্ত। 
  • সাইফুল ইসলাম মানে ইসলামের তরবারি। 

ত দিয়ে কোরআন থেকে ছেলেদের নাম

ত দিয়ে কোরআন থেকে ছেলেদের নাম লিখছি। ত হচ্ছে একটি বাংলা অক্ষর আর আরবিতে ত রয়েছে যেটি আরবি অক্ষর। সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, ত দিয়ে কুরআন মাজীদে বিভিন্ন নাম রয়েছে যে নাম গুলো আপনার জেনে রাখা একান্ত জরুরি। তাহলে এই নামগুলো এখানে জেনে রাখলে আর আপনাকে নাম রাখার জন্য দৌড়ানো লাগবে না বিভিন্ন আলেম ওলামার কাছে বা নাম সম্পর্কে জ্ঞানীগুণীদের কাছে। তাই আপনার জন্য জরুরী মনে করছি এই জায়গার ত দিয়ে কোরআন মাজীদের ছেলেদের নাম গুলো জেনে নেওয়া। চলুন জেনে নিম্নের ত দিয়ে নাম গুলো। 

আরো পড়ুনঃ  স্থায়ী জাহান্নামে যাওয়ার ১০টি কারণ - জাহান্নামীদের বৈশিষ্ট্য

  1. তরিক মানে রাস্তা। 
  2. তাকরিম মানে সম্মান বা সম্মানিত। 
  3. তাসলিম মানে শান্তি পেশ করা বা শান্তিপূর্ণ ব্যক্তি। 
  4. তাহের মানে পবিত্র ব্যক্তি। 
  5. তাহসিন মানে সুন্দর ব্যক্তি। 
  6. তানযিল মানে নিচে পাঠানো হয়েছে এমন ব্যক্তি। 
  7. তাকবীর মানে আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কারী ব্যক্তি।
  8. তৌফিক মানে আল্লাহর ক্ষমতায় ক্ষমতাবান ব্যক্তি। 
  9. তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা কারী ব্যক্তি। 
  10. তাহমিদ মানে আল্লাহর প্রশংসা কারী ব্যক্তি।

লেখকের শেষ মন্তব্য

কোরআন থেকে ছেলেদের নাম স দিয়ে এবং অন্যান্য কিছু অক্ষর দিয়ে ছেলেদের নাম লিখেছি। শুধু তাই নয়, কিছু নাম র দিয়ে, কিছু নাম ম দিয়ে, কিছু নাম ত দিয়ে, কিছু নাম আ দিয়ে কোরআন এবং হাদিস এবং অন্যান্য আরবী উৎস থেকে লেখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, এই নামগুলো যথার্থ রূপে জানলে আপনার প্রিয় বাচ্চাটির নাম রাখা খুব সহজ হবে এবং অর্থগুলোও জানা থাকলে আপনার। যাহোক, অন্য পোস্টগুলো আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, আল্লাহ ভালো রাখুন আর জ্ঞান অর্জন করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url