মহররম ও আশুরায় যা করণীয় ও বর্জনীয় বিস্তারিত জানুন
স্থায়ী জাহান্নামে যাওয়ার ১০টি কারণমহররম ও আশুরায় যা করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়টি জানতে এখানে এসেছেন হ্যা? মহররম মাস আরবী হিজরী মাসের ক্যালেন্ডারে প্রথম মাস। এই মাসের ১০ম তারিখ যেটি আশুরা নামে পরিচিত এটি অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন।
তবে এই মুহাররম মাস ও আশুরায় কিছু বিষয় আছে যেগুলো করণীয় ও কিছু আছে এমন কাজ যেগুলো বর্জনীয়। তো চলুন দেরি না করে শুরু করি মহররম ও আশুরা বিষয়টি!
পেজ সূচীপত্রঃ মহররম ও আশুরায় যা করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জানুনমহররম ও আশুরায় যা করণীয় ও বর্জনীয়
মহররম ও আশুরায় যা করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়টি আলোকপাত করছি। বারো মাসে বছর নির্ধারণের ব্যাপারটা আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে বলেছেন, এবং আরো যে বিষয়টি কোরআন মাজিদে রয়েছে তা হচ্ছে আকাশ ও যমীন সমূহের সৃষ্টি এই মহররম মাসেই হয়েছে। মুহাররম মাস আরবী ১২ মাস সমূহের ১ম মাস যেটি খুব সম্মানিত মাস। আর এই মাসে কিছু সুন্নাত রয়েছে,
আবার কিছু বিদয়াত ও কুসংস্কার ও রয়েছে এবং এই মুহাররম মাস হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একটি ঐতিহাসিক মাস। পাশাপাশি মুহাররম মাসে আশুরা রয়েছে, আর আশুরা হচ্ছে মুহাররমের ১০ম তারিখ। সব মিলিয়ে মুহাররম ও আশুরা খুব সম্মানিত, আর এখন মহররম ও আশুরায় যা কিছু করণীয় ও বর্জনীয় ব্যাপার রয়েছে সেগুলো নিম্নে ব্যক্ত করছি।
করণীয়গুলোঃ শরীয়তে আশুরাকে উপলক্ষ্য করে কিছু কাজ চালু আছে যেগুলোর কতেক ইসলাম হ্যা বলেছে, আর কিছু ইসলাম না বলেছে অর্থাৎ পূর্ব থেকে চলে আসা সব আমল ইসলাম সমর্থিত নয়। এখানে যে করণীয়গুলো ইসলাম সমর্থন করে তা নিচে দেওয়া হলো।
প্রথমঃ মুহাররম মাস আরবী ১২ মাসের মাঝে সম্মানিত মাস বিধেয় একে তা'যীম বা সম্মান করা। এ মাস কে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে একটা হাদীস রয়েছে আর তা হচ্ছে এই- (হাদীসটি সারমর্ম স্বরুপ বলছি) এক সময় এক প্রতিনিধি দল রাসূল (সা) এর কাছে আসলেন, রাসূল (স) বল্লেন এরা কারা, তখন জওয়াব আসল পাশ থেকে যে এরা রাবীয়া গোত্রের প্রতিনিধি দল( প্রতিনিধি দল ওরা যারা কোনো কিছু জানার জন্য বা কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে নবীর কাছে একজন নেতা সহ আসে)। এরপর রাবীয়া গোত্র রাসূল (সা) কে বল্লেন যে আমরা মুহাররম মাস ব্যতীত অন্য মাসে আগমণ করতে পারি না। আমাদের জান্নাতে যেতে পারি এমন কিছু শিখিয়ে দেন। বুঝা গেল মুহাররম মাসের অত্যন্ত সম্মান। মানে মহরম মাসের সম্মানকে ইঙ্গিত করে কথা বল্লেন রাবেয়া গোত্রের লোকেরা।
কুরআন মাজীদে চার মাস কে সম্মানিত বলা হয়েছে যার প্রথম মাস হচ্ছে মুহাররম মাস। এক্ষেত্রে একটি কথা জানিয়ে রাখি মুহাররম মানেই হারামকৃত, এখানে হারাম মানে এই মাসে রক্তপাত, খুনাখুনি, মারামারি ও হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ অর্থাৎ যুলুম পরিপূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। সুতরাং বুঝায় যাচ্ছে এই মাস কী ফজিলতপূর্ণ, সব ধরনের যুলুম কোনো উপায়েই করা যাবে না। অন্য মাসেতো করা যাবে না অন্যায়- অনাচার, এ মাসে আরো বেশি করা যাবে না, পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই জন্য এই মাসকে শাহরুল্লাহ বা আল্লাহর মাস বা আমার নিজের মাস বলে আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা।
দ্বিতীয়ঃ সিয়াম আদায় করা এ মাসের আরো একটি সম্মান ও ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষত মুহাররম মাসের ১০ম তারিখে সিয়াম বা রোজা রাখা অত্যন্ত মহৎ ও পূণ্যের কাজ। রাসূলে আকরাম (স) মক্কা থাকা কালীন সময়ে সিয়াম রাখতেন এমনকি কোরায়শ অমুসলিমরা পর্যন্ত এ মাস কে সম্মান করত ও রোযা রাখত।
এক বর্ণনা রয়েছে জাহিলিয়্যাতের সময় আশুরা বা মুহাররমের ১০ম তারিখ আগমন হলে মক্কার কোরায়শরা এই দিন সিয়াম পালন করত। একসময় আল্লাহর রাসূল (স) ও সিয়াম রাখতে লাগলেন। আর যখন তিনি মদীনায় আগমন করলেন তখন নিজে যেমন সিয়াম রাখলেন এবং রোজা রাখতে সাহাবীদেরকে নির্দেশ দিলেন। আর যখন রমজানের রোজা ফরজ হলো তখন আর বাধ্যতামূলক রোজা রাখলেন না। আর বল্লেন যার ইচ্ছা রাখবে আর যার ইচ্ছা হবে রাখবে না।
তৃতীয়ঃ রাসূল (সা) যখন মদীনায় আসলেন তখন দেখলেন ইহুদীরা আশুরা বা মুহাররম মাসের ১০ম তারিখে সিয়াম রাখতেছে। তখন নবী বল্লেন যে এই দিনে কেন তোমরা রোযা রাখছ? এক্ষণে ইহুদীরা বল্ল যে এই আশুরার দিনে মূসা (আ) ও বানী ঈসরাইল কে আল্লাহ তায়ালা ফিরআউনের কবল থেকে রক্ষা করেছেন। তখন নবী (স) বল্লেন যে আমি এবং আমার সাহাবারা তোমাদের থেকে আমার ভাই মূসা (আ) এর বেশি নিকটবর্তী আমল ও আক্বীদার দিক লক্ষ্য করে, এমনকি সব ক্ষেত্রেই। কাজেই তিনি নিজে রোজা রাখলেন এবং সাহাবীদেরকে রাখতে নির্দেশ দিলেন। এক সময় রমজান মাস আগমন ঘটলে ইচ্ছামত রোজা রাখার কথা বলেছেন।
মহররম ও আশুরায় বর্জনীয় বিষয়গুলোঃ প্রথমত হুসাই (রাঃ) এর মৃত্যবার্ষিকী পালন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কাজ। কারণ ইসলামে কোনো মুসলিম মারা গেলে সীমিত কয়েকদিন শোক পালনের কথা আছে। কিন্ত যুগ যুগ ধরে শোক পালন করা মোটেও ঠিক নয়। যদিও মুহাররম মাসের আশুরায় বা ১০ম তারিখে হুসাইন (রা) শহীদ হয়েছিলেন সেটি খুব মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ব্যাপার। তবে এই দিবসটিকে বছরান্তে শোক দিবস পালন করা শরীয়ত সিদ্ধ নয়।
মাতমঃ মুহাররম ও আশূরা কেন্দ্রিক হায় হোসেন হায় হোসেন বলা, বুকে জোরে জোরে আঘাত করা, কাপড় মাথায় বেঁধে দুঃখ জাহির করা এবং যাবতীয় বিলাপ ও কান্নাকাটি করা পাশাপাশি বুকে, মুখে ও সারা শরীরে আঘাত করা সকল এগুলো সকল গ্রহনযোগ্য আলেমের মতে সম্পূর্ণ নাজায়ে ও হারাম বা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
তা'যিয়াঃ তাযিয়া মানে শোক প্রকাশ করা। মুহাররম মাসের আশূরায় নবীজীর নাতি আলী (রাঃ) এর ছেলে হুসাইন (রাঃ) এর মৃত্যতে শোক প্রকাশ করা এবং বিভিন্ন সম্ভাবনা আছে বলে বিশ্বাস করা মানে চাইবে তাই পাবে এই বিশ্বাস করা। এ ক্ষেত্রে শিয়ারা ও একদল অবুঝ নামে মাত্র মুসলিম হুসাই রাযি. এর কাল্পনিক কবর তৈরী করে এবং মনে করে কবরে হুসাইন (রা) এর রুহ বা আত্মা হাজির হয় এবং তার কাছে প্রার্থণা করে এবং সিজদা করে এবং বিভিন্ন মনের আশার কথা ব্যক্ত করে। যাইহোক, সবমিলে এ তা'যিয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ এবং ইসলাম বিরোধী কাজ। হুসাইন (রা) এর কাছে দুয়া না করে তাঁর জন্য দুয়া করা উচিত।
আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব
আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে লিখছি। নবীয়ে আকরাম (সাঃ) আশুরার সিয়ামকে যতটা গুরুত্ব দিতেন অন্য কোনো সিয়ামকে এত বেশি গুরুত্ব দেন নাই। এটি ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর বর্ণনা। আশুরার সিয়াম পালন ব্যাপারটি বিগত এক বছরের গোনাহের কাফফারাহ বা পাপ মোচনকারী। এই বর্ণনাটা আবু ক্বতাদাহ (রাঃ) এর। আশূরার রোজা ১০ম তারিখ রাখা হত মক্কা থাকা অবস্থায়। আর মদীনায় ইহুদীদের বিরোধিতায় নবম ও দশম দুই দিন রাখা আরম্ভ হলো গ্রহনযোগ্য হাদিস অনুসারে। কোনো বর্ণনা মতে ১০ম ও ১১তম দিন ২ দিন সিয়াম রাখা হতো।
আশুরা কিভাবে আসল
আশুরা যেভাবে আসল সেটি হচ্ছে এই দিনে অর্থাৎ মুহাররম এর দশম দিনে হযরত মূসা (আ) বানী ইসরাঈল সহ অত্যাচারী শাসক ফিরআওন এর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ছিলেন। কাজেই এই দিন কে স্মরণীয় করে রাখতে আশুরায় সিয়াম রাখার ব্যাপারটি আসল। আরো একটি উপলক্ষ্য কে কেন্দ্র করে এটি মুসলিমদের মাঝে এসেছে সেটি হচ্ছে হযরত হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদত এই দিনে হয়ে ছিলে বিধেয় এই দিনটি স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছে ইতিহাসে আর এইভাবেই এসেছে আশুরা।
মহররম মাসের মর্যাদা
মুহাররম মাসের মর্যাদা কুরআন ও হাদীস এবং ইতিহাসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়ে আছে। করআন মাজীদের এই মাসকে সম্মানিত চার মাস যুলকা'দ, যুলহাজ্জ্ব, মুহাররম ও রজব মাসের অন্যতম একটি মাস বলা হয়েছে। আর হাদীসে মুহাররম মাসে আশুরার মত মহান দিনে সিয়াম রাখার কথা আছে। এই মাস আরবী বছরের প্রথম মাস এবং দুনিয়া ও আসমান মুহাররাম মাসেই সৃজন হয়েছে। আর ইতিহাসে এই মাস এক নাজাত বা মুক্তির মাস এক যালিম থেকে। বুঝতে পারছেন কী মর্যাদা এ মাসের?
আশুরার যয়ীফ বা দূর্বল হাদীছ
আশুরার যয়ীফ বা দূর্বল হাদীছ একাধিক রয়েছে। এখানে কিছু উল্লেখ করছি চলুন জেনে নেই। (সারমর্ম)। নিজের পরিবারের উপর খরচ এই দিনে নাকি আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজে বিভিন্ন কিছু দান করবেন। ইছমিদ পাথরের সুরমার ব্যবহার করলে এই দিনে চোখে নাকি ঝাপসা দেখবে না। এই দিনে যে গোসল করবে তার নাকি সারা বছর কোন অসুখ হবে না। এই দিন নাকি আগের নবীগণের ঈদের দিন। এই দিনের সিয়াম নাকি ৭০ বছরের পূণ্য বরাবর ইত্যাদি কথাগুলো দূর্বল হাদীছের অন্তর্ভুক্ত।
আশুরায় যা বর্জনীয়
আশুরায় যা বর্জনীয় আমরা ইতি মধ্যেই উল্লেখ করেছি এরপরও এখানে সংক্ষেপে আবারো বলছি। এই দিনে হুসাইন (রাঃ) এর মৃত্য বছর পালন করা, শোক প্রকাশ বা তা'যিয়া করা, মাতম বা বুক চাপড়ানো, নিজের উপর আঘাত করা, কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলা, সাহাবী-তাবেঈদের গাল-মন্দ করা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎযাপান এবং হুসাইন রাযিয়াল্লাহুর মাথা ৬টি দেশে পাঠানো হয়েছিল এই বিশ্বাস লালন করা ইত্যাদি কাজগুলো সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ যা বর্জন করা জরুরী।
মাতম ও মর্ছিয়া করা
মাতম ও মর্ছিয়া করা ইসলামে পুরোপুরি হারাম। মাতম মানে আশুরার দিনে "হায় হুসেন", "হায় হুসেন" বলে সুরে সুরে কান্না কাটি করা যেটিকে বিলাপ বলা হয়। বুকে আঘাত করে নিজেকে রক্তাক্ত করা ইত্যাদি। আর মর্ছিয়া মানে এটি আরবী একটি ওয়ার্ড যার অর্থ হচ্ছে আশুরার দিনে শোক সঙ্গীত এবং বিভিন্ন গান, কবিতা, বাউল গান, জারি গান করা এবং গাল-গল্প ও উপন্যাস ইত্যাদি রচনা করা বিষয়গুলোর শরীয়তে কোন ভিত্তি নেই।
তা'যিয়া ও নিজেকে যখম এবং কাপড়-চোপড় ছেঁড়া
তা'যিয়া ও নিজেকে যখম এবং কাপড়-চোপড় ছেঁড়া নাজায়েজ কাজ যা আমরা অলরেডি লেখেছি। আবার ও বলছি শুনুন। তা'যিয়া বা বিভিন্ন পন্থায় শোক প্রকাশ করা ভিত্তিহীন ইসলামে। নিজেকে যখম বা আঘাত করা এবং নিজের কাপড় ছিঁড়া মোটেও কোনো ভালো কাজ নয়। এগুলো কোনো বিবেকী ধর্মের ফরমান হতে পারেনা বিধেয় এগুলো থেকে শতভাগ বেঁচে থাকতে হবে।
হুসাইন রা এর মৃত্য বার্ষিকী উৎযাপন
হুসাইন রা এর মৃত্য বার্ষিকী উৎযাপন বা পালন করা শরীয়তে পুরোটাই নিষিদ্ধ কোনো ফাক ফোকর নেই এটি পালন করার। আশুরায় বা মুহাররম এর ১০ম তারিখ আসলে হুসাই (রাঃ) এর জন্য দুয়া করতে হবে এবং যারা ঐ দিনে শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য ও দুয়া করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের কাছে নিজেদের জন্য কিছু চাওয়া যাবে না তাদের মিথ্যা কবর বানিয়ে যা সম্পূর্ণ শিরক ও হারাম।
সাহাবী ও তাবিয়ীদের গালি দেওয়া
সাহাবী ও তাবিয়ীদের গালি দেওয়া শরীয়তে ঈমান ভঙ্গের একটি কারণ। সাহাবী ও তাবেয়ীদের প্রতি সম্মমানমূলক কথা বলা ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। তাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এ কথা কুরআন হাকীমে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। অতএব তিনাদের যে কাউকে গালি দিয়ে ঈমানের মত দামী জিনিস কে ভঙ্গ করার মত পাপ করব না ইনশাআল্লাহ।
কারবালার ঘটনা সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য বিশ্বাস করা
কারবালার ঘটনা সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য বলে বিশ্বাস করা একটি নিষিদ্ধ বিষয়ের অন্তরভুক্ত। কারবালার ঘটনা ইসলামে অনেক দুঃখ ও আফসোসের। এক্ষেত্রে কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুসাইন (রা) কে হক্ব ও ইয়াযীদ (র) কে মিথ্যা বলার কোনো সুযোগ নেই। সম্মানিত সাহাবী মুয়াবিয়া (রা) এর যোগ্য উত্তরসূরী ও সন্তান ছিলেন ইয়াযীদ। কারবালার ব্যাপারগুলো গবেষণা বা ইজতিহাদের ব্যাপার হক্ব ও বাতিলের কোনো ব্যাপার নয়।
হুসাইন রা এর ৬টি দেশে পাঠানো হয়েছে মনে করা
হুসাইন রা এর ৬টি দেশে পাঠানো হয়েছে মনে করা পুরোপুরি হারাম বা নিষিদ্ধ। ব্যাপারটি এমন বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে যে, যে ৬ দেশে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয় সেই দেশে তাকে বিভিন্নভাবে পূজা করা হয়ে থাকে। এ বিশ্বাসগুলো সাধারণত শিয়াদের মাঝে পাওয়া যায়। কোনো একনিষ্ঠ মুসলিম এগুলো বিশ্বাস করতে পারে না। আর সেই ৬ দেশ হলো সৌদী আরব, সিরিয়া, মিশর, ইরান, ইরাক এবং কারবালার ময়দান।
লেখকের শেষ মন্তব্য
মহররম ও আশুরায় যা করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো বুঝে করণীয়গুলো পালন করা কর্তব্য প্রত্যেক মুসলামনের এবং বর্জনীয়গুলো না মানা উচিত। প্রিয় পাঠক, মুহাররম এর আশূরা কে কেন্দ্র করে যে বিষয়গুলো বলেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরো এরকম নিত্য নতুন ব্লগ এবং আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটের প্রতি চোখ রাখুন ইনশাআল্লাহ্।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url