যা (ز) দিয়ে ইসলামিক নাম: অর্থবহ ও সুন্দর বাংলা নামের তালিকা

তা (ت) দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম ও অর্থনাম রাখা শুধু পরিচয়ের বিষয় নয়, বরং নামের মাধ্যমে দোয়া ও আশীর্বাদও ছড়িয়ে দেয়। ইসলামিক নামের ক্ষেত্রে অর্থবহ এবং সুন্দর নাম নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যা-দিয়ে-ইসলামিক-নাম-অর্থবহ-ও-সুন্দর-বাংলা-নামের-তালিকা

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব “যা (ز)” দিয়ে শুরু হওয়া ইসলামিক ছেলেদের ও মেয়েদের নামের তালিকা এবং তাদের অর্থ।

পোস্টের সূচীপত্রঃ

যা (ز) দিয়ে ইসলামিক নামের তালিকা

ক্র. নাম অর্থ সোর্স
০১ যামীল নেতা হাদিস
০২ যিমাম জনৈক সাহাবীর নাম হাদিস
০৩ যুবায়র একজন সাহাবীর নাম হাদিস
০৪ যাকারিয়া একজন নবীর নাম কুরআন
০৫ যাররাদ বর্ম নির্মাতা বা নির্মাণকারী হাদিস
০৬ যায়ীম নেতা, ক্যাপ্টেন সাহিত্য
০৭ যাহিদ সংসার ত্যাগী বা বিরাগী হাদিস
০৮ যাহী উজ্জ্বল বা ছাক্বীব সাহিত্য
০৯ যায়দ অধিক, অতিরিক্ত বা বেশি হাদিস
১০ যাহিফ হামাগুড়ি দিয়ে চলে এমন লোক সাহিত্য
১১ যাদ পাথেয়, পথের সম্বল কুরআন
১২ যাবীব কিসমিস আদাব সাহিত্য
১৩ যারি' রোপনকারী হাদিস
১৪ যামান সময়, টাইম কুরআন
১৫ যিমাম লাগাম সাহিত্য, আদাব
১৬ যামীল সঙ্গী, সাথী হাদিস
১৭ যিয়াদ বৃদ্ধি, বাড়া কুরআন
১৮ যায়ান সুন্দর হাদিস
১৯ যিয়ান সাজসজ্জা হাদিস বা হাদীছ
২০ যায়নুদ্দীন ধর্মের সুন্দর বা সৌন্দর্য্য সাহিত্য বা আদাব
২১ যারকাশ বুটিদার বস্ত্র হাদীছ
২২ যাওয়াদ বৃদ্ধি, পাথেয় সাহিত্য
২৩ যিরয়াব এক প্রকার পাখি সাহিত্য

বিস্তারিত নামের অর্থ ও ব্যাখ্যা

  • যাকি: আল্লাহক যাকে মেধা দিয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি, যার জীবন মেধাময় ও প্রতিভাময়।
  • যাহিদ: পরিশ্রমী এবং ঈমানদার ব্যক্তি, যে কঠোর পরিশ্রমে জীবন গড়ে তোলে।
  • যায়নুদ্দীন: মূল যায়ন মানে সাজসজ্জা যা যায়ন ও দীন মিলে গঠিত হয়েছে, উভয় শব্দ মিলে অর্থ হলো ধর্মের সৌন্দর্য্য দীনের সাজসজ্জা।

    উপসংহার

    ‘যা (ز)’ দিয়ে শুরু হওয়া ইসলামিক নামগুলো অর্থবহ এবং ঐতিহ্যবাহী। সঠিক নাম বাছাই শিশুর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই তালিকা আপনাকে নাম নির্বাচনে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

    ❓প্রশ্ন-উত্তর (FAQ)

    প্রশ্ন ১: ‘যা (ز)’ দিয়ে নাম রাখা ইসলামে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
    উত্তর: নামের অর্থ ও ইসলামিক গ্রহণযোগ্যতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হরফের গুরুত্ব সীমিত।

    প্রশ্ন ২: এই নামগুলো কি আজকের দিনে ব্যবহারযোগ্য?
    উত্তর: হ্যাঁ, অনেক নাম এখনো জনপ্রিয় ও আধুনিক সমাজে গ্রহণযোগ্য।

    প্রশ্ন ৩: নাম রাখার সময় কী কী বিবেচনা করা উচিত?
    উত্তর:

    • নামের অর্থ ইতিবাচক ও সুন্দর হওয়া উচিত।
    • ইসলামী ও কুরআনিক শব্দ হলে বেশি প্রাধান্য দিন।
    • নাম যেন সহজে উচ্চারিত ও স্মরণযোগ্য হয়।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url