শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতাশারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জানতে এখানে এসেছেন তাই
  না? সু প্রিয় পাঠক, শরীর ও মন দুইটা খুবই পারস্পরিক বন্ধু পরায়ণ অঙ্গ
  যার একটি অসুস্থ হলে আরেকটি ও হয়ে যায়।তাই দেহকে ঠিক রাখতে মন ঠিক রাখতে
  হবে। 
  আর মনকে ঠিক রাখতে দেহ বা শরীরকে ঠিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে
  আজকের ব্লগটিতে শরীর ও মন সুস্থ রাখা ও থাকার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে
  আলোকপাত করবো। তো এক্ষেত্রে সাথেই থাকুন আর চলুন আলোচনা করি।
পেজ সূচীপত্রঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সংশ্লিষ্ট
    বিষয় সহকারে জানুন
  শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
  শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় কি কি রয়েছে সেগুলো এখানে আলোকপাত করছি।
  সর্ব প্রথমে বলতে চাচ্ছি যে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি একটি
  বিষয়। ভূমিকাতেই বলেছি যে শরীর ও মন একটি আর একটির সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত।
  যদি শরীরকে ভালো রাখতে হয় মনকে ভালো রাখতে হবে।
  আরো পড়ুনঃ শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে যেটি না জানলে নয় 
  আর মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকে ভালো রাখতে হবে একটা আর একটা কে টানে। প্রিয় পাঠক
  তাই আপনাকে ডিসিশন নিতে হবে যে কোন মূল্যে শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবে যেন সুস্থ
  থাকা যায় বিষয়টি চর্চা করতে হবে। আর শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য বেশি উপায়
  রয়েছে যেগুলো এখানে উল্লেখ করছে। 
  পরিকল্পনা করুন ঃ আপনি সদা পরিকল্পনা গ্রহণ করুন যে কিভাবে চলবেন, কি
  খাবেন, কতটুকু খাবেন, কতটুকু ঘুমাবেন ইত্যাদি বিষয়ে পরিকল্পনা করে পথ চলুন।
  তাহলে আপনার প্রত্যেকটি কাজ সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে। আর পরিকল্পনার সাথে কাজ করলে
  কাজে ভুল হবে না এবং সেই কাজটি অনেক যত্নের সাথে করতে পারবেন।
  খাবার গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করুন ঃ আপনার খাবার গ্রহণে অত্যন্ত
  সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যে খাবারটি আপনি ভক্ষণ করছেন বা খাচ্ছেন এটির দ্বারা
  আপনার শরীরের মাংস রক্ত ইত্যাদি গঠন হচ্ছে। সেই খাবারটা যদি ভেজাল যুক্ত হয়
  তাহলে রক্তে ভেজাল ঢুকবে এবং সেই ভেজালওয়ালা রক্ত সারা শরীরে প্রবাহিত হয়ে
  অসুস্থ হয়ে যাবেন। 
  পানি পানি সজাগ থাকুন ঃ আপনি প্রতিদিন যে পানিটা পান করছেন সে পানি
  পানে ও সজাগ থাকা জরুরী। এই পানিটা যদি ফ্রেশ এবং দূষণমুক্ত না হয় তাহলে আপনার
  শরীর দূষিত পানির মাধ্যমে অসুস্থ হয়ে যাবে। কারণ শরীরের অধিকাংশই পানি আর পানি
  শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  অলসতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখান ঃ বলা হয়ে থাকে অলস দেহ রোগের বাসা
  বাধার জন্য যথেষ্ট। তাই যেকোনো মূল্যে অলসতাকে ত্যাগ করুন এবং কর্মঠ হোন। আপনি
  যদি কর্মব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটান তাহলে আপনার শরীর ও মন দুটোই সুস্থতার জন্য
  অনেক সহায়ক হবে। তাই অলসতা না করে যে কোন নিজের মঙ্গল হয় এমন কাজের সময় দিন।
  সুন্দর ঘুম কে স্বাগত জানান ঃ ঘুম অত্যন্ত আরামদায়ক একটি জিনিস যেটা
  শরীর ও মন দুটোকেই ফিট ও সুস্থ রাখে। রাতকে আল্লাহ ঘুমের জন্য সৃষ্টি করেছেন আর
  দিনকে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই রাতে দরজা জানালা লাগিয়ে গভীর ঘুম দিন যেন
  আপনি মরে গেছেন। তাহলে এই ঘুমের মাধ্যমে আপনার শরীর সুস্থ হবে এবং মন শান্তিময়
  থাকবে।
  নিজেকে ধন্যবাদ দিন ঃ যেকোনো ভালো কাজ করলে নিজেকে ধন্যবাদ দিতে
  ভুলবেন না, কারণ নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দেওয়া মনের প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত
  কার্যকরী একটি উপায়। এক্ষেত্রে আপনার ব্রেনে সিগনাল যাবে যে আপনি সত্যিই আজকে
  ভালো কাজ করেছেন। ভালো কাজ করা খুবই মহৎ এবং মহান বিষয়। আর মন ভালো তো শরীর
  ভালো।
  সময় হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ঃ ছয় মাস অন্তর বা কমপক্ষে বছরে
  একবার হলেও যে কোন সময় একজন চিকিৎসক বা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আপনার
  শরীরে কোন সমস্যা আছে কিনা বিষয়গুলো তার সাথে শেয়ার করুন। যদিও শরীরে কোন রোগ
  নেই আপনি মনে করছেন এ তথাপিও। তাহলে ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দিবে যে কিভাবে আপনি
  পরবর্তী সময় গুলো জীবন যাপন করবেন।
  রুটিন মাফিক জীবন গড়ুন ঃ রুটিন মাফিক চলা যে কারো খুবই সুস্থ থাকার
  পথের পাথেয় ও সুন্দর উপায়। যেকোনো ক্ষেত্রে এবং কাজে রুটিন এবং নিয়ম অনুযায়ী
  চললে এটি দিগন্তকারী সুন্দরভাবে পথ চলার একটি মাধ্যম। তাই
  আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে ডেইলি রুটিন করুন যে কখন ঘুমাবেন কখন খাবেন কখন
  কোন কাজ করবেন বিষয়গুলো নিয়ে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় করলে এবং সে
  অনুযায়ী কাজ করলে আপনি সফল হতে পারবেন আপনার নির্দিষ্ট সুস্থতার দিকে। 
  মেডিটেশন বা ধ্যান করুন ঃ মেডিটেশন বা ধ্যান করা মানসিক
  স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপায়। দৈনিক একটা নির্দিষ্ট সময় করে
  যদি মেডিটেশন বা মানসিক স্বাস্থ্য চর্চা করা হয় তাহলে এর মাধ্যমে শরীরের অনেক
  রোগ ব্যাধি ভালো হয়ে যায়। এবং মনের দিক থেকেও শান্তি এবং প্রশান্তি
  অর্জন করতে পারবেন। তাই শরীর ও মনকে ঠিক রাখতে মেডিটেশন বা ধ্যানের কোন
  বিকল্প নেই।
  দৈনিক শরীরচর্চায় সময় দিন ঃ দৈনিক শরীরচর্চা শরীর ও মন ঠিক
  রাখার জন্য খুবই সহায়ক করতে উপায় এর নাম। যদি আপনি আপনার শরীর এবং সব সময়
  অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে চান এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে চান তাহলে শরীরচর্চায় বা
  ব্যায়ামে সময় ব্যয় করুন। কমপক্ষে পাঁচ মিনিট দশ মিনিট বা ১৫ মিনিট বা আধা
  ঘন্টা সময় দিন শরীর চর্চায়। তাহলে এক্ষেত্রে অত্যাধিক সুফল
  পাওয়ার আশা করতে পারবেন সুস্থ লাইফ স্টাইল এর জন্য। 
  মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
  
    মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় আমরা ইতিমধ্যেই সংক্ষেপে বর্ণনা করার চেষ্টা
    করেছি। এইখানে আরো কিছু আলোকপাত করছি। সম্মানিত পাঠক মানসিক
    স্বাস্থ ভালো রাখার জন্য অনেক কার্যকরী এবং উপকারী কিছু পদক্ষেপ রয়েছে
    যেগুলো গ্রহণ করলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা। তো চলুন মানসিক স্বাস্থ্য
    কিভাবে ভালো রাখবেন সেগুলো কয়েক লাইনে বর্ণনা করছি। 
  
  
  
    মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত সময় মেইনটেইন করে শারীরিকভাবে অর্থাৎ
    শরীর এর কষ্ট হয় এমন কসরত করতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম পারতে হবে
    যেটি মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার এক অন্যতম পরিকল্পিত বিষয়। পর্যাপ্ত
    পানি পান করুন তাহলে শরীরের টক্সিন দূর হবে এবং ডিহাইড্রেশনে শক্ত ভূমিকা
    পালন করবে যেটা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা পালন করবে। 
  
  
    স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার
  
  
    স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার যেগুলো সেগুলো এখানে উল্লেখ করছি। স্বাস্থ্য ভালো
    রাখতে ভালো খাবারের কোন বিকল্প নেই ভালো খাবার তো ভালো স্বাস্থ্য। তাই আপনি
    যথেষ্ট সময় দিবেন এক্ষেত্রে যে কোন খাবারটি ভালো কোন খাবারটি আপনার শরীরের
    জন্য উপকারী এবং কোন খাবারটি ভেজাল মুক্ত সে দিনটি বিচার-বিশ্লেষণে। 
  
  
  
    তাহলে আপনার শরীর যে খাবারের দ্বারা গঠন হবে এবং সুস্থ থাকবে সেটি শতভাগ না
    হলেও কে ৮০ - ৯০% নিশ্চিত হবে। নিচে কিছু ভালো খাবারের নাম বলা হলো। যেমন নদীর
    মাছ সাগরের মাছ এবং পুকুর বা বিল ঝিলের মাছ হলেও কোন সমস্যা নেই। মাছ শরীরের
    জন্য অত্যন্ত তা উপকারী একটি খাবার। 
  
  
    যেকোনো ভালো শাকসবজি বিশেষ করে যেগুলো পেয়ে ফার্টিলাইজার বা সার দেওয়া হয়
    নাই মানে সার মুক্ত শাকসবজি। আবার ভেজালমুক্ত ফলমূল যেগুলোতে ফরমালিন দেওয়া
    নেই সেগুলো। ফরমালিনমুক্ত ফলমূল চেনার জন্য একটি উপায় হচ্ছে যেটা বেশি ২-৩ দিন
    গেলে পৌঁছে যায় নষ্ট হয়ে যায়। 
  
  
  
    তার মানে পচে যাওয়াটাই ভালো ফলমূল হওয়ার লক্ষণ। এরপর বিভিন্ন ধরনের নামিদামি
    উপকারী বাদাম রয়েছে সেগুলো ভালো খাবারের অন্তর্ভুক্ত। শারীরিক ও মানসিকভাবে
    সুস্থ থাকার উপায় গুলোর সবচেয়ে অন্যতম উপায় হচ্ছে ভালো খাবার। এজন্য ভালো
    খাবারে সচেতনা সচেতনতা অবলম্বন করুন।
  
  
    মন ভালো রাখার উপায়
  
  
    মন ভালো রাখার উপায় যা হতে পারে সেগুলো ইতিমধ্যে যতটুকু ব্লগ পড়েছেন আশা করছি
    অনেক কিছু ক্লিয়ার হয়েছেন। তাই মন ভালো রাখার জন্য ভালো খাবার যেমন সহায়ক
    ভূমিকা পালন করে অনুরুপ পর্যাপ্ত পানি পান এবং সঠিক সময়ে ঘুম এবং শরীরচর্চা
    গ্রহণ ইত্যাদি উপায় গুলোও চমৎকার উপায় এর অন্তর্ভুক্ত। 
  
  
  
    তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় জেনে আপনাকে সামনে আগাতে হবে বিশেষ
    করে আপনার মন কি করে ভালো হবে এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে এবং কল্পনা করতে
    হবে। আপনি আপনার ভালো বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পারেন এক্ষেত্রেও আপনার মন
    সুন্দর ভালো হয়ে যেতে পারে। 
  
  
  
    আপনার ফ্যামিলি বা পরিবারের লোকজনের সাথে সময় দিন মন ভালো হওয়ার এটিও একটি
    অন্যতম উপায়। আপনার সাথে যাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে চেষ্টা করুন যে কি করে
    তাদের সাথে সম্পর্ক কে জোড়া লাগা যায় এ বিষয়টিও মন ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট
    ভূমিকা পালন করবে। আপনি সফর করতে পারেন বিভিন্ন নদী, সাগর বা পাহাড়ে তাহলেও
    আপনার মনটি ভালো হয়ে যেতে পারে। 
  
  
  
    মন ভালো রাখার আরো একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে আপনার আশপাশের লোকজনকে
    বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন এর মাধ্যমেও মন ভালো হয়ে যেতে। দান
    খয়রাত করা বিষয়টিও মন ভালো রাখার একটি সুন্দর উপায়।
  
  
    শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা
  
  
    শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা এখানে আলোকপাত করছি। শরীর সুস্থ রাখতে ভালো ও
    উন্নত খাবারের কোন বিকল্প নেই যে বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি। এরপরে এইখানে
    কিছু খাবারের লিস্ট বা তালিকা আকারে লিখছি যে তালিকাটি আপনাকে সাহায্য করবে।
    বিভিন্ন খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো আপনার প্রত্যহ খাবার তালিকায় থাকা খুবই
    জরুরী। তাহলে আপনার শরীরের পুষ্টি সাধনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
    করবে। আপনার ডেইলি খাবার রুটিনের ভিতরে আদর্শ ছয় খাবার বিষয়টি থাকতে
    হবে। 
  
  
    
      - ফলমূল খাওয়া
- পেয়ারা
- বেদনা
- আমলকি
- শাকসবজি খাওয়া
- শসা
- গাজর
- প্রচুর স্বচ্ছ পানি খাওয়া
- মিনারেল ওয়াটার
- মাছ মাংস খাওয়া
- যে মাছে তেল বেশি 
- পাংগাস
- দুধ দই খাওয়া
- ডাল খাওয়া ইত্যাদি।
 
  
    স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
  
  
    স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় যে বিষয়গুলো সেগুলো এখানে জানার চেষ্টা করি।
    স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে বা কি করনীয় কি করতে
    হবে বিষয়গুলো মোটামুটি অলরেডি আলোচনা করা হয়েছে। এখানে শারীরিক ও মানসিকভাবে
    সুস্থ থাকার উপায় শিরোনামটির আরো একটি পৃথক শিরোনাম হচ্ছে এই স্বাস্থ্য
    সুরক্ষায় করণীয় বিষয়টি। 
  
  
  
    স্বাস্থ্য যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সেটা হচ্ছে আপনি লক্ষ্য স্থির করুন। স্ট্রেস
    বা চাপ কমান, কারণ যদি আপনি চাপ নিয়ে এগিয়ে যান তাহলে আপনার স্বাস্থ্য জীবনেও
    ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে চাপের সাথে জীবন যাপন করলে আপনার শরীরে বিভিন্ন
    রোগব্যাধি বাসা বাঁধবে। তাই চাপ থেকে বিশেষ করে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপ্রাণ
    চেষ্টা করতে হবে। 
  
  
  
    সে ক্ষেত্রে সকাল সন্ধ্যায় বেশি বেশি হাঁটতে হবে। শরীরচর্চা ব্যায়াম করতে
    হবে। বিভিন্ন কাজে মন দিতে হবে। সংসারও পরিবারের লোকজনকে সাহায্য সহযোগিতা করতে
    হবে কাজ করে যে কাজগুলো করলে পরিবার উপকৃত হবে। এরপর নিজেকে সময় দিতে হবে,
    বিভিন্ন সময় বেশি থেকে বেশি কাজ করতে গিয়ে নিজের দেহ এর যত্ন নেওয়া হয় না
    তাই এক্ষেত্রে সজাগ হতে হবে। 
  
  
  
    নিজের বাচ্চা কাচ্চা ছেলে-মেয়ে স্বামী-স্ত্রীর একজন আরেকজনকে সময় দিতে হবে।
    প্রতিদিন কিছু না কিছু নিজের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। হেলদি
    লাইফ স্টাইল করতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। 
  
  
    সামাজিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
  
  
    সামাজিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকার একটি বিষয়। যে
    সমাজে আপনি বাস করবেন সেই সমাজে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ
    নিজের স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে তাহলে সমাজের লোকজনের ভালো সেবা করা যায়। 
  
  
  
    এবং সামাজিক ভাবে যারা অবস্থান করছে বাস করছে তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি ও খেয়াল
    রাখতে হবে তাহলে পরস্পরে ভালো থাকাও ভালো রাখা যাবে।সমাজ একটা মানব জীবনের
    অবিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। যে সমাজের মানুষ একজন আরেকজনকে হেল্প করতে
    পারে সহযোগিতা করতে পারে সে সমাজের মানুষের স্বাস্থ্য অবশ্যই ভালো থাকবে। 
  
  
  
    তাই সমাজকে ঠিক রাখতে সমাজের মানুষকে ভালো রাখতে নিজের সাথে যেমন সুবিচার করতে
    হবে সমাজের মানুষকে নিয়েও ভাবতে হবে। যে কি করে সমাজের মানুষের স্বাস্থ্য
    সচেতনতা ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্য যদি ভালো
    থাকে তাহলে সমাজে কোন দুঃখ দুর্দশা কষ্ট বিপদ-আপদ চোখে আসবেনা। নিজে ভালো
    থাকবেন এবং অপরকে ভালো রাখবেন। 
  
  
    মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার
  
  
    মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার বিষয়টি খুবই জরুরী একটি বিষয়। মানসিক
    স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশ কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো মানসিক
    স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। মানসিক সুস্বাস্থ্য এর জন্য যে যে
    খাবারগুলো রয়েছে সেগুলোর একটি হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ যেই মাছের কথা বিভিন্ন
    স্বাস্থ্য সচেতন গবেষক ও বিজ্ঞানী বলেছেন। 
  
  
    আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং এটার চিকিৎসা কী?
  
  
    এবং ধর্মীয় শাস্ত্র কোরআন হাদিসেও বলা হয়েছে। মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফাটি
    এসিড যেটি মানসিক স্বাস্থ্য এর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। আবার মানসিক
    স্বাস্থ্যের জন্য ঘি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন
    কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম কাঠবাদাম ইত্যাদিও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভূমিকা
    পালন করে। আবার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল মুক্ত ফলমূল যেমন পেয়ারা বেদনা এবং
    কমলা লেবু কিসমিস ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ভালো খাবার। 
  
  
    সুস্বাস্থ্য স্রষ্টার দেওয়া এক বড় অনুগ্রহ
  
  
    সুস্বাস্থ্য স্রষ্টার দেওয়া এক বড় অনুগ্রহ বিষয়টি এখানে আলোকপাত করছে।
    স্বাস্থ্য এবং অবসরতা এই দুইটা ক্ষেত্রে একটি মহানবীর হাদিস রয়েছে। হাদীসটি
    হচ্ছে এরকম যে সুস্থতা বা সুস্বাস্থ্য আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এক বড় নেয়ামত
    বা অনুগ্রহ যে নেয়ামত বা অনুগ্রহের ব্যাপারে অনেক মানুষই ধোঁকায় পড়ে রয়েছে।
    এজন্য এই স্বাস্থ্যের কদর ততক্ষণ বুঝা যাবে না যতক্ষণ সুস্থ রয়েছে। 
  
  
  
    যখন স্বাস্থ্যে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি অসুস্থতা দেখা দিবে তবে ঠিকমতো হাঁটতে
    পারবেন না, ঠিকমতো খাইতে পারবেন না, ঠিকমত ঘুমাতে পারবেন না এবং ঠিকমতো বিভিন্ন
    কাজই করতে পারবেন না তখন বুঝতে পারবেন যে সুস্বাস্থ্য এর কি দাম বা কি মর্যাদা।
    এজন্য এই স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সুস্বাস্থ্য চর্চার বিকল্প কোন পথ নেই। 
  
  
  
    তাই হেলদি লাইফ স্টাইল গড়তে পরিকল্পনা করতে হবে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে ঘুম,
    পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা, মানসিক স্বাস্থ্য চর্চা, বিভিন্ন
    কাজকর্মে ব্যস্ত থাকা, রোদে সময় কাটানো ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনার স্বাস্থ্য ঠিক
    রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী উপকারী এবং সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
  
  
    লেখকের শেষ মন্তব্য
  
  
    শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সংশ্লিষ্ট আরও বিভিন্ন বিষয় উল্লেখিত
    আর্টিকেল বা ব্লগটিতে লিখেছি। সম্মানিত পাঠক আপনি যদি উক্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ
    সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হতে পেরেছেন বলে আশা করি। আরো এরকম
    নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সাপোর্ট করুন
    তাহলে সুন্দর আর্টিকেল আরো পাবেন আমাদের পক্ষ থেকে ইনশাআল্লাহ।
  
 
 
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url