মিনিবার ফুটবল খেলার নিয়মাবলী - বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম
শর্ট পিচ ক্রিকেট খেলার নিয়মবাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম সংশ্লিষ্ট বিষয় জানতে এখানে এসেছেন তাই না? মিনবার সাধারণত ফুটবল খেলা যে বারে খেলা হয় তার চেয়ে ছোট এবং উচ্চতায় নিচু। ফুটবল মানে পায়ের বল খেলা যেটি শারীরিক ফিটনেসে খুব ভূমিকা রাখে।
কারণ ফুটবল খেলায় খুব বেশি দৌড়াতে হয় আর মিনিবার ফুটবল খেলায় আরো বেশি চেষ্টার সাথে রানিং করা হয়। ফলে ফুটবল শারীরিক বডি গঠণে ও মানসিক শান্তি বিষয়টিও অর্জিত হয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
পেজ সূচীপত্রঃ মিনিবার ফুটবল খেলার নিয়মাবলী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানুনমিনিবার ফুটবল খেলার নিয়মাবলী
মিনিবার ফুটবল খেলার নিয়মাবলী সম্পর্কে লিখছি। মিনিবার ফুটবল খেলাকে ফুটসালও বলা হয়। ফুটসাল শব্দটি স্পেন ভাষার একই শব্দ। বিশ্লেষণ হচ্ছে ফুট মানে পায়ের বল আর সাল মানে সালা বা ইনডোর, সব মিলিয়ে অর্থ হচ্ছে যে ফুটবল খেলা ইনডোর বা কোন বিশেষ জায়গার অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। মিনিবার ফুটবল খেলা সাধারণত সাধারণ ফুটবল খেলার চেয়ে একটু ছোট পরিসরে হয়। ফুটবল খেলা কি নিয়মে হয় বিষয়টি পর্যায়ক্রমে নিম্নে উল্লেখ করছি।
- মিনিবার ফুটবল খেলার মাঠটি সাধারণ ফুটবল খেলার মাঠের চেয়ে ছোট হয়ে থাকে।
- মিনিবার ফুটবল খেলার বলটিও সাধারণ ফুটবল খেলার বলের চেয়ে ছোট।
- মিনিবার ফুটবল খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য ২৭ থেকে ৪২ গজ আর প্রস্থ ১৭ থেকে ২৭।
- ফুটসাল বা ছোট পরিসরে ফুটবল খেলার প্লেয়ার সংখ্যা 5 জন করে অর্থাৎ দুই পক্ষেরই ৫ করে ১০ জন।
- মিনিবার ফুটবল খেলার অতিরিক্ত প্লেয়ার 12 জন রয়েছে অর্থাৎ একজনের সমস্যা হলে আরেকজন মাঠে নামবে।
- মিনিবার ফুটবল খেলা সাধারণত শহরের ভিতরে হয় কারণ শহরে জায়গা কম রয়েছে তাই।
- বর্তমান মিনিবার ফুটবল খেলা অনেক জনপ্রিয় হওয়ায় গ্রামে পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছে।
- সাধারণ ফুটবল খেলার মত মিনিবার ফুটবল খেলার বিশ্বকাপ হয়।
- প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল ১৯৮৯ সালে যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।
- ব্রাজিল মিনিবার ফুটবল খেলায় পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
- মিনিবার ফুটবল খেলার শেষ বিশ্বকাপ হয়েছে ২০১৬ সালে যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা।
আরো পড়ুনঃ শর্ট পিচ ক্রিকেট খেলার নিয়ম - T20 ক্রিকেট খেলার নিয়মাবলী
- মিনিবার ফুটবল খেলা সাধারণত হাত দিয়ে কোনক্রমেই বল ধরা যায় না।
- এমনকি গোলকিপার ও হাত দিয়ে বল না ধরে তাকে পা দিয়ে ধরতে হয়।
- গোলকিপারের কাছে ৪ সেকেন্ড এর মধ্যেই বল ছেড়ে দিতে হয়। চার সেকেন্ডের বেশি হলে প্রতিপক্ষ দল ফ্রি কিক পায়
- মিনিবার ফুটবল খেলায় বল সাইডলাইনের বাইরে চলে গেলে হাত দিয়ে বল থ্রো না করে পা দিয়ে সাইডলাইন থেকে কিক করতে হয়।
- মিনিবার ফুটবল খেলা ২০ মিনিট করে মোট ৪০ মিনিট হয় অর্থাৎ ২০ মিনিট খেলে একটু বিরতি দিয়ে আবার ২০ মিনিট খেলা হয়।
- মিনিবার ফুটবল খেলায় যেকোনো হাফ ২০ মিনিটের মধ্যে পাঁচবার ফাউল করলে একটি পেনাল্টি পায় প্রতিপক্ষ দল। এক্ষেত্রে পেনাল্টি মারার নিয়মটি হচ্ছে পোষ্টের ৫ মিটার দূর থেকে।
- এভাবে ইত্যাদি রুলস মেইনটেইন করে খেলাটা হয়ে থাকে। তাছাড়া অন্য রুলস বা নিয়মগুলো প্রায় সাধারণ ফুটবল খেলার মতই। এ খেলায় ভালো করতে হলে ব্যক্তিগত এক্সপার্ট হওয়াটা খুব জরুরী। তাই নিজে স্কিলড হয়ে খেলাটি ভালোকরে খেলে নিজে উপভোগ করুন ও অন্যদেরকে মজা দেন। তাতেই খেলাটির স্বার্থকতা হাসিল হবে।
বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম
বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম এখানে লিখছি। বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার নিয়মের মতোই তবে আই এফ এ বা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এর নিয়মের কিছুটা তারতম্য রয়েছে বাফুফে বা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে। নিম্নে পার্থক্যগুলো তুলে ধরে বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করছি।
- বাংলাদেশ ফুটবল খেলায় সাধারণ ফুটবল খেলার মতই এগারো জন খেলোয়াড় থাকে যার ভিতরে একজন থাকে গোলকিপার।
- খেলার সময় তিনজন খেলোয়াড় পাল্টানো যায়
- আন্তর্জাতিক মাঠের চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলার মাঠ কিছুটা ছোট এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠ হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৬৪ থেকে ৭৫ মিটার মধ্যে প্রস্থের।
- খেলার সময় ব্যাপ্তি হয়ে থাকে ৯০ মিনিট এ ক্ষেত্রে ৪৫ মিনিট হাফ বা অর্ধেক ভাগ করে। অর্থাৎ ৪৫ মিনিট করে দুইবারে মোট ৯০ মিনিট খেলা হয়।
- আক্রমণ কারী দলের একজন খেলোয়ার যখন প্রতিপক্ষ দলের দুইজন খেলোয়াড়ের (গোলকিপার সহ ২ জন) চেয়ে গোলের কাছাকাছি হয়ে যায় তখন সেটি অফসাইড বলে গণ্য হয়। এ অফসাইড টি বল পাসিং করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাড়া এমনি আগে গিয়ে দাড়িয়ে থাকলে বা নিজের দলের অপর খেলোয়াড়ের বলের অপেক্ষায় থাকলে বা ম্যান চেকআপ দেওয়ার সময়।
- প্রতিপক্ষ কোন খেলোয়ার কে টেনে ধরলে, ধাক্কা দিলে, লাথি মারলে কিংবা ঠেলাঠেলি করলে সেটি ফাউল বলে পরিগণিত হয়। আর ফাউলের জন্য প্রতিপক্ষ দল একটি পেনাল্টি বা ফ্রি কি পায়।
- যে দল তাদের বলটি কে অন্য দলের গোলে ঢুকিয়ে দিতে পারবে তখন সেটি একটি গোল হিসেবে বিবেচিত হয় আর এই গোল যে দলের যত বেশি হবে সে জয়ী হিসেবে সাব্যস্ত হয়।
- যে কোন খেলোয়াড় তার খারাপ আচরণের জন্য রেফারি থেকে একটি হলুদ কার্ড পায় আর এই খারাপ আচরণটা যদি আবার দ্বিতীয় বার করে তাহলে দুইটি হলুদ কার্ড পাবেন তৃতীয়বারের বেলায় সে একটি লাল কার্ড পাবে। দুটি হলুদ কার্ডের সমতুল্য একটি লাল কার্ড।
- এই নিয়মগুলো ছাড়া বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম আরো কিছু রয়েছে যেগুলো ব্রাউজিং করলেই আপনি জানতে পারবেন।
ফুটবল খেলার নিয়ম কানুন pdf
ফুটবল খেলার নিয়ম কানুন pdf চাইলে আপনি গুগল সার্চ করতে পারেন তাহলে আপনার সামনে অনেক লিংক চলে আসবে যে লিংক গুলো ডাউনলোড করে আপনি ফুটবল খেলার নিয়ম কানুন দেখে নিতে পারেন। প্রিয় পাঠক, এক্ষেত্রে আপনি যদি google এ সার্চ করেন ফুটবল খেলার নিয়ম কানুন পিডিএফ তাহলে অনেক পিডিএফ ওয়ালা ওয়েবসাইট আপনার চোখে পড়বে তো কোন ওয়েবসাইটটিতে আপনি ঢুকে আপনার কাঙ্খিত ফুটবল খেলার নিয়মকানুন পিডিএফটি পাবেন সেটি আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।
কারণ সোর্স সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা লাগবে যে যে সোর্স বা উৎসে আপনি পিডিএফ খোঁজার জন্য ঢুকেছেন সেটি আদৌ সঠিক কিনা নাকি শুধু ক্লিক বাড়াতে এটি দেওয়া হয়েছে। যাই হোক, আমি আপনাকে এখানে ফুটবল খেলার নিয়ম কানুন এর একটি পিডিএফ লিংক দিচ্ছি যেটি ডাউনলোড করে আপনি নিয়মগুলো দেখে নিতে পারেন। যদিও সেখানে বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম দিয়ে টাইটেল দেওয়া আছে তারপরেও সেটি আপনি পড়বেন। কারণ ফুটবল খেলার নিয়ম সব একই। তবে যেকোনো দেশীয় ফুটবলে আলাদা কিছু নিয়ম থাকে তাই বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। পড়ুন এবং নিয়মগুলো জানুন। নিচের লিংকটি ডাউনলোড করুন!
ফুটবল খেলার টাই খেলার নিয়ম
ফুটবল খেলার টাই খেলার নিয়ম এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন টাই ব্রেকার ব্যবহার করা হয়। ফুটবল খেলার তাই মনে হচ্ছে নির্দিষ্ট যে 90 মিনিটের খেলা এতে দুটি দলই সমান সংখ্যক গোল করে থাকে তাই খেলাটি টাই হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই মানে সমান হওয়া অর্থাৎ দুইদলেরই গোল সমান মানে একদল যদি দুইটা গোল করে প্রতিপক্ষ দলেরও দুইটা গোল তিনটা গোল হলে অপর দলেরও তিনটি গোল চারটা হলে চারটা পাঁচটা হলে পাঁচটি এভাবে লেভেল বা টাই হয়ে থাকে। আর খেলাটি তাই হয়ে গেলে বিভিন্ন টাই ব্রেকার বা সমান টা ভাঙ্গার জন্য কিছু বিষয় অবলম্বন করা হয় নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো।
ফুটবল খেলার টাইবা সমান গোলটা ভাঙ্গার জন্য অতিরিক্ত কিছু সময় দেওয়া হয় এটি
আধা ঘন্টাও হতে পারে আবার এর থেকে কম বেশিও হতে পারে। এক্ষেত্রে সময়
বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে স্কোর সংখ্যাটা বেশ কম হয়ে যায় হলে একটি দল বিজয়ী
হয়।
এরপরেও স্কোর সমান থাকলে পেনাল্টি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে দুই
দলের প্রতিটি থেকে পাঁচজন করে প্লেয়ারকে শুট করতে দেওয়া হয় যাদের শুট সংখ্যা
বেশি হয় এবং শুটটা কার্যকর হয় অর্থাৎ গোল হয়ে যায় তারাই জয়ী হয়।
আরেকটি টাইপ ব্রেকার হচ্ছে গোল্ডেন বা সোনালী গোল অর্থাৎ অতিরিক্ত সময় দেওয়ার ফলে প্রথম যে দলের গোল হয় সেটি সোনালি গোল হিসাবে বিবেচিত হয় এবং সে দল জয়ী হয়।
আরেকটি ট্রাইবেকার হচ্ছে পয়েন্ট টেবিল অর্থাৎ সমস্ত টুর্নামেন্ট জুড়ে যারা
বেশি এগিয়ে থাকে তারাই জয়ী হিসেবে বিবেচিত হয়ে যায় ইত্যাদি।
মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট
মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পর্কে এখানে লিখছি। মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় ফুটবলখেলার একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। এটি সাধারণ খেলার চেয়ে একটু ছোট পরিসরে হয় এই খেলাটি শহর এবং বর্তমান গ্রামগঞ্জে অধিক প্রচলিত হয়ে গিয়ে। খেলাটি সাধারণত বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবারের সদস্যদের সাথে খেলা হলে বেশি উপভোগীয় হয়। মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের সাধারন ফুটবলের তুলনায় যে পার্থক্যগুলো রয়েচেহ তা তুলে ধরছি নিচে।
মিনি ফুটবলের মাঠ সাধারণ ফুটবলের মাঠে তুলনায় ছোট হয়।
মিনি ফুটবলের মাঠের দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ৩০ মিটার হয়ে থাকে এবং প্রস্থ ১৫ থেকে
২০ মিটার হয়ে থাকে।
মিনি ফুটবলের গোল সাধারণ ফুটবলের চাইতে ছোট হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোলগুলো ছয় ফিট
প্রশস্ত এবং দুই ফিট লম্বা হতে পারে।
মিনি ফুটবলের বল সাধারণ বলের চেয়ে ছোট হয়।
মিনি ফুটবলের খেলোয়াড় পাঁচজন করে হয়।
মিনি ফুটবলের একজন রেফারি এবং দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির দরকার হয়।
মিনি ফুটবলের প্রাইজ বা পুরস্কার মেডেল বা ট্রফি হয়ে থাকে ইত্যাদি।
ফুটবল খেলার রেফারির নিয়ম কানুন
ফুটবল খেলার রেফারির নিয়ম কানুন সম্পর্কে এখানে লিখছি। ফুটবল খেলার রেফারির বিভিন্ন নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলোর কিছু মেইন দায়িত্ব রয়েছে, রেফারির কিছু গুণাবলী রয়েছে, সাধারণ কিছু নিয়ম রয়েছে, ফাউল এবং অন্যায় সংক্রান্ত কিছু শাস্তি দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে এবং সহকারী রেফারি সম্পর্কে কিছু ব্যাপার স্যাপার রয়েছে যেগুলো নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করছি।
রেফারির মূল দায়িত্ব গুলো হচ্ছেঃ
- খেলার নিয়ম প্রয়োগ করে নিশ্চিত করতে হবে
- খেলা চলা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে
- খেলোয়াড়দের ফাউল অফসাইড ইত্যাদি মেইনটেইন করতে হবে।
- প্লেয়ারদের বিভিন্ন সময় সতর্ক এবং মাঠ থেকে বহিষ্কার করারও পাওয়ার রয়েছে।
- বলটি মাঠের বাইরে চলে গেলে আবার ভিতরে আনার ব্যবস্থা করতে হয়।
- দুই দলের বিভিন্ন পরিবর্তন এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সজাগ থাকতে হয়।
দরকারী কিছু গুনাগুনঃ
- রেফারীকে দৈহিকভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সদা একটি হতে হয়।
- রেফারীকে খেলায় মনোযোগ এবং দ্রুত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ক্ষমতাবান হতে হয়।
- ফুটবলের নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবহিত হতে হয়।
- খেলায় ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ হতে হয়।
- নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এক্সপার্ট হতে হয়।
সাধারণ কিছু নিয়মঃ
- রেফারি মাঠের সেন্টারে বা একেবারে মাঝখানে খেলাটি চালু করবে।
- ফুটবল খেলার বল্ডেই পা মাথা এবং দিয়ে কন্ট্রোল করতে হয়।
গোলকিপার ছাড়া অন্য যে কোন খেলোয়াড় হাত দিয়ে বল ধরতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে কেউ ধরলে বা হাতের স্পর্শ লাগলে সেটি হ্যান্ডবল হিসেবে বিবেচিত হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো রেফারিকে মাথায় রেখে খেয়াটি পরিচালনা করতে হয়।
সহকারীর রেফারির দায়িতঃ
প্রধান রেফারিকে সাহায্য করতে দুজন আরও সহকারী রেফারি ফুটবল
খেলায় থাকে যারা খেলায় ওয়েবসাইট কর্নার, এবং থ্রো-ইনের সিদ্ধান্ত
নিতে সাহায্য করে।
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা সংক্ষেপে ভিএআর(VAR) ও একজন রয়েছে যিনি অত্যাধুনিক এই যুগে ভিডিও র মাধ্যমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। যেমন রিপ্লে বা রিভিউ ইত্যাদিতে ডিসিসান দেয়।
ফুটবল খেলার টাইসিট
ফুটবল খেলার টাইসিট মানে যেটি গুগলের ভাষায় অলিখিত নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বা আনসোকেন ল্যাঙ্গুয়েজ নামে পরিচিত। ফুটবল খেলার টাইসিটের মাধ্যমে খেলোয়ারদের মাঝে বিভিন্ন কিছু হয়ে থাকে। একটা টাইসিটের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের পরস্পরের মাঝে সম্মান, বোঝাপড়া এবং একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করার বিষয়টিও বিদ্যমান রয়েছে।
ফুটবলীয় টাইসিট এর মাধ্যমে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে, খেলার নিয়ম মেনে স্পোরটম্যানশিপের মত উপাধি পেতে পারে ইত্যাদি। টাইসিটে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্বশীলতার প্রতি গুরু গম্ভীর হওয়া যায়, রেফারির সিদ্ধান্ত মানার ব্যাপারটিতে অভ্যস্ত হওয়া যায় এবং চিৎকার-চেঁচামেচি ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহারে থেকে বাঁচা যায় এবং আহত খেলোয়াড়দের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া যায়। টাইসিট ফুটবল খেলাটিকে আমরা টুর্নামেন্ট নামেও ডেকে থাকি।
ফুটবল খেলার নিয়ম ভিডিও
ফুটবল খেলার নিয়ম ভিডিও এখানে দেওয়া হলো। ভিডিওর মাধ্যমে আমরা নিয়ম জানতে পারি ও ভালোভাবে বুঝতে পারি। তো চলুন ভিডিও দেখা আরম্ভ করি।
ফুটবল খেলার নিয়ম কয়টি ও কি কি
ফুটবল খেলার নিয়ম কয়টি ও কি কি এখানে লিখছি। আই এফ এ বি (IFAB) ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড কর্তৃক ফুটবল খেলার একাধিক নিয়মকানুন রয়েছে যা সর্বমোট ১৭ টি চ্যাপ্টারে বিভক্ত করা আছে। নিম্নের সংক্ষেপে শুধু চ্যাপ্টার বা অধ্যায়ের শিরোনাম গুলো উল্লেখ করছি।
- খেলার মাঠ
- বল
- খেলোয়ার
- খেলার সরঞ্জাম বা উপাদান
- রেফারি
- সহকারি রেফারি
- খেলার সময়কাল
- খেলার সূচনা
আরো পড়ুনঃ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সময়সূচি পূর্ণাঙ্গ জেনে নিন
- বল খেলার ভিতরেও বাহিরে
- গোল করার নিয়ম
- ফাউল এবং যা করা উচিত নয়
- ফ্রি কিক
- পেনাল্টি কিক
- থ্রো-ইন
- কর্নার কিক
- গোল কিক
- খেলার রেজাল্ট ইত্যাদি।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url