জনপ্রিয় ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম - ৫টি সফটওয়্যার এর নাম বাংলা

কম দামে ভালো ফোন 2024 দামজনপ্রিয় ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম সম্পর্কে এখানে জানাতে যাচ্ছি।সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে পাওয়ারফুল এলিমেন্ট। কারণ একটি কম্পিউটার যদি হার্ডওয়্যার সেটাপ দেওয়ার পর সফটওয়্যার সেটাপ দেওয়া না হয় তাহলে কম্পিটারের দাম থাকবে না।

জনপ্রিয়-১০-টি-সফটওয়্যার-এর-নাম

অর্থাৎ কম্পিউটার চলবে না। কম্পিটার চলতে লাগে প্রথমত উইন্ডোজ সফটওয়্যার সিস্টেম অনুসারে। সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিচে আলোকপাত করছি। তো চলুন সফটওয়্যারের ব্যাপারটা আলোচনা করা শুরু করি।

পেজ সূচীপত্রঃ জনপ্রিয় ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানুন

জনপ্রিয় ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম 

জনপ্রিয় ১০ টি সফটওয়্যার এর নামগুলো নিয়ে এখানে লিখছি। ব্যাপারটি হলো কাজের ডিমান্ড বা চাহিদা অনুসারে সফটওয়্যারগুলো হয়ে থাকে। হার্ডওয়্যার সাধারণত কম্পিউটারের টুলস বা যন্ত্রাংশ ইত্যাদি হিসাবে কাজ করে। আর সফটওয়্যার হচ্ছে একটি প্রোগ্রাম বা কর্মসূচীর নাম যা নির্দেশ করলে কাজ করে। সফটওয়্যার মূলত ২ প্রকার। একটি হচ্ছে সিস্টেম সফটওয়্যার মানে এটি একটি অভ্যন্তরীন বিষয় অর্থাৎ প্রসেসর, র‍্যাম এবং এইচডিডি (হার্ড ডিস্ক) অথবা এসডিডি ইত্যাদি অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো চলার জন্য ব্যবহার হয়। 

আর ২য়টি যেটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের নাম। যেটি কম্পিউটারের বাহ্যিক দিকটা প্রদর্শনে কাজ করে। একেক কাজের জন্য একেক ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন পড়ে। যেমন ব্রাউজিং এর জন্য এক ধরনের সফটওয়্যার, কম্পিউটার চালু হওয়ার জন্য এক ধরনের সফটওয়্যার, লেখালেখির জন্য এক রকম সফটওয়্যার, যোগাযোগের জন্য এক ধরনের সফটওয়্যার আবার লাইভে ক্লাস করা বা মিটিং এর জন্য এক ধরনের সফটওয়্যর। চলো শুরু করি নিম্নে ১০ টি সফটওয়্যার এক্সপ্লোর করতে।

১। গুগল ক্রোম ব্রাউজার (Chrome Browser): ব্রাউজার হচ্ছে কোনো কিছু ব্রাউজিং করার জন্য ব্যবহার হয়। ব্রাউজিং মানে খুঁজা বা অনুসন্ধান করা। অর্থাৎ কোনো ওয়েবসাইট থেকে বা ওয়েব পেজ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে ডেটা বা তথ্য অনুসন্ধান করে বের করা। আর এই কাজ করে একটি ব্রাউজার। এক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে নামিদামি ও জনপ্রিয় ব্রাউজারের নাম Google Chrome Browse - গুগলক্রোম ব্রাউজার। এটি গুগলের একটি প্রোডাকট বা পণ্য।

আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সেরা ২০টি পোষাক ব্র্যান্ড: সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্যাশনেবল ব্র্যান্ডগুলো

প্রত্যেক সফটওয়্যার নানা ভার্সন রয়েছে যেগুলো প্রতিক্ষণে প্রতি মূহুর্তে বা বিশেষকরে প্রতি বছর সফটওয়্যারগুলো আপডেট হয় মানে পূর্বের ফিচারগুলোর চেয়ে আরো কিছু বৃদ্ধি হয় অথবা পূর্বের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকে। এই সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটারের হয় আবার মোবাইল ফোনের ও হয় অর্থাৎ ম্যাকওস উইন্ডোজ বা অ্যান্ড্রয়েড সব অপারেটিং সিস্টেমেরই হয়। আর ফ্রি সফটওয়্যার গুলোর চেয়ে পেইড সফটওয়্যার গুলোর সুবিধা বেশি হয়ে থাকে। যদিও গুগুলক্রোম ব্রাউজার ফ্রি অমূল্য একটি সফটওয়্যার।

২। মজিলা ফায়ারফেক্স (Mozilla Firefox): এটি আরেকটি ব্রাউজার সফটওয়্যার। এটি মজিলা কোম্পানির একটি প্রোডাকট বা পণ্য। এগুলোকে ওয়েব ব্রাউজার ও বলা হয়। কারণ এগুলো ওয়েবসাইট থেকে তথ্য খুঁজে দেয় তাই। এটি ক্রোম ব্রাউজারের পরে অবস্থান করছে সিরিয়াল এবং পারফরমেন্সের দিক দিয়ে। এটিকে আবার ওপেন সোর্স ব্রাউজার বলে। মানে সহজ কথায় যেটি বলব সেটি হচ্ছে এটি পেইড বা ক্রয় করতে হয় না। এটিও অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ এবং ম্যাকওস ইত্যাদি প্রায় সব OS বা অপারেটিং সিস্টেমের হয়ে থাকে।

৩। হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp): এটি কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ করার সফটওয়্যার। এটি সবচেয়ে বেশি সমার্টফোনগুলোতে ব্যবহার হয়। হোয়াটসঅ্যাপ পূর্বে অন্য কোম্পানির ছিল। এখন মেটা বা ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ কিনে নিয়েছে। এটিতে মেসেজ করা যায় টেক্সট করে। এটিতে ভয়েসে মেসেজ করা যায়। এটিতে অডিও কল করা যায় আবার ভিডিও কল ও করা যায়। বর্তমানে এটির দ্বারা অ্যাডস দেওয়া যায়। 

হোয়াটসঅ্যাপ দুই ধরনের রয়েছে একটি পার্সোনাল আরেকটি বিজনেস অ্যাপ। এটিতে কমিউনিটি বা গ্রুপ খুলে বিভিন্ন কাজ করা যায়। এটি যেমন মোবাইলে ব্যবহার অনুরুপ ওয়েব ব্রাউজারেও ব্যবহার হয় সমানতালে। মোবাইলের সফটওয়্যারগুলোকে সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন বা সংক্ষেপে অ্যাপ বলা হয়। তবে মূলতঃ মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের যাবতীয় সফটওয়্যারগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন বলা হয়। 

৪। জুম (Zoom): এটি মিটিং এর জন্য ব্যবহার হয়। এটিকে জুম মিট ও বলা হয়। এর দ্বারা অনলাইনে নানা বিষয়ের ক্লাস করা হয় লাইভে বা সরাসরি। দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় থাকা স্বত্তেও একই সময়ে এক সাথে অনেক জন মিলিত হয়ে সাক্ষাৎ করা যায়। এটি যেমন ফ্রি সফটোয়্যার রয়েছে আবার পেইড ও রয়েছে। ফ্রি জুম মিট এর ফিচারগুলো সীমিত। আর পেইড সফটওয়্যারের একাধিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। 

ফ্রি জুমে মাত্র ২শ জন মিট করা যায়। আর এই ফ্রি জুম ৪০ মিনিট পর অটো লাইভ শেষ হয়ে যায়। এটি ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন হয় আবার অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও মিটিং করা যায়। জুম মিট পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ ও হয়। জুম মিট এর মতো আরেকটি সফটওয়্যার হচ্ছে গুগল মিট। প্রায় সেইম সেটিং ও সেইম কাজ। এটি গুগলের একটি প্রোডাকট বা পণ্য। এই মিটিং অ্যাপ গুলোতে বেশিরভাগ শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদে লাইভ ক্লাস এবং ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং রিলেটেড বায়ার বা ক্লায়েন্ট মিটিং করা হয়। 

৫। অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop): এটি এডোবি কোম্পানির একটি ফটো সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন। এটির মাধ্যমে যে কোনো ছবির এডিটিং করা যায়। নানা এডিটিং যেমন খারাপ ময়লা ছবি কে ফ্রেশ করে সুন্দর করা যায়, ছবির ব্রাইটনেস বাড়ানো যায়, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সরিয়ে অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা যায়। আবার এই সফটওয়্যার থেকেই একটা নতুন ছবির সৃষ্টি করা হয়। 

এই ফটোশপ সফটওয়্যার থেকে লোগো, ব্যানার, ব্রশিউর, ফ্লায়ার, থাম্বনেইল ইত্যাদি ছবি বানানো যায়। এই ফটোশপ সফটওয়্যার বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত, শ্রেষ্ঠ ও অদ্বিতীয় সফটওয়্যার। অ্যাডোবি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির আরো সফটওয়্যার হচ্ছে এডোবি ইলাসট্রেটর, অডিও সংক্রান্ত অডাসিটি, ভিডিও সংক্রান্ত এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এবং আফটার এফেক্টস ইত্যাদি। 

৬। উইনরার (WinRAR): এই সফটওয়্যারটি যেকোনো ফাইল কম্প্রেশন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ফাইল লক করার জন্য ব্যবহার করা যায়। যেকোনো বড় সাইজের ফাইলকে কম্প্রেস বা সংকোচন করে কমিয়ে যে কারো সাথে শেয়ার করার সহজসাধ্য হয়। এটি যেকোনো আনজিপ ফাইলকে জিপ করা বা যেকোনো জিপ ফাইলকে আনজিপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাপ্লিকেশনটির ও নানা ভার্সন রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে উচ্চ মানের উইনরার অ্যাপ্লিকেশন বাজারে আসতেই আছে। 

৭। উইন্ডোজ (Windows): পূর্বের সফটওয়্যারগুলো হচ্ছে সব সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। আর উইন্ডোজ হচ্ছে সিস্টেম সফটওয়্যার। এটি কম্পিউটার চালু করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রথমতঃ কম্পিউটার অন করা হলে প্রসেসর, হার্ডিস্ক, মাদারবোর্ড ইত্যাদি চালু হয়। আর এদের চালু হওয়াটা প্রধান কার্নেল সিস্টেম সিস্টেম সফটওয়্যারকে নির্দেশ দেয়। ফলে কম্পিউটার চালু হয়ে যায়। 

উইন্ডোজ একাধিক ভার্সন রয়েছে। উইন্ডোজ এর সবচেয়ে সফটওয়্যারগুলো হচ্ছে ৯৫, ২০০০, ৭, ৮,১ এবং উইন্ডোজ ১০ ও ১১। আর যেগুলো খুব বেশি জনপ্রিয় নয় ৯৮, ভিস্তা এবং উইন্ডোজ ৮ ইত্যাদি। প্রকৃতপক্ষে উইন্ডোজ মাইক্রোসফট তথা বিলগেটস সাহেব এর মানে তিনি এই মাইক্রোসফট এর মালিক।

৮। এমএস ওয়ার্ড ( MS Word): এমএস মানে মানে মাইক্রো সফট। অর্থাৎ এমএস ওয়ার্ড হচ্ছে মাইক্রোসফটের এমন এক সফটওয়্যার যেটি লেখালেখির জন্য ব্যবহৃত হয়। এমএস ওয়ার্ড কে অফিস সফটওয়্যার ও বলা হয়। কারণের একটা অফিসের যত ধরনের কাজ এই অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়। এই মাইক্রোসফট কোম্পানির আরো অফিস সফটওয়্যার হচ্ছে মাইক্রো সফট এক্সেল, এমএস পাওয়ার পয়েন্ট, এমএস এক্সেস ইত্যাদি। 

৯। টুইটার ( Twitter): এটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। এটি ফেসবুকের মতো একটি এসএম বা সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া মানে সামাজিক মাধ্যম। এটির মাধ্যমে যাবতীয় বিষয় পোস্ট করা হয়। এটিতে আগে সীমিত ক্যারেক্টারে পোস্ট করা যেত আর এখন মোটামোটি ব্যাপক ক্যারেক্টারে পোস্ট করা যায়। ছবি, লেখা, ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট করা যায়। বর্তমানে এটি ইলন মাস্ক কিনে নিয়েছে মূল কোম্পানির থেকে।

১০। এমএস এক্সেল (MS Excel): এটি বিল গেটসের মাইক্রোসফট কোম্পানির একটি আধুনিক ও যুগোপযগী প্রোডাক্ট বা সফটওয়্যার। এটির কাজ হলো বিভিন্ন বিষয় করা যায়, যেমন লেখালেখি, হিসাব, অংক, গণিত এর কাজ যথা যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং গণিতের হিসাব নিকাশ। মানুষ যেই হিসাবগুলো করলে মাসকে মাস, বছরকে বছর, যুগকে যুগ পার হয়ে যেত, সেখানে এই সফটওয়্যার কয়েক ক্লিকের কমান্ডেই অনেক সময় এবং মানুষের কাজ খুব স্বল্প সময়ে করে দেয়। 

আরো মাইক্রো সফটের বিভিন্ন সফট রয়েছে যেগুলোর একেকটা একেক কাজের রিসার্চগুলো পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার কম্পিউটারে লেখালেখি, হিসাব নিকাশ, স্লাইড, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজের জন্য যে সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করেন তা প্রায় মাইক্রোসফট কোম্পানি, যে কোম্পানির মালিক হলেন জনাব বিল গেটস সাহেব।

লেখকের শেষ মন্তব্য

১০ টি সফটওয়্যার এর নাম সংক্রান্ত বিষয়টি আর্টিকেলটিতে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে বিভিন্ন সফটওয়্যার মার্কেটে এবং একাধিক কোম্পানির কর্তৃক লংচ হচ্ছে, যেগুলো সত্যিই অনেক সময় এবং শ্রম সাশ্রয় করছে। এই আল্ট্রা মডার্ণ যুগে প্রায় সব কাজের সফটওয়্যার এবং পাশাপাশি হার্ডওয়্যার বের হয়ে জীবনটাকে সহজ করে দিয়েছে। প্রিয় পাঠক, আপনিও আপনার টাইম এবং পরিশ্রমকে বাঁচাতে চাইলে সফটওয়্যার ইউজ করুন। 

এক্ষেত্রে, ফ্রি সফটওয়্যারের চেয়ে পেইড সফটওয়্যারে অনেক সুবিধা এবং রিস্ক মুক্ত। কিন্ত ফ্রি সফটওয়্যারেও অনেক কাজই করা যায়, তবে বিভিন্ন ডেভলপার সফটওয়্যার গুলোকে ক্র্যাক করে ব্যবহার উপযূগী করে, যাতে লাইসেন্স না যায় এবং কিনতে না হয়, তাই এগুলোতে কিছু ভাইরাস থাকে। যার কারণে আপনার কম্পিউটার এই ফ্রি সফটওয়্যার দ্বারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে নানান সমস্যা হতে পারে। তাই সাবধানে সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। আরো এরকম ব্লগ পেতে আব্দুন নূর আইটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url